পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ե-օՀ এবাণী—মাখি లల్సి - [રકન स्रांशं, sञ थ७ অর্থ-ভেদ করিবার কোনও চেষ্টা না করিয়া যেখানে অর্থভেদের কোনও সম্ভাবনা ছিল ন৷ তথায়, অর্থাৎ জয়ন্তীর মুখের উপর, পরম বিস্ময়ের সহিত নিঃশব্দে চাহিয়া রহিলেন । অগত্যা কথাটা জয়ন্তীকে বুঝাইয়া দিতেই হইল। তখন স্বমিত্রার প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া প্রমদাচরণের মুখ উজ্জল হইয়া উঠিল। স্বমিত্রার মস্তকে হস্তার্পণ করিয়া স্মিতমুখে কহিলেন, “প্রথম দিন আমি একটু বিচলিত হয়ে পড়েছিলাম, কিন্তু তার পরই মনে হয়েছিল যে এইরকমই একটা কিছু অবশেষে ঘটবে, আর তার জন্ত আমি বাস্তবিকই অপেক্ষা করছিলাম। স্বমিত্রা যেপথ অবলম্বন করেছিল আমার মনে হয় সে একটা উৎকৃষ্ট পথ। শক্তিকে আয়ত্ত করার একটা প্রধান উপায় হচ্ছে শক্তির বিরুদ্ধচরণ না-করা । বিরুদ্ধাচরণে শক্তি নিজেকে প্রবল কবৃবার সুবিধা পায়।” বলিয়া জয়ন্তীর দিকে চাহিয়া হাসিতে লাগিলেন। আরক্তস্মিতমুখে জয়ন্তী বলিলেন, “এখন তোমরা স্ববিধা পেয়েছ, এখন যা বলবে সবই সহ করতে হবে। তোমার মেয়ে ত বলেছে যে আমাকে খন্দর পরাবে।” পুলকিত হইয়া প্রমদাচরণ বলিলেন, “তাই ত! দণ্ড বিধানও যে হয়ে গিয়েছে দেখছি! তুমি কি বললে ?” স্বমিত্রার প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া হাসিতে-হাসিতে জয়ন্তী বলিলেন, “কি আর বলব! বললাম, যখন তোমার দিনকাল পড়েছে তখন যা বলবে তাই করতে হবে।” প্রসন্নমুখে প্রমদাচরণ বলিলেন, “তুমি আমাকে আমার মেয়ে ফিরিয়ে দিতে এসেছ জয়ন্তী, কিন্তু বাস্তবিক তা সত্যি নয়, তুমিই তোমার মেয়েকে আজ ফিরে” পেয়েছ। পাওয়া মানে শুধু হাতের মধ্যে পাওয়া নয়, মনের মধ্যে পাওয়াই আসল পাওয়া!” তৎপরে স্থমিত্রার দিকে ফিরিয়া বলিলেন, “তোমার পক্ষে আজ একটা শুভদিন সুমিত্ৰা ! আমি আশীৰ্ব্বাদ করি তোমার জীবন সার্থক আর সফল হোক! এখন থেকে জননী অার জন্মভূমি উভয়কেই তুমি স্বম্বমুনে সেবা করতে পারবে। তোমার জীবনে আর কোনও গোলযোগ রইল না!” জয়ন্তী মুখে কিছু বলিলেন না, মনে-মনে বলিলেন, “তুমি বাপ, তুমি আর কত বুঝবে! এখনও একটা বিষম গোলযোগ বাকি রইল !” কয়েকদিন পরে স্বরম বেড়াইতে আসিয়াছিল । সমস্ত কথা শুনিয়া সে জয়ন্তীকে কহিল, “ঠাকুর-পোও ত অনেকটা স্বদেশী হয়ে এসেছে, এইবার তা হ’লে স্বমিত্রার বিয়ে দাও না মা ! এখন সম্ভবতঃ স্থমিত্রা বিয়ে করতে রাজি হবে। বলে ত এই ফাগুন মাসেই বিয়ের ব্যবস্থা করি।” জয়ন্তী মাথা নাড়িয়া বলিলেন, তা-ও কখন হয় ? ছেলে-জামাই দেশে না ফিরলে হ’তেই পারে না। তা ছাড়া, খদ্দর ছাড়াতে গিয়ে যেশিক্ষা আমার হয়েছে, এখন আমি আর কোনও কথা তুলছিনে ! আগে ওর শরীরটা ধাতে ফিরে আস্থক তার পর অন্য কথা।” অনেক কথা আন্দাজি আন্দাজি মনে ভাবিয়া লইয়া স্বরম বলিল, “স্বরেশ্বরের সঙ্গে স্থমিত্রার বিয়ে দেওয়ার কথাও কখন কখন ভাবে কি মা ?” স্বরমার কথা শুনিয়া চমকিত হইয়া জয়ন্তী বলিলেন, “ক্ষেপেছিল নাকি । তা-ও কখন হয় ।” তাহার পর অন্তমনস্ক হইয়া একটু চিন্তা করিয়া বলিলেন, “ত কখনই হবে না, তবে স্বরেশ্বর জেল থেকে খালাস হবার পর স্বমির বিয়ে হওয়া ভাল। এ যেন সে মনে না করে যে স্বরেশ্বর জেলে রয়েছে বলে’ আমরা তাড়াতাড়ি তার বিয়ে দিয়ে দিতে চাচ্ছি।” 編『 স্বরম একটু চিন্তা করিয়া বলিল, “সে কথা ঠিক বলেছ মা ।” - (ক্রমশ: )