পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বক্ষ কণিকাদি কিংবা কোনওপ্রকারের বিষাক্ত অণু-পরমাণুআদিরও অপেক্ষাকৃত অধিকপরিমাণে ক্ষত-মধ্যে প্রবিষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, সুতরাং ক্ষতও দুশ্চিকিৎস্য এবং দুরারোগ্য হওয়ারই সম্ভাবনা অধিক হইয়া থাকে । এতদুদ্দেশ্যেই অন্যান্য আকৃতির ছুরী কিংবা বাকেরও মধ্যদেশে এবং দৈর্ঘ্যপথে একটি কিংবা দুইটি খাত থাকে। আবার কোন ছুরীর মধ্যদেশ একেবারে বা শূন্তগর্তও থাকে ; কোনও ছুরীর মধ্যদেশস্থ শূন্তগর্ভের উভয় পার্থে দুইটি করিয়া খাতও থাকে। খাত থাকার জন্য ছুরী অপেক্ষাকৃত লঘুও হইয়া থাকে । ছুরী ও বাক খেলার সম্পর্কে যেসমস্ত সাঙ্কেতিক নাম ব্যবহৃত হইবে, তাহ প্রায় সমস্তই “লাঠি-খেলা ও অসিশিক্ষা” মধ্যে বর্ণিত হইয়াছে। কাজেই এস্থলে ঐসমস্তের পুনরুল্লেথ নিম্প্রয়োজন মাত্র । স্থিতি (ঠাট্ট) –শিক্ষাভ্যাসকালে উভয়ে পরস্পর জামতে-জামুতে সংলগ্ন করিয়া সাধারণভাবে ও সহজ পদ্ধতিতে আসন করিয়া উপবেশন করিবে ; অথবা উভয়ের অগ্রপদের বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ সংলগ্ন করিয়া “লাঠি-খেলা ও অসিশিক্ষায়” বর্ণিত একাঙ্গের স্থিতির অমুরূপে অগ্রপদের জামু ভঙ্গ করিয়া দাড়াইবে । মুষ্টিবদ্ধ করিয়া ছুরী ধারণ করিলে, ছুরীর অগ্রবিন্দু প্রবাসী—ভাদ্র, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড ੋਜਿਨ੍ਰਿੜ দিকে থাকিবে, এবং বুদ্ধাঙ্গুষ্ঠ “ছু মস্তকোপরি থাকিবে, যথা নিম্ন চিত্রে :– উপবেশন করিয়া ক্রীড়ার প্রারম্ভে উভয়েরই নিজ-নিজ হস্তদ্বয় নিজ-নিজ জানুপরি উৰ্দ্ধ-পৃষ্ঠভাবে থাকিবে । দাড়াইয়া ক্রীড়ার প্রারম্ভে “ছুর।” সহ হস্ত নিজ-নিজ নাভিসম্মুখে উৰ্দ্ধ-পৃষ্ঠভাবে থাকিবে, অপর হস্ত পার্শ্বদেশে স্বাভাবিকভাবেই থাকিবে । অভিবাদন –প্রথমতঃ ছুরীসহ হস্ত উত্তোলন করিয়া “গুড়দিশে” (গরদেশে) খুরাইয়। উভয়েই প্রতিপক্ষের বামকর্ণমধ্যে (তামেচায়) আঘাত-প্রয়োগের উপক্রম করিয়াই, আঘাত সংহরণ করিয়া আনিয়া উভয়ের বক্ষদেশের মধ্য পথে নিজ-নিজ ছুরী প্রতিপক্ষের ছুরী ও হস্তপ্রকোষ্ঠের মধ্যে চালিত করিয়া প্রতিপক্ষের ছুরীকে প্রতিরোধ করিয়া রাখিয়া, অপর হস্তদ্বার। ছুরীমুষ্টি ধারণ করিবে; পরে উভয়ে পূৰ্ব্ব-হস্তে পূৰ্ব্ব-হস্তে মিলিত করিয়া নিজ নিজ মস্তক ও ললাট স্পর্শ করিয়া অভিবাদন করিবে, পরে পূর্ব হস্তদ্বারা পুনরায় যথারীতি ছুরী ধারণ করিয়া ক্রীড়া আরম্ভ করিবে । ক্রীড়া আরম্ভকালে ও ক্রীড়া শেষ করিয়: সৰ্ব্বদাই অভিবাদন করিতে হইবে । অভিবাদন প্রয়োজন “লাঠিখেল ও অসি-শিক্ষা” সম্পর্কেই সবিশেষ বৰ্ণিত হইয়াছে । আঘাত-প্রয়োগ-প্রণালী –প্ৰত্যক আঘাত-প্রয়োগকালেই মণিবন্ধ “গুড় দিশে” ( গরদেশে) ঘুরাইয়া আরম্ভ করিতে হইবে, পরে প্রয়োজন-মতে, কিংবা আঘাত বিশেষে হস্তচালনায়, কখনও বা "জড়বিশের’ ( জাৰ্ব্বের ) কখনও বা "ত্রাসের” প্রাধান্ত হইয়া থাকে । “হুল”