পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] সুইস নর-নারীর ধরণ-ধারণ ৬২৭ ( ه لا ) জাপানে দেখিয়াছি পুরুষ নাপিতের কামায় স্ত্রীলোককে। ইতালিয়ান্‌-গুইস মুল্লুকে পুরুষকে কামাইতেছে নাপিতানী । কাঠের জুতা পায়ে দিয়া স্ত্রীপুরুষেরা চলা-ফেরা করিতেছে। শীতকালে আঙ্গুরের ক্ষেতে কাজ নাই। তবে ঘরের ভিতর বেতের চুপ ড়ী তৈয়ারী হইতেছে। পাহাড়ের আঁক-বাক পথে মাল-ঘাড়ে টেসিন নারীদের সঙ্গে প্রায়ই দেখা হয়। হিমালয়ের ভুটিয়া-দৃপ্ত মনে পড়ে । টেসিনের পল্লীগুলা বড়ই বিচিত্র। একট। ঘরের ঘাড়ে আর-একটা ঘর উঠিয়াছে। লোকানোর নিকটবৰ্ত্তী ব্রিয়োনে গ্রামের অকথ্য দুৰ্গন্ধ স্বইট্সল্যাণ্ডের কলঙ্ক । একজন শিক্ষয়িত্রী বলিতেছেন —“জাৰ্ম্মান হুইট্‌সার্ল্যাণ্ডের পল্লীতে এরূপ নোংরা দৃশ্ব দেখিতে পাইবেন না।” মৃগানে। হ্রদের এক অঞ্চলে একদম জলের উপর হইতে গাক্সিয়া গ্রাম উঠিয়াছে। এক-একটা বাড়ীর ঘাড়ে আর-একটা বাড়ী অবস্থিত। এই পল্লীট চিত্র-শিল্পী ফোটোগ্রাফারদের চোখে বড়ই টেসিনের ইতালীয় পরিবার সরসভাবে বিবৃত করিয়া যাইবার দায়িত্ব গদ্য ও পদ্যসাহিত্যের নানা রচয়িতাদের ঘাড়ে রহিয়াছে । র্তাহারা যদি নিজ নিজ কথাবস্তু গুলাকে প্রকৃতির রসে ভিজাইতে সমর্থ হন, তাহ হইলেই "প্রকৃতি-পূজা,” নায়ক জিনিষটা সাধারণ্যে দাডাইয়া যায়। এইদিকে নবীন ভারতের সাহিত্য-রসিকেরা যাহা কিছু করিয়াছেন তাহার দাম বেশী নয়। ভারতের অপূৰ্ব্ব প্রাকৃতিক ঐশ্বৰ্য্য বাংলা বা হিন্দী সাহিত্যে প্রায় একরূপ অজানা রহিয়াছে। ভারতীয় সাহিত্য-স্রষ্টারা ভারতের কোন কোন জেলা, নগর, পাহাড়, দরিয়া বা পল্লীকে জনগণের নিকট প্রিয় করিয়া তুলিয়াছেন এই স্বত্রে তাহার আলোচনা স্বরু করিলে সাহিত্য-সমালোচকের একটা নূতন চিন্তাক্ষেত্র পাইবেন। সুন্দর। বাহী রূপের তরফ হইতে বাস্তবিক ঘরসমাবেশটা মনোরম বটে, কিন্তু ভিতরে প্রবেশ করিয়া দেখি, এখানে বসবাস অসম্ভব । মোণ্টে ব্রে পাহাড় আর সী সালহবাতোরে পাহাড়, এই দুইটাই লুগানোর দুই অঞ্চলে জমকালে। দুইয়েই উঠিবার জন্য “কুনিকোলেথার” আছে। অর্থাং রেলপথ উঠিয়াছে প্রায় সোজ। খাড় । হাটিয়া উঠিতে লাগে তিন-চার ঘণ্টা । পায়দলেই মোণ্টে ব্রে দেখিয়া আসা গেল। পথে পড়িল রাখাল বালক । ইহার ধেনু চরাইতেছে না, চরাইতেছে ছাগলের পাল । ( > S ) d টেমিনের পল্লীগির্জাগুলা গড়নে বিশেষত্ব-পূর্ণ লোকানোর “মাদোনা দেল সম্মে।” সুইস-সমাজে অতি প্রসিদ্ধ। ইয়োরোপের বাস্তু-সুসিক এবং চিত্রশিল্পীর এই মন্দিরের তারিফ করিয়া থাকেন ।