পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্য। ] মীমাংসা ( ૧ ) দিল্লীশ্বরে বা জগদীশ্বরে বা—এই সম্বন্ধে একখানি পুস্তকে একটি প্রবন্ধ পড়িয়াছিলাম। পুস্তকখানির নাম মনে নাই। যাহা হউক উক্ত প্রবন্ধের বিষয় এই যে আকবরের সময়ে. মহেশ ঠাকুর-নামক একজন সৰ্ব্বশাস্ত্র-বিশারদ পণ্ডিতের রঘুনন্দন মিশ্রনামে এক স্বধী ছাত্র ছিলেন । তিনি পাঠ-সমাপনন্তে গুরুদক্ষিণ। দিবার মানসে বহু ধনীর দ্বারে অনর্থক যুরিয়া অবশেষে ফতেপুর সিক্রিতে বিদ্বজ্জনৈকশরণ মহামতি আকৃবরের শরণাপন্ন হন। রঘুনন্দনের সহিত আকবরের সভাস্থ, পণ্ডিতগণ শাস্ত্রীর আলাপ করিয়া চমৎকৃত হন। সম্রাট ও সন্তুষ্ট হইয় তাহাব আগমনের কারণ জিজ্ঞাসা করিলে তিনি উত্তর করেন— দিল্লীশ্বরে বা জগদীশ্বরে বা মনোরথানু পুরুয়িতুং সমর্থ । অস্তেন কিঞ্চিৎ ধণিকেন দত্তম্ 4ক{য় বা স্থাৎ লবণায় বা স্তাৎ ॥ বল বাহুল্য গুণগ্ৰাহী সমাষ্ট্র রঘুনন্দনের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করিলেন । ত্রিহুত জেলার হাট পরগণার অন্তর্গত সে-সম্পত্তি রঘুনন্দনকে আকৃত্ব দান করেন, তাহ অদ্যপি মহেশঠাকুরের বংশধরগণ ভোগ করিতেছেন । ঐ কালিদাস ভট্টাচাৰ্য্য (#v ) ডবাক রাজ্যের ডবাক নামই এখনও বওঁমান আছে। বীরভূম জেলার গর্ভবাস ( বীরচন্দ্রপুর ) ও তারা-পীঠেপ বা ডাবুক-নামে একটি গ্রাম আছে। ঐ গ্রামে ডাবুকেশ্বর নামে এক শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠিত আছে। এই ডাবুক-গ্রামই সমুদ্রগুপ্তের ডবাক বলিয়া অনুমান হয়। ডবাক-নামে আর কোন স্থান নাই। -- রাখালদাস বন্দোপাধ্যায় ঢাকাকে ডবাক বলেন ( বাঙ্গলার ইতিহাস দ্বি: সং ৫• পৃষ্ঠা ) এবং স্ত্রীযুক্ত অমূল্যচরণ বিদ্যাভূষণ মহাশয় কাছাড়ের পূর্বদিকে ডবাক বলিয়াছেন ইহ। ঠিক নহে। ঢাকা সমতটে, সমুদ্র গুপ্তের এলাহাবাদ-লিপির ২২: পংক্তিতে সমতট ও ডবাক উভয় নামই আছে। কাছাড়ের নিকটও ডবাক নামে কোন স্থান নাই। সুতরাং বীরভূমে ডবাক-নামে স্থান থাকায় অঞ্চত্র ডবাকের কল্পনা করার অবশ্যকতা দেখা যায় না । e e ( » » ») “–গুহং প্রবিশেযুৰ্দ্ধিৰ চেঙ্গহস্তদা রাত্রেী রাত্রে চেদহস্তদা শ্ৰী বিনোদবিহারী রায় বেতালের বৈঠক—মীমাংসা Գ:Տ> দিবসে গ্রামপ্রবেশ । অৰ্শক্তে ব্রাহ্মণানুমতিং গৃহীত্ব কাল প্রতীক্ষণং বিনা প্রবিশেষুঃ—” ইতি শুদ্ধিতত্ত্বে। দিবসে দাহ হইলে রাত্রিতে এবং রাত্রিতে দাহ হইলে দিবসে গ্রাম প্রবেশের শাস্ত্রীয় বিধি। অশক্ত হইলে বিধি-নির্দিষ্ট কালের পূৰ্ব্বেও ব্রাহ্মণtলুমতি লইয়া