লোকমান্ত টিলক মহাশয়ের প্রতিমূৰ্ত্তি পুনায় প্রতিষ্ঠিত o শ্ৰীযুক্ত ন ব ধীয়কর কর্তৃক গৃহীত ফটোগ্রাফ হইতে মুদ্রিত শ্রীযুক্ত প্রতাপচন্দ্র গুই রায়ের কারাবরণ— চরমনাইয়ের মোকদ্দমায় শ্ৰীযুক্ত প্রতাপচন্দ্র গুহ রায় মহাশয় এক বৎসরের জন্তু বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত ইয়াছেন । দেশে "শাস্তি ও শৃঙ্খলার রক্ষাকৰ্ত্ত। সরকারের পেয়ার পুলিস চরমনাইরে স্ত্রীলোকদিগের উপর যে পাশবিক বর্ববরোচিত ব্যবহার করিয়ছিল তtহ। প্রতাপ-বাবুই প্রথম প্রকাশ করিয়া তৎপ্রতি জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ কবেন । ইহাই প্রতাপ-বাবুর অপরাধ । ফরিদপুরের জেলা-ম্যাণ্ডিষ্ট্রেটের রিপোর্টে বিষয়টাকে ষেপ্রকার ধামাচাপা দিলার চেষ্ট হুইয়াছিল, প্রতাপ-বাবুর প্রতিবন্ধকতায় তাহ ধিফল হইয়াছে । বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেসকমিটীর সভায় প্রতাপ-বাবু মৰ্ম্মস্পর্শী ভ৮ায় পুলিশের অত্যাচার-কাহিনী যেভাবে বর্ণনা করেন, তাহার ফলে কংগ্রেসের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়, এবং কমিটির রিপোর্ট অনুসাের প্রগপ-বাবুর আরোপিত অভিযোগের সত্যতাই প্রমাণিত হয়। স্কায় ও সত্যের অনুরোধে পুলিশের অত্যাচারের স্বাক্কারজনক স্বরূপ লোক-সমক্ষে প্রকাশের কৰ্ত্তব্য সম্পাদনের পরই আজ প্রতাপ-বাবু রাজদণ্ডে দণ্ডিত। দেশবাসী কিন্তু শ্রদ্ধাপ্ল ত সদয়ে তাহাকে 8 ج صصصول اb দেশ-বিদেশের কথা—-বাংলা ᏬbᏉᎽ আশীৰ্ব্বাদ করিতেছে । চরমনাইরে নিগৃহীত অধিকাংশ স্ত্রীলোকই মুসলমান। এই উৎপীড়িত রমণীগণের পক্ষাবলম্বন করিতে গিয়াই প্রতাপ-বাবু দণ্ডিত হইয়াছেন । মুসলমান সমাজ সকৃতজ্ঞ হৃদয়ে ইহা চিরদিন স্মরণ রাখবে । —মোহাম্মদী কলিকাও1র প্লেষ্টবেণ্ট – কলিকাতার প্রায় রাস্তায় আজকাল বিলাতী কায়দায় (?) রেষ্টুরেন্ট, খোলা হইতেছে। চী, চপ, কাটলেট, ডিম, কার কত কি সেখানে বিক্রয় হয়। প্রায় সবগুলি দোকানই অতিশয় নোংরা -এমন কি খুব “নামকরা" এই ধরণের হোটেলগুলিও মৃত্যুর আড়কটি। এই সমস্ত হোটেলের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা পরীক্ষা করিবার জগু কর্পোরেশন হইতে লোক নিযুক্ত আছেন। তাহার। কিভাবে পরীক্ষা করেন জানি না; তবে কলিকাতার পৌনে যোল আনারও বেশী রেক্টরেন্টএর খাদ্য