পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

والحجة বললে, “পূর্ণিমা, দেবী, আপনার কি হয়েছে আমাকে বলুন !” _ কান্না-ভরা গলায় পূর্ণিমা বললে, “সে কথা শুনে আপনার কোন লাভ নেই, দয়া ক’রে আর কিছু জিজ্ঞাসা করবেন না, আজ আমাকে মুক্তি দিন ।”—বলতে বলতে সে উঠে দাড়াল, তার পর তাড়াতাড়ি সেগান থেকে চ’লে ( |········. প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড স্তম্ভিতের মর্তন রতন সেইখানেই বসে রইল— পূর্ণিমার সমস্ত মন খোলা-পুথির মত চোখের সামনে নিয়ে ।. পূর্ণিমার এই অশ্রুর স্মৃতি সে কি আর এজীবনে ভুলতে পারবে ? - সমাপ্ত । শ্ৰী হেমেন্দ্রকুমার রায় পরমাণুর প্রকৃতি নব্য রাসায়নী বিদ্যার প্রকৃত প্রসার আরম্ভ হয় উনবিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভে । এষ্ট সময়েই সুইডেন দেশবাস৷ রসায়নবিং পণ্ডিত বাজিলিয়ুস রসায়ন-জগতে একচ্ছত্র সম্রাটুরূপে রাজত্ব করিতেছিলেন । বার্জিলিয়ুস তাহার অনাড়ম্বর ক্ষুত্র পরীক্ষাগারে যে অতি স্বক্ষ পরীক্ষামূলক গবেষণা করিয়া গিয়াছেন তাহা বিংশ শতাব্দীর অতি বড় পণ্ডিত রাসায়নিককে পর্য্যস্ত স্তম্ভিত করিতেছে। বার্জিলিয়সের প্রতিভা সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক ফুরিত হইয়াছিল মূলপদার্থসমূহের আপেক্ষিক আণবিক ভারনির্ণয়-ব্যাপারে । বৰ্ত্তমান যুগের "বিলাসী’’ রাসায়নিককুল একদিনের জন্য ও পরীক্ষাগারে তাড়িতশক্তি বা অন্য কোন সুবিধার অভাব ঘটিলে আৰ্ত্তনাদে গৃহ মুখরিত করেন, আর বৈজ্ঞানিকশ্রেষ্ঠ বার্জিলিয়স্ ? সাংসারিক অস্বচ্ছলতার প্রতি বিন্দুমাত্র দৃকপাত না করিয়া যোগী সন্ন্যাসীর মত এই পণ্ডিত স্বল্পপরিসর একটি ক্ষুদ্র "প্রকোষ্ঠকে একাধারে শয়ানাগার, রন্ধনশালা ও পরীক্ষাগারে পরিণত করিয়াছিলেন। একটি বৃদ্ধা দাসী ছিল সে গৃহের কত্রী। তাহারই আদেশে বার্জিলিয়সকে নিত্যনৈমিত্তিক কাৰ্য্য যেন-তেল-প্রকারেণ সমাধা করিতে হইত। সুইডেনের এই দারিদ্র্যব্যঞ্জক সামান্ত পরীক্ষাগারে আতিশয্যের চিহ্নমাত্র ও ছিল না—ছিল কেবল পরীক্ষকের অপূৰ্ব্ব মনীষা ও একনিষ্ঠ সাধন । • বাঞ্জিলিসের পূর্বে প্রতিভাবান রাসায়নিকের আকিৰ্শ্বস্ব যে নাইইয়াছে ইহা নহে। পুৰ্ব্ববর্তী যুগেব í রাসায়নিক জাৰ্ম্মাণ পণ্ডিত শীলার কৃতিত্বও বড় কম নহেতবে পরিমাপমূলক অনুসন্ধানে শীলা বিশেষ খ্যাতি লাভ করেন নাই । । যে-সময়ের বিষয় আমরা আলোচনা করিতেছি, সেই সময়ে ইংলণ্ডের একজন শিক্ষক একটি আণবিক মতবাদ প্রচার করেন । পরিমিত পদার্থকে অনন্তকাল বিভাগ করিয়া যাওয়া সম্ভবপর কি না এবং অসম্ভব হইলে বস্তুর এই চরম অবস্থার স্বরূপ কিরূপ ইহা লইয়া অনেকেই বহুকাল হইতে চিন্তা করিতেছিলেন । দার্শনিক পণ্ডিতেরা বহুপূৰ্ব্বেই দার্শনিকভাবে ইহার একটা চূড়ান্ত নিম্পত্তি করিয়া দিয়াছিলেন। পরন্তু এই দার্শনিক মীমাংসার কোন পরীক্ষামূলক প্রমাণ ছিল না বলিয়া বৈজ্ঞানিক সমাজে সাগ্রহে গৃহীত হয় নাই । ড্যালটন প্রথমে মূল ও যৌগিক পদার্থের বিভিন্নতা নির্দেশ করিয়া কয়েকটি স্বতঃসিদ্ধ নিয়ম প্রচার করