পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳՀ8 বাদরির মত অমুস্থতে বাদরি ( বেদান্তস্বত্র,১২৩০ ) । শঙ্কর હકે স্বত্রের দুইটি অর্থ করিয়াছেন । (১) মন প্রাদেশ মাত্র হৃদয়ে অবস্থিত । এই মন পরমাত্মার ধ্যান করিয়া থাকে। এই-জন্ত পরমাত্মাকে ‘প্রাদেশ মাত্র’ বলা হইয়াছে। (২) প্রকৃত-পক্ষে পরমাত্মা প্রাদেশ মাত্র নহেন, কিন্তু তিনি প্রাদেশ মাত্র রূপে অন্তস্বত অর্থাং চিন্তনীয়। এইজন্য র্তাহাকে প্রাদেশ মাত্র বল। ইয়াছে। জৈমিনির মত শতপথ-ব্রাহ্মণে ( ১০৬১৷১০,১১ ) লিপিত আছে যে, অশ্বপতি এক সময়ে আরুণি সত্যযজ্ঞ প্রভৃতিকে এইরূপ বলিয়াছিলেন -"দেবগণ বৈশ্বানরকে প্রাদেশ-মাত্ররূপে জামিয় তাহাকে লাভ করিয়াছিলেন । আমি তাহার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে এমনভাবে বর্ণনা করিব যেন প্রাদেশ মাত্র বস্তু তাহার উপমান হইতে পারে। ইঙ্গার পর অশ্বপতি অঙ্গুলি দ্বারা নিজের মস্তক দেখাইয়া বলিলেনইহাই অতিষ্ঠা নামক বৈশ্বানর । চক্ষুদ্বয়কে দেখাইয়। বলিলেন — ইহাই স্বতেজা’-নামক বৈশ্বানর। নাসিক দেখাইয়া বলিলেন ইহাই “পৃথগ বক্স?-নামক বৈশ্বানর । মুখের অভ্যন্তরস্থ আকাশকে দেখাইয়া বলিলেন — ইহাই বছল’-নামক বৈশ্বানর। মুখের লালা দেখাইয়া বলিলেন – ইহাই রয়ি’-নামক বৈশ্বানর। চিবুক দেখাইয়। বলিলেন – ইছাই প্রতিষ্ঠ’-নামক বৈশ্বানর। এইরূপে মস্তক হইতে আরম্ভ করিয়া চিবুক পৰ্য্যন্ত সমুদ্র অংশকে বৈশ্বানর-রূপে কল্পনা করা হইল । এই অংশের পরিমাণ এক প্রাদেশ’ অর্থাৎ এক বিঘ২ ; এই-জনা বৈশ্বানর-আত্মাকেও ‘প্রাদেশ মাত্র বলা হইয়াছে।" ইহাই জৈমিনির মত (বেদান্ত-স্বত্র, ১২৩১) । এস্থলে একটি গুরুতর আপত্তি উত্থাপিত হইতে পারে । শতপথ-ব্রাহ্মণে মস্তক হইতে আরম্ভ করিয়া চিবুক পৰ্য্যন্ত অংশকে বৈশ্বানর-রূপে কল্পনা করা হইয়াছে। এই অংশের পরিমাণ প্রাদেশ মাত্র ; স্বতরাং এই আত্মাকে ‘প্রাদেশ মাত্র-রূপে বর্ণনা করা যাইতে পারে । প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড কিন্তু ছান্দোগ্য-উপনিষদে মন্তক হইতে আরম্ভ করিয়া পাদদ্বয় পৰ্য্যস্ত সমুদায় দেহকে বৈশ্বানর-রূপে কল্পনা করা হইয়াছে। এ অংশের পরিমাণ প্রাদেশ মাত্র নহে ; স্বতরাং এস্থলে শতপথ-ব্রাহ্মণের অর্থে বৈশ্বানর-আত্মাকে ‘প্রাদেশ মাত্র’ বলা যাইতে পারে না। জাবাল শাখাধ্যায়ীদিগের মত চিবুক হইতে মূৰ্দ্ধ পৰ্য্যন্ত অংশ প্রাদেশ-পরিমিত । ভ্র ও নাসিকা ইঙ্গরই অন্তর্গত। এই ভ্র ও নাসিকার সন্ধিস্থলে পরমাত্মা অবস্থিত । এই-জন্য পরমাত্মাকে ‘প্রাদেশ মাত্র বলা ই ঠয়াছে ( বেঃ পূঃ ১।২।৩২ ; শঙ্কর ভাষ্য ) { শঙ্করাচার্য্যের মত শঙ্করাচার্য্য ইহার চারিটি অর্থ করিয়াছেন : (১) দ্যুলোক হইতে পৃথিবী পৰ্য্যন্ত প্রদেশ দ্বার তিনি পরিমিত শুন ( মীয়তে, মা ধাতু ) অর্থাং জ্ঞাত ইন, এই-জন্য তিনি ‘প্রাদেশ মাত্র’ । (২) তিনি মুখ প্রভৃতি প্রদেশে ভোক্তৃরূপে পরিজ্ঞাত হন, এই-জন্য তিনি ‘প্রাদেশ মাত্র । (৩) স্থালোক হইতে পৃথিবী পয্যন্ত সমুদয় প্রদেশ ঠাঙ্গর পরিমাণ, এই-জন্য তিনি প্রাদেশ মাত্র । (৪) দু্যলোকাদি বিষয়ে শাস্ত্রে প্রকৃষ্টরূপে উপদেশ দেওয়া হয়, এই-জন্য এই সমুদয়ের নাম প্রাদেশ ( - প্র+ আদেশ ) । এই প্রাদেশই তাহার পরিমাণ, এইজন্য তাহাকে ‘প্রাদেশ মাত্র’ বলা হইয়াছে । ( ছাঃ ভাঃ ( ליצן 4 অভিবিমান 'অভিবিমান’ শব্দের অর্থ লইয়াও অনেক মত-ভেদ । শঙ্করের মত -. শঙ্করাচায্য ইহার চারিটি অর্থ দিয়াছেন (১) তিনি প্রত্যগাত্মাৰূপে অভিবিমিত হন অর্থাং অহম্ (-আমি) বলিয়া জ্ঞাত হন । ७३-वैना डिनि ‘অভিবিমান’ ( ছাঃ ভাঃ ৫।১৮ ; বেঃ ভাঃ ১২৩২ ) (২) প্রত্যগাত্মা বলিয়া তিনি সকলের নিকটস্থ (অভিগত); এই-জন্ত তিনি অভিবিমান(বেঃ ভাঃ ১২৩২) ।