পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ર્ણ সংখ্যা] হিতৈষণা তাহদের মধ্যে জাগিলে রক্ষার কাজও তাঁহার ভাল করিতে পারে। জমিদারদের মধ্যে নারীনিৰ্য্যাতক আছে জানি, কিন্তু নারীনিৰ্য্যাতনের প্রতিকার করিবার ক্ষমতাও জমিদারশ্ৰেণীর আছে। হিন্দুমুসলমান উভয়বিধ কোন কোন জমিদার নারীনির্ধ্যাতন দমন চেষ্টায় যোগ দিয়াছেন । এক-এক জনের হাতে প্রভূত ধন সঞ্চিত হইলে তাহার অপব্যবহার হয় জানি, কিন্তু স্বব্যবহার দ্বারা বৈজ্ঞানিক কৃষির প্রবর্তন, স্বাস্থ্যের উন্নতি, শিক্ষার বিস্তার প্রভৃতি নানা কাজও তাহাদের দ্বারা হইতে পারে। দেশের কোন শ্রেণীর লোকেরই স্বমতি হওয়া সম্বন্ধে নিরাশ হইলে চলিবে না । স্ববুদ্ধি জাগাইবার চেষ্টা ক্রমাগত করিতে হইবে । বঙ্গীয় প্রাদেশিক রাষ্ট্ৰীয় সম্মিলনের প্রস্তাবটিতে প্রজাদের যে-সব অধিকার সমর্থিত হইয়াছে, কিছু কাল পূৰ্ব্বে ডাক্তার প্রাণকৃষ্ণ আচাৰ্য্য মহাশয় মফঃস্বল-ভ্ৰমণ করিয়া সঞ্জীবনীতে রায়ৎদের ঐসকল অধিকার আবশ্যক বলিয়াছিলেন । আমরা তখন তাঙ্গ ঠিক মনে করিয়াছিলাম । সিদ্ধ নাগার্জনের ছবি “স্পর্শমণি” প্রপন্ধের জন্য তাহার লেখক সিদ্ধ নাগার্জনের যে ছবি আঁকাইয়াছেন, বলা বাহুল্য, তাহা কল্পিত । তাহা চিত্রকলা-নৈপুণা প্রদর্শনের জন্য অঙ্কিত হয় নাই । তিৰ্য্যকৃপাতন নামক রাসায়নিক প্রক্রিয়া সিদ্ধ নাগার্জন আবিষ্কার করিয়াছিলেন ও তাহার যন্ত্র উদ্ভাবন করিয়াছিলেন। তাহা নাগার্জনের পশ্চাতে দক্ষিণ দিকে প্রদর্শিত হইয়াছে। বামদিকে, খনিতে প্রাপ্ত অশোধিত তীয় গলাইয়া খাটি তামা বাহির করিবার প্রাচীনকাল হইতে প্রচলিত প্রণালী প্রদর্শিত হইয়াছে । ইহাও নাগাৰ্জুনের উদ্ভাবন হওয়া অসম্ভব নহে। তিনি শিষ্যকে উপদেশ দিতেছেন, চিত্রে এইরূপ আঁকা হইয়াছে ।

  • ー>bア

বিবিধ প্রসঙ্গ—তারকেশ্বর-সম্বন্ধে তথ্য (Neసి তারকেশ্বর-সম্বন্ধে তথ্য “সঞ্জীবনী’র সম্পাদক সাংবাদিক সভার সভাপতি এবং সম্প্রতি উক্ত সভার পক্ষ হইতে তারকেশ্বর গিয়াছিলেন। র্তাহার কাগজে তারকেশ্বর-সমস্যা-সম্বন্ধে যাহা লিখিত হইয়াছে, তাত উক্ত বিষয়ে আমাদের মন্তব্য লেখা হইয়া যাইবার পর আমাদের চোখে পড়িয়াছে। তাহা হইতে আমরা অধিকাংশ উদ্ধত করিয়া দিতেছি। পাপের শান্তি । পাপের ভর পূর্ণ হইয়াছে। নতুবা পিপীলিকার দংশনে মাতঙ্গ কখনও প্রাণভয়ে পলাইত না । যে-মোহন্তের দোর্দণ্ড প্রভীপে প্রজাকুল সন্ত্রস্ত, নারীকুল ভীত, আজ দে দেশান্তরিত।