পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

やbーネ কলে, টামওয়েতে, সরকারী প্রতোক বিভাগে সাধারণ কৰ্ম্মচারীরা ও শ্রমজীবীর সঙ্ঘবদ্ধ হইতেছে। সম্প্রতি “অল ইণ্ডিয়া ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের” জেনারেল সেক্রেটারী মিঃ জিনওয়ালা ভারতের সমস্ত ইউনিয়নকে লইয়া এক "লেবার ফেডারেশন” গঠনের আয়োজন করিতেছেন । ইহার ভালী ফল কি দাড়াইলে, চিন্তাশীল ব্যক্তিগণ ভাবিতে থাকুন। আমর বারাস্তরে তৎসম্বন্ধে আলোচনা করিব । --জ্যোন্তি গাছ পাথরে পরিণত— প্রায় মাসাবধি হইল আসানসোলের অনতিদূরে রেলওয়ে লাইনের জন্ম মাটি কাটিবার সময়, ১০ফুট নীচে একটি গছ পাথর পরিণত হইছে, দেখা যায়। এই সংবাদ পাইবামাত্র গবর্ণ মেন্টের পক্ষ হইতে ভূতত্ত্বলির একজন সাহেব এবং একজন বাঙ্গালী বাবু আসিয়াছেন। তাহারা এ গাছটি কলিকতা লইয়। যাইবার জন্য বন্দোবস্ত করিতেছেন । লোক পরম্পরায় শুনা যাইতেছে মে, কিভাবে ঐ গাছ পাপরে পরিশক্ত হইয়াছে তাহ পরীক্ষা করিবার জন্ত ইংলণ্ড পাঠান হইবে। গাছটি দেখিবার জন্ম প্রত্যঙ্গ বহু লোকের সমাগম হইতেছে । —আনন্দবাজার-পত্রিক। দুরপনে কলঙ্ক— দেশের দরিদ্র লোকদের মৃত্যুর কবল হইতে রক্ষণ করার অমোঘ উপায় গদর প্রচারের জন্ত শ্ৰীযুত প্রফুল্লচন্দ্র রায় বৃদ্ধ বয়সে একরূপ আহার নিদ্রা ত্যাগ করত: ক্ষীণ দেহখানি লইয়া, সারাদেশ ঘুরিয়া বেড়াইতেছেন, নিজের সঞ্চিত পঞ্চাশ হাজার টাক। তাহাতে দিয়াছেন। র্তাহার প্রেরণায় বহু উদ্যমশীল যুবক লোকের ঘরে ঘরে গিয়া চরকায় সুতীকাটা শিথাইয়াছে, কাপড় বুনন শিখাইয়াছে। উত্তরলঙ্গের জলপ্লাবিত স্থানের শত শত লোক চরকায় স্থত কটিয়া মৃত্যুর কবল হইতে রক্ষা পাইয়াছে, আর আজ কি ন শুনিতেছি, উহার খদ্দরপ্রতিষ্ঠানে কাপড় মজুত হইয়া যাইতেছে, দেশের লোক তাহ কিনিতেছে না। খন্দর ফেলিয়া যাহার বিলাতী ও দেশী মিলের সরু কাপড় পরে ও বাধুগিরি দেখায়, তাহার একবার ভাবিবে কি তাঙ্গদের এ কলঙ্ক ঢাকিবা স্থান জগতে আছে কি না ? —জোতি খুলনায় ভীষণ গো-মড়ক— ংবাদপত্র-পাঠক মাত্রেই এই ভীষণ গো-মড়কের কথা অবগত আছেন। খুলনা সেবাশ্রমের আশাশুনি কেন্দ্রের অধ্যক্ষ স্বামী যোগানন্দ যাহা জানাইয়াছেন, তাঁহাতে কৃষকের অবস্থ। চিন্তা করিয়া হৃদর অবসর হইয়া পড়িয়াছে। আশ্রমের শক্তি সীমাবদ্ধ। মাত্র ১৩১৪টি জনবিরল ক্ষুদ্র গ্রামের সেবা করিতেই তাহীদের শক্তি নিঃশেষিত হইতেছে। এই সামান্ত কয়টি গ্রামেই ইতিমধ্যে ৫ শতের উপর গর মরিয়াছে এবং এখনও বহুতর গরু মৃত্যুর অপেক্ষ করিতেছে। নদী দিয়া অবিরত মৃত গরুর দেহ ভাসিয়৷ যাইতেছে ; গ্রামগুলি পুতিগন্ধে ভরিয়া উঠিয়াছে। ভীষণ দুর্ভিক্ষের কবল হইতে কোনওরূপে উদ্ধার পাইয়া, এখন কৃষকগণ এই আর-এক ভয়ঙ্কর বিপদের সন্মুখীন হইয়াছে। গত বৎসরও এই সময়ে এইরূপ মড়ক উপস্থিত হইয়াছিল। কৃষকগণ কোথাও ধনী নহে,—এ অঞ্চলে ত তাহার দুর্ভিক্ষকে নিত্যসহচররূপে পাইয়াছে, ম্যালেরিয়া-রাক্ষসীকে দলে দলে প্রাণ বলি দিতেছে। গরু তাহাদের একমাত্র ধন । এই ধনও যদি প্রতিবৎসর এইরূপে বিসর্জন দিতে হয়, তাহ হইলে, প্রবাসী—ভাদে, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড তাহীদের ভবিষ্যৎ কিরূপ ভয়াবহ হইবে, তাহ চিন্তা করিতেও কষ্ট হয়। এ-বৎসর বহু আন্দোলনের পর দুইজন পশু-চিকিৎসক এই অঞ্চলে প্রেরিত হইয়াছেন। কিন্তু রোগ যেখানে এরূপ বিস্তুত, সেখানে দুজন মাত্র লোকে কি করিবেন ? ফলে উtহাদের দ্বারা যে কিছু সাহায্য পাওয়া যাইতেছে তাহা কৃষকগণ অনুভব করিতেই পারিতেছে না । মড়ক যখন প্রতিবৎসর যথাসময়ে উপস্থিত হইতেছে, তথন ইহার কারণ নির্ণয় করা এবং তৎসঙ্গে কি করিলে কৃষকগণ পূৰ্ব্ব হইতে সাবধান হইতে পারে, সে বিষয়ে উপদেশ দানের ব্যবস্থা করা গবর্ণ মেণ্টের একান্ত কৰ্ত্তব্য । মড়কের কারণ নির্ণীত হইলে এবং প্রতিষেধকের ব্যবস্থা হইলে সেলtশ্রমের সেবকগণই কুষকগণকে যথেষ্ট সাঙ্গ (ধ্য করিতে পরিবেন,-পশু-চিকিৎসক প্রেরণের বিশেষ প্রয়োজন হইবে না । আশা করি, গবর্ণমেণ্ট সত্বর এবিষয়ে যথাযোগ্য অনুসন্ধান করিলেন । 命 —সেক্রেটারী, - খুলনা রিলিফ কমিটি চৰ্বকা-কাটা— খঙ্গিলার নো-চেঞ্জীরগণ সেদিন কলেজ স্কোয়ারের সভায় চত্বক কাটিয়া সম্ভায় উপস্থিত লোকদের দেখাইয়াছেন। শত বক্তত হইতে তই কাৰ্য্যকরী। জাতিগঠনমূলক কাৰ্য্যকে নো-চেঞ্জারগণ যদি সফল করিতে চাহেল, তবে আদর্শকে কায়মনোবাক্যে আঁকড়াইয়া ধরিতে হইবে। আদর্শে নিষ্ঠাহীন আমাদের আহানে জাতি যদি যথেষ্ট সাড়া ন দেয়, দোয় কাহার ? কথায় কায্যে সঙ্গতিই হইল সত্যনিষ্ঠীর গোড়ীর কথা । তার সত্যে যদি জাতির নিষ্ঠ আশ্রয় করে, তবে জাতির মানুষ হইতে কতদিন লাগিবে ? জাতি যদি মানুষ হয় তবে চরকা চলুক না চলুক স্বরাজ কেহ আটকাইতে পরিবে না । আমরা আশা করি, পাকে যাহারা চরক কাটিয়া “চবৃক-প্রদর্শনীকে” সফল করিয়াছেন, প্রদর্শনীর বাহিরে ঘরেও উহাদের চর্ক নিয়ত ঘূরিবে। চরকা কাটা স্বভাবটি আয়ত্ত করিতে হইলে হজ্জত-হুজুকে হইবে না, ঘরের নীরব কৰ্ম্মনিষ্ঠায়ই তাহ সম্ভব হইবে। জাতিকে যাহার,নির্মাণ করিতে চাহেন, সত্যনিষ্ঠাকে উাহীদের আশ্রয় করিতেই হইবে । - 5 তন দুল— ঐযুক্ত স্যামসুন্দরের নেতৃত্বে বেঙ্গল নন-কো-অপারেশন লীগ নামে একটি দল সম্প্রতি গঠিত হইয়াছে। ইহার গভর্ণমেন্ট ও স্বরাজ্যদলের সহিত অসহযোগিতা করিবেন, এবং কংগ্রেসের সহিত সংশ্লিষ্ট না থাকিয়া দেশের কাজ করিবেন। পরে দেশের শ্রদ্ধাকর্ষণ করিতে পারিলে অনায়াসেই কংগ্রেস দখল করিয়া লইবেন । ডাঃ প্রফুল্লচন্দ্র থোস, বরিশালের লীযুত শরৎকুমার ঘোষ, শ্ৰীযুত হরদয়াল নাগ প্রমুখ ৮০ জন ব্যক্তি এই দলে ভৰ্ত্তি হইয়াছেন । —খুলনাবাদী ছাত্রদের উপর মোটিস্— বিগত ১২ই জুলাই তারিথে আসামের শিক্ষ-বিভাগের ডিরেক্টার মিঃ জে. আর, কানিংহাম সি, আই. ই এই মর্শ্বে বিভিন্ন সরকারী বিদ্যালয়ে নোটিস জারি করিয়াছেন যে, ছাত্রগণ কোন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে প্রত্যক্ষভাবে যোগ দিতে পরিবে না এবং রাজনৈতিক সভা-সমিতিতে যাইতে পরিবে না । £; ' —জনশক্তি ঢাকুরিয়া কৃষি-ক্ষেত্ৰ--- ২৪ পরগণা ঢাকুরিয়া কৃষিক্ষেত্রে শ্ৰীযুত অধরচন্দ্র লস্কর মহাশয়ের প্রস্তুত নুতনপ্রকৃতির লাঙ্গলের সাহায্যে চাষ-আবাদ