পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা (৩) তাহার পরিমাণ করা যায় না, এইজন্য তিনি অভিবিমান ( বেঃ ভাঃ ১২৩২ )। 渗 (৪) জগতের কারণ বলিয়া তিনি সমুদয় পরিমাপ করেন ( অভিবিমিমীতে ) অর্থাৎ সমুদয় অবগত আছেন, এইজন্য তিনি অভিবিমান ( বেঃ ভাঃ ১২৩২ ) । রামানুজের মত রামানুজ ইহার এইরূপ অর্থ দিয়াছেন — তিনি অভিব্যাপ্তবান ( অর্থাৎ সৰ্ব্বব্যাপী ) এবং বিগতমান (অর্থাং অপরিমেয় ) ; এই-জন্য র্তাঙ্গার নাম ‘অভিবিমান’ ( বেঃ ভাঃ ১।২।৩০ ) { সিদ্ধান্ত দেখা যাইতেছে এই দুইটি শব্দের অর্থ লইয়া অত্যন্ত মত ভেদ । আমাদিগের মনে হয়, যে অর্থ গ্রহণ করিলে পূৰ্ব্বাপর সামঞ্জস্ত থাকে, সেই অর্থই গ্রহণ করিতে হইবে । দেখা যাউক এই অংশের পূৰ্ব্বে এ-বিষয়ে কি বলা হইয়াছে। ছানোগ্য-উপনিষদে ইহার পূর্ববৰ্ত্তী ছয়খণ্ডে বৈশ্বানরআত্ম-বিযয়ে যাহা বর্ণিত হইয়াছে তাহা এই – যিনি দেী অর্থাৎ স্বতেজ|-নামক বৈশ্বানর-আত্মাকে উপাসনা করেন, তাহার কুলে স্থত প্রস্তুত ও আস্থত দৃষ্ট হয় ("5৷১২১ ) । স্বতেজ শব্দে ও ‘মৃত’, এবং মৃত, প্রস্বত, ও আস্থত শব্দেও ‘স্থত ; এই-জন্যই বোপ হয় সুতেজার সহিত স্বত-প্রস্থতাদির সম্বন্ধ দেখান হইয়াছে । শতপথব্রাহ্মণে অনুরূপ-স্থলে স্বতেজi-স্থলে 'স্বত তেজা ব্যবহৃত হইয়াছে ( ১০৬১ ) । s ইছার পরে বলা হইয়াছে ‘যিনি আদিত্য অর্থাং বিশ্বরূপ বৈশ্বানর-আয়ার উপাসন করেন, তাহার কুলে “বহু বিশ্বরূপ” বস্তু দৃষ্ট হয় (৫।১৩১) । ধিনি বায়ু অর্থাৎ "পৃথগ বস্তু ত্মিা বৈশ্বানরের উপাসন। করেন, তাহার কুলে ‘পৃথক্ বলি আগমন করে ( &IS 8IS ) i 總 যিনি আকাশ অর্থাৎ • ‘বহুল’-নামক বৈশ্বানরের উপাসনা করেন তিনি প্রজা ও ধনে বহুল’ হন ( ©ı» &ı» ) ; ধিনি আপ অর্থাৎ রয়ি-নামক বৈশ্বানরের উপাসন। করেন, তিনি ‘রয়িমান হয়েন (৫-৬১)। অশ্বপতির ব্রহ্মবাদ ৭২৫ যিনি পৃথিবী অর্থাৎ প্রতিষ্ঠা-নামক বৈশ্বানরের উপাসনা করেন, তিনি প্রতিষ্ঠা লাভ করেন (৫।১৭১ ) । এই কয়েকটি স্থল পাঠ করিয়া বুঝা যাইতেছে যে, প্রতিষ্ঠার উপাসনার ফল প্রতিষ্ঠা, রয়ির উপাসনার ফল রয়ি, বহুলের উপাসনার ফল বহুল ইত্যাদি । উপাস্ত বস্তু যে প্রকার, উপাসনার ফলও তদনুরূপ। পূৰ্ব্বোক্ত ছয়-প্রকার বৈশ্বানরের উপাসনার কথা বলিয়া অশ্বপতি বলিতেছেন যে, প্রকৃত বৈশ্বনির প্রাদেশ মাত্র এবং অভিবিমান; তাহার উপাসনার ফল সৰ্ব্বলোকে,* সৰ্ব্বভূতে ও সৰ্ব্বআত্মার অন্নভোজন । উপাস্য খাহা, উপাসনার ফলও যখন তাঁহাই, তখন ইহাই সিদ্ধাস্ত করিতে হইবে যে, সৰ্ব্বলোক, সৰ্ব্বভূত ও সৰ্ব্বআত্মা যাহ, প্রাদেশ মাত্র এবং অভিবিমান ও তাঁহাই । এখানে প্রথমে বলা হইতেছে তিনটি বস্তুর কথা– সৰ্ব্বলোক, সৰ্ব্বভূত ও সঞ্চাঙ্গাত্মা ! এই তিনটিকে বলা হইল প্রাদেশ মাত্র এবং অভিবিমান । এস্থলে তিনটি বস্তুকে দুইটি বিশেষণ দ্বারা নির্দেশ করা হইয়াছে। ইহার দুই অর্থ হইতে 外忆领1 প্রথম অর্থ সৰ্ব্বলোক ও সৰ্ব্বভূত—এই দুইটির বিশেষণ প্রাদেশমাত্র এবং সৰ্ব্ব-আত্মার বিশেষণ অভিবিমান । সৰ্ব্বলোক ও সৰ্ব্বভূত অর্থাৎ দু'লোক হইতে ভূলোক পৰ্য্যন্ত সমুদয় প্রদেশ এবং এই প্রদেশস্থ সৰ্ব্ববস্তু ইহার মাত্র ; এইজন্য ইহার নাম প্রদেশ মাত্র ( শঙ্করের ১ম, ৩য় શ્રત્ર કન્ટેસ ) । সৰ্ব্ব আত্মারূপে ইনি অভিবিলিত হন অর্থাং সৰ্ব্ব আত্মারূপে ইহাকে জানা যায়, এইজন্য ইহার নাম অভিবিমান ( শঙ্করের ১ম ও ২য় অর্থ দ্রষ্টব্য )। ‘প্রাদেশ মাত্র’ নাম দ্বারা সমুদায় অনাত্মবস্তুকে বৈশ্বানরের অন্তভূত করা হইল এবং ‘অভিবিমান’ শব্দ ব্যবহার করিয়া বলা হইল এই বৈশ্বানর আত্ম-বস্তু অর্থাৎ ইনি আত্মা ! দ্বিতীয় অর্থ () দ্বিতীয় অর্থ এই —প্রাদেশমাত্র বলিলে সৰ্ব্বলোক,