পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭િ૧

  • ১ম সংখ্যা ]- ছেলেদের পাত্তাড়ি—দরজির বুদ্ধি - . টেলিগ্রাফের যন্ত্র। इंगाबाई বললে যে তার অনেক দিন -

দেশের রাজা । ভাত-কাপড়ের জন্য লোকের এখন যেমন থেকেই পৃথিবীতে খবর পাঠাচ্ছে কিন্তু কোন উত্তর পায়নি। বুঝলাম আমাদের তারহীন টেলিগ্রাফের যন্ত্রগুলোতে যে মাঝে মাঝে অবোধ্য সঙ্কেত-শব্দ ধরা পড়ত তা এরাই পাঠিয়েছে। তার পর তারা আমায় সে-দেশের বৈজ্ঞানিকদের সঙ্ঘে নিয়ে গিয়ে অভ্যর্থনা করলে। আমি সেখানেই দিন কয়েক তাদের সঙ্গেই রইলাম। ক্রমে ক্রমে ইঞ্জিত ও সেই সঙ্গে শব্দ শুনেও তাদের ভাষা অনেকটা বুঝতে শিখলাম। . তাদের.অল্পকরণে শেষে নিজেও উচ্চারণ করে’ পৰ্য্যস্ত তাদের সঙ্গে বাক্যবিনিময় করেছি। তাদের মধ্যে খুব স্কুখেই দিন কয়েক "কাটিয়েছিলাম। কোনো অভাবই আমার ছিল না। তার পর দিনকয়েক গেলে দ্রুতগামী এরোপ্লেনে চড়ে মঙ্গল প্রদক্ষিণ করলাম। দেখলাম বিষুবরেখার কাছটাতেই এসব লোকের বাস করে। মেরুর কাছে, পৃথিবীর মতই লোক বিরল। কিন্তু এদের বসতিতে বৃষ্টি হয় না এক ফোটাও । তাই চাষ-বাসের সুবিধার জন্ত এর মেরু থেকে বিষুবরেখা অবধি বড় বড় থাল কেটে এনেছে । যখন ররফ গলে, খাল বেয়ে এ-প্রদেশে জল আসে আর তাইতেই চাষ-বাস চলে। এত বড় থাল কাটা কম বুদ্ধি ও কম অধ্যবসায়ের কৰ্ম্ম নয় । শস্তের ক্ষেত্রগুলো এত বিস্তৃত যে মর্ত্যের লোকে কল্পনা কবৃত্বেও পারবে না। এই খালগুলো পৃথিবী থেকে টেলিস্কোপের সাহায্যে কাল কাল দাগ বলে’ প্রতীয়মান হয়। ক'দিন ধরে এদের সব বেড়িয়ে দেখবার পর আঁমি পৃথিবীতে ফিরে আসতে চাইলাম। তাদের কাছে স্বউই তৈয়াবির মশলা চাইলে তার বুঝতে পালে ন, আমায় ল্যাবরেটারীতে নিয়ে গেল। সেখানে এত পদার্থ দেখলাম যা পৃথিবীতে কখনো দেখিনি। ক'দিন পরে হাউই তৈরী করবার পর তাদের কাছ থেকে চোখের জল ফেলতে ফেলতে পৃথিবীতে ফিরে’ এলাম। ঐ নিৰ্ম্মলকুমার রায় দরজির বুদ্ধি . অনেকদিন আগেকার কথা , বিক্রমাদিতা তখন এ মেহনং করতে হয়, তখন তেমন করতে হত মা। বছরের ভিতর অনেকগুলো দিন থাকৃত ছুটির দিন ; তাতে কাজ করতে হ’ত না, অথচ মাইনে পাওয়া যেত ; স্বতরাং কৰ্ম্মকৰ্ত্তাদের বিরক্তি হ’লেও কর্মচারীরা নতুন কোন ছুটির স্বটিতে খুব আনন্দ পেত। এমনি সময়ে একটা নতুন ছুটির হুকুম বেরুল মহারাজ বিক্রমাদিত্যের জন্মদিন। দেশস্কন্ধ লোকে মহাখুলী। ছুটির দিনে লোক নিযুক্ত হ’ল তদন্ত করবার জন্তে যে সবাই ছুটি মানছে কি না। বাস্তবিক সকলেই পৰ্ব্বটি আনন্দের সঙ্গে পালন করছিল, কাজকৰ্ম্ম বন্ধ করে ফুষ্টি করছিল ; খালি একজন দরজি, সে রোজকার মতো তার অভ্যস্ত কাজ সেলাই ফেঁাড়াই করেই চলেছিল। বেশীক্ষণ সে রাজকৰ্ম্মচারীর চোখ এড়াতে পারেনি, শীঘ্রই ধরা পড়ল এবং তাকে । রাজার কাছে নিয়ে যাওয়া হ’ল ; রাজা জিজ্ঞাসা করলেন আমার হুকুম অমান্ত করে আমার জন্মদিনের ছুটিতে তুমি কাজ করছিলে কেন ? দরজি বিনীত-ভাবে উত্তর দিলে—‘হুজুর রোজ আমার আট আনা রোজগার করা দরকার, তা না হ’লে আমার চলে না, তাই কাজ করছিলাম। রাজা জিজ্ঞাসা করলেন—“ঠিক আট আনা তুমি রোজ কি কর " দরজি বললে— “শুধিতে আগের ধার লাগে দুই আন, দুই আন ধার দিই, দু আনাতে খান, দুঃআনা হারাই রোজ ধৰ্ম্ম-অবতার, তাই আট আনা রোজ করি রোজগার ।" রাজা বিস্ময়ের সহিত দরজির এই অদ্ভুত শ্লোক শুনছিলেন এবং কিছুকাল ভেবে যখন কোন মাদু আবিষ্কার করতে পারলেন না তখন দর্জিকেই এর’ মানে জিজ্ঞাসা করলেন । দরজি বল্লে—আমার এক বুড়ো বাপ আছেন, তিনি আমাকে ছোটবেল পাইয়ে পরিয়ে মানুষ করেছিলেন, এখন তিনি কাজ করতে পারবেন না, তাকে প্রত্যহ দু আন করে দিই,--এটা আমি তার আগে দেওয়া ধার-শোধ মনে করি। আমার ছেলেকে দিই রোজ দু’আনা ; আমি যখন বুড়ে হব, তখন সে এই ধার শোধ দেবে , নিজের খোরাকীর জন্ত লাগে