ও বসিবার স্থান এবং প্লেট. প্লাস্ ইত্যাদি অশ্বাস্থ্যকর ও নোংরা। নান। কারণে আজকাল ইet লোকে গ্রহণ করে। কিন্তু খাদ্যদ্রব্যপরীক্ষকদের এদিকে উপেক্ষা করার কোন কারণই গ্রহণযোগ্য নহে। বঙ্গে ডাকাতি— স্বরাজ গত জুন মাসে সমগ্র বঙ্গদেশে ৯১টা ডাকাতি হইয়াছে বলিয়া একশ। ইহাই কি শৃঙ্খলা ও শাস্তি রক্ষার আদর্শ। এত ডাকাতি বৃদ্ধি হইলে ইহাকে মোগল আমল মনে হইতে পারে না কি ? —বরিশাল-হিতৈষী শ্রমজীবী সঙ্ঘ— আমাদের শাস্ত্রকারের বলিয়া গিয়াছেন, “সংহতি; কাৰ্য্যসাধিকা" । দেশ, সমাজ ও জাতি রক্ষার জন্ত দেশবাসী সকলেরই যে সংহতিবদ্ধ হইয়া থাক। প্রয়োজন, তাহা তাহারা বুঝিতেন। এখন এক একটা সম্প্রদায় অপর সকল হইতে স্বতন্ত্র হইয়া নিজেদের মধ্যে দলগঠনকরত: আত্মপ্রাধান্ত থাপনের চেষ্টা করিতেছে। ইদানীং শ্রমন্ত্ৰীসভা সৰ্বর প্রবল হইয় উঠতেছে। রেলওয়ে, টেলিগ্রাফ, ডাক, ষ্টীমার, কয়লার খনি, লৌহের কারখান, পাটের কারখানা, কাপড়ের কল-সৰ্ব্বত্র সাধারণ কৰ্ম্মচারীরা ও শ্রমজীবীর সঙ্ঘবদ্ধ হইয়া আত্মশক্তি থাপন করিতেছে । বিলাতের কুলির ত দৈনিক ৩৪ টাকা রোজগার করে, এখানেও চারি পাচ আনার স্থলে বার আনা হইতে দেড় টাকা দু’টাকা পৰ্য্যস্ত উঠিয়াছে। ছয় সাত টাকার পিয়ন ২-২৫ টাকা পাইতেছে । এই শ্রমজীবী সজা কোথায় কিরূপ প্রবল হইয়া উঠিয়াছে আমাদের দেশের সাধারণ লোকের তাহার খবর রাখে না। বিলাতের শ্রমজীবীরা এইক্ষণ সমগ্ৰ বৃটিশ সাম্রাজ্যের অদৃষ্ট নিয়ন্ত্রিত করিতেছে। মার্কিনের শাসনকৰ্ত্তারাও তথাকার শ্রমজীবীদের করষ্কৃত পুতুলের মত। অল্পদিন মধ্যে ভারতেও সেই ভাব আসিয়া পড়িয়ছে। শিল্প বাণিজ্যের প্রাবল্য যত বৃদ্ধি পাইতেছে রাজ্য-শাসন যতই শিল্পী ও বণিকৃদের অনুগত হইতেছে, ততই শাসনকর্তৃত্ব শ্রমজীবীদের হাতে গিয়ী পড়িতেছে। বোম্বাই নগরেই শ্রমজীবীরা বিশেষ অগ্রসর হইয়াছে। সেখানেই “অপৃ ইণ্ডিয়া ট্রেড ইউনিয়াল কংগ্রেস” স্থাপিত হইয়াছে। বোম্বাই নগরে ১.টি ইউনিয়নে ২৭,৮৮৮ জন মেশ্বর, আহমদাবাদ নগরে ৭টি ইউনিয়নে ১৫৮৫ জন, এবং অন্যান্ত জেলায় ৬টি ইউনিয়নে ৮৩৯১ জন, মেটের উপর বোম্বাই প্রদেশে ২৩টি ইউনিয়ান ৫২,১২৯ জন মেম্বর। তাহদের সঙ্গে সঙ্গে প্রতোক রেলওয়েতে, ষ্টীমারঘাটে, কয়লার খনিতে পাটের
পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৫০
অবয়ব