গ্রাম-প্রবেশ করা যায়। শ্ৰী কালিদাস ভট্টাচাৰ্য্য ( २२¢ ) স্বধৰ্ম্মে নিধনং শ্ৰেয়ঃ পরধৰ্ম্মে ভয়াবহ:—অনেকানেক স্বধীনে এই শ্লোক পদের বহুবিধ অর্থ করিয়াছেন : আমরা উহার নিম্নলিখিতরূপ অর্থ করি। স্বধৰ্ম্ম অর্থে আমরা বুঝি:আত্মজ্ঞানরূপ ধৰ্ম্ম স্থার পরধর্ক্স অর্থে বুঝি প্রকৃতি-ধৰ্ম্ম । এহ্মণে এই পরধৰ্ম্ম বা প্রকৃতি-ধৰ্ম্ম পেক্ষ স্বধৰ্ম্ম অনুষ্ঠেয় কেন তাহ শঙ্করাচাৰ্য্যকৃত গীতার সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যান্তেই পাওয়া যায়। বেদোক্ত ধৰ্ম্ম দুইপ্রকার, প্রবৃত্তি লক্ষণ ও নিবৃত্তি লক্ষণ : এই ধৰ্ম্ম জগতের স্থিতির কারণ ও মুক্তির হেতু । দুপ পুর্ণ সংসার হইতে নিবৃত্তিরূপ নিৰ্ব্বাণ-মুক্তিই এই গীতা-শাস্থের উদে%। এই মুক্তি আত্মজ্ঞানরূপ ধৰ্ম্ম ও সৰ্ব্বকৰ্ম্মত্যাগ হইতে উদ্ভূত হয়। ভগবানও এই গীতাৰ্থ-ধৰ্ম্ম উদ্দেশ করিয়া অনুগীতাতে বলিয়াছেন, ব্রহ্মপদ যে নিৰ্ব্বাণমুক্তি. তল্লাভই সুপর্যাপ্ত ধৰ্ম্ম এবং সৰ্ব্বকৰ্ম্মত্যাগ-রূপই জ্ঞান। বর্ণশ্রমউদ্দেশে অভু্যদয় সাধক ( স্থিতির কারণ ) যে প্রবৃত্তিলক্ষণ ধৰ্ম্ম ( প্রকৃতি ধৰ্ম্ম বা পরধৰ্ম্ম ) দেবাদিস্থান-প্রাপ্তির নিদান হইলেও ঈশ্বরাপণ • বুদ্ধিতে অনুষ্ঠিত হয় বলিয়া ও ফলাভিসন্ধিবর্জিত বলিয়া সত্ত্বশুদ্ধির নিমিত্ত হইয় থাকে । শুদ্ধসত্ত্ব ব্যক্তির জ্ঞান-নিষ্ঠীর যোগ্যতা ও জ্ঞানে।ৎপত্তির হেতুদ্বারা নিৰ্ব্বাণমুক্তি লাভ হয়। অতএব দেখা যাইতেছে যে, নিৰ্ব্বাণমুক্তিদায়ক আত্মজ্ঞানরূপ ধৰ্ম্মই অনুষ্ঠেয়, কেননা উঠাই স্বপৰ্য্যাপ্ত ধৰ্ম্ম, অস্তত্বও ভগবান অর্জনকে বলিয়াছেন, সৰ্ব্বধর্থন পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্ৰঞ্জ । লী কালিদাস ভট্টাচাৰ্য্য ( ১৩১১২র ) ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত ; দেশজ শব্দ, আভিধানিক নহে। “—সম্ভবতঃ শব্দটি এইরূপে উৎপন্ন হইয় । থাকিবে, যথা—দেহমধ্যে ছয়টি প্রধান চক্র আছে, তাহাদিগকে ধটচক্র বলে। উহার যখন একভাবে থাকে, তখণ মনুষ্যের শারীরিক বা মানসিক স্বাভাবিক অবস্থার বিপৰ্য্যয় সহজে হয় না, এবং উহাদের বিষয়ও স্বনিম্পন্ন হয় । অথবা উহাদের কার্য্য গুপ্তভাবেই হইয়া থাকে, এইজঙ্ক এই কথাটিতে গুপ্ত মন্ত্রণ বুঝায়" । হবল মিত্রেঃ বাঙ্গলা অভিধান শ্ৰী কালিদাস ভট্টাচাৰ্য্য তন্ত্রের শাস্তি, বশীকরণ, স্তম্ভন, বিদ্বেষ, উচ্চাটন, মারণ, এই ছয় যন্ত্র ষড়যন্ত্র। রায়বাহাদুর যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধির শব্দকোষ ।