পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سوارټ ছ'আনা; আর স্ত্রীকে দিই ’শান-এটা আমি হারানো মুন কুরি, কারণ আমি মারা গেলে সে ফের বিয়ে করবে, আমার কথা মনেও করবে ম৷ ” রাজা এই অর্থ শুনে খুব খুশী হলেন এবং দর্জিকে ছেড়ে দিলেন, কিন্তু বলে’ দিলেন যে যদি এই অর্থ একশ’বার রাজার মুখ দেখুবার আগে কাকেও বলে তবে তার প্রাণদণ্ড হবে । তার পর সভায় গিয়ে রাজ পণ্ডিতদের জিজ্ঞাস করলেন— “শুধিতে আগের ধার * * ইত্যাদি । এর অর্থ কি ?” পণ্ডিতেরা অবাক । রাজা বললেন যে এক হগুার ভিতর যদি তোমরা এর মানে বলতে না পার, তবে রাজ-সভায় আর তোমাদের স্থান হবে না। পণ্ডিতেরা অনেক মাথা ঘামিয়েও এক হথার ভিতর কিছু আবিষ্কার করতে পারলেন না । শেষ দিম সবাই বিষ্ণমুগে সভায় চললেন । হঠাৎ কালিদাসের মাথায় এক বৃদ্ধি এল ; তিনি ভালেম যে দরজির সঙ্গে দেখা হবার পরই রাজা এ প্রশ্ন করেছেন, স্থতরাং তার সঙ্গে এ শ্লোকের কোন সম্বন্ধ আছেই। তিনি তখনি দরজির বাড়ী হাজির হলেন এবং এর অর্থ প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড তাকে রাজি করা হ’ল ধ্ৰুংগঠক হ’ল একশ' টাকা তাকে আগাম দিতে হবে তবে সে অর্থ বলবে । তাই করা হ'ল। দরজি তখন প্রত্যেক টাকাটি ভাল করে পরীক্ষা করে বাক্সে পুরে শ্লোকের অর্থ বলে দিলে। কালিদাস এক ছুটে রাজসভায় গিয়ে দেখলেন পণ্ডিতেরা বিমর্ষ হ’য়ে বসে আছেন আর রাজা জমৃকাল পোষাকে মস্ত উচু সিংহাসনে বসে সেই প্রশ্নই জিজ্ঞাসা করছেন। কালিদাস তখনি মানে বললে। রাজা চমকে উঠে বলেন--"বিশ্বাসঘাতকতা! আচ্ছা ! আমি আসছি।" এই বলে গুপ্তকক্ষে গিয়ে দর্জিকে তলব করলেন এবং সে এলে অগ্নিমূৰ্ত্তি হয়ে বললেন-কোন সাহসে তুমি আমার হুকুম অমান্ত করেছ ? দরজি জানালে, সে কোন হুকুম অমান্ত করেনি। রাজা বললেন, তবে কালিদাস কি করে সে স্লোকের অর্থ জানলে ? দরজি বললে—আপনার হুকুম-মতে, একশ’টি টাকার উপর একশ’বার আপনার মুখ ভালো করে দেখে’ তবে মানে বলে দিয়েছি। রাজা শুনে হেসে বলেন-- জামার সমস্ত পণ্ডিতের চাইতে তোমার বুদ্ধি বেশী । এবং বের করবার জন্য পীড়াপীড়ি করতে লাগলেন। সে তাকে বেশ মোটা-রকম বকৃশিষ দিয়ে বিদায় করলেন। লোকটা প্রথমে কিছুই বলবে না, অবশেষে লোভ দেগিয়ে গ্ৰী নগেন্দ্রনাথ সেন বর্ষ-বরণ • . দীপ্ত দিমের আলে৷ তুহিন-শীতল শুভ্র শীতের শেষে মুছিয়ে দিতে দীর্ঘ রাতের পুঞ্জীভূত স্ত্রাপার ঘন-কালে সকল দেশে দেশে আসে যেমন রঙীন হেসে নবীন প্রভাতে ; উঠেছে যার আগমনীর সাড়া, উষার উজল স্বর্ণ-প্রপাত উচ্ছসিত ধারায় নিবিড় বনের স্তন্ধ মনের মাঝে *V ছড়িয়ে পড়ে যেমন তারায় তারায় পুনর্নবীন সাজে আকাশ ছেয়ে পূবের সভাতে ; সেজে ওঠার গিছল পড়ে তাড়া ! তেম্নি কি আজ পূর্ণ দ্বাদশ মাসের দিবানিশি অশ্রান্ত তার ডাকে সঞ্চিত শোক সকল ব্যথার জমাট দীর্ঘশ্বাসের মত্ত কোকিল যাকে তুলিয়ে দিতে দুঃখ, দহন-জাল, * ফাগুন থেকে কাছে আবাহন, নববর্ষ নামূল এসে গহন-পারে মোহম হেসে • পড়িয়ে কেশে বন-চামেলীব মাপ : আঞ্জ প্রভাতে আচম্বিতে দেখলে সবাই তারে এই ধরণীর বিরাটু সিংহদ্বারে দাড়িয়েছে সে রাখতে নিমন্ত্ৰণ ।