------ মোহস্তকে দূর কর। তারকেশ্বরের যাত্রীদের উপর কেবল মোহন্ত নয়, পাও, দোকানদার, পুজারি সকলেই অত্যাচার করিয়াছে। মোহস্ত পলাতক, দোকানদার ও পূজারিদের বিষদস্ত ভগ্ন। এমন কি তাহারও আজ শতমুখে মোহন্তের নিন্দ করিতেছে। তাহারাও বলিতেছে, মোহস্তকে দূর করিয়া দেও। মোহস্তুের অত্যাচারে প্রপাড়িত প্ৰজাগণের আর্তুনাদে আকাশ প্রকম্পিত হইতেছিল। তাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ করিতে পারে, অল্প লোকেরই তেমন সাহস ছিল। আজ কিন্তু ধনী-নিধর্ম, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, সমস্ত প্রজা প্রকাষ্ঠভাবে বলিতেছে, মোহস্তকে সরাও । নারীদের কথা কি বলিব ? তাহারা লোকলজ্জা বিসজ্জন করিয়া অকুতোভয়ে মোহন্তের পাপলীলার রহস্ত ব্যক্ত করিয়া বলিতেছে, উহাকে সবংশে সরাইয়া দেও। মোহস্তকে দূরীকরণ সম্বন্ধে দ্বিমত নাই, সুতরাং মোহস্তকে তারকেশ্বর পরিত্যাগ করিতেই হইবে। ভলান্টিয়ার দল । মোহস্তকে মঠচু্যত ও জমিদারিচু্যত করিবার জন্ত তারকেশ্বর মঠের প্রতিষ্ঠাতার কতিপয় বংশধর ও হুগলী জেলার অপর কতিপয় ব্যক্তি হুগলীব জজ আদালতে এক মেীকদম উপস্থিত করিয়াছেন । কিন্তু উহুদের অর্থসম্পদ নাই. তাই বাদীদের মধ্যে শ্ৰীযুত জটাধারী সিংহ রায় কfaকত আসিয়া তারকেশ্বর-সম্বন্ধে সাধারণের মনোযোগ আকর্ষণের নিমিত্ত কয়েকটি সভা করেন । সেই সভার কথা শুনিয়া স্বামী বিশ্বানন্দ তারকেশ্বর মঠ হইতে মোহস্তের অত্যাচার দমন করিতে কৃতসঙ্কল্প হন ও মহাবীর দল গঠন করেন। মহাবীর দল যে নিষ্পাপ হইয়া কাৰ্য্য করিয়াছিল, তাহা বলা যায় না। কিন্তু তাহার যে তারকেশ্বরের লোকদের ভয় ভাঙ্গিয় দিয়াছিল, তাহাতে কোন সন্দেহ নাই । মহাবীর দলে অনেক বেঙ্গা ও দুরন্ত পুরুষ ভলান্টিয়ার হইয়াছিল। তাহীদের কার্য্যে তারকেশ্বরের অনেক লোক অসন্তুষ্ট হওয়াতে কংগ্রেস তারকেশ্বর আন্দোলনের ভার গ্রহণ করেন । এখন তারকেশ্বরে পাঁচ দল ভলান্টিয়ার আছেন। ১ । মহাবীর দল । ইহঁদের সংখ্যা বেশী নয়। কিন্তু ইহারাই মোহস্তুের গদীতে বসিয় যাত্রীদের নিকট অর্থ সংগ্ৰহ করিয়া থাকেন। ইহার বাহ সংগ্রহ করেন, তাহা কংগ্রেস জাফিয়ে জমা দেন । কিন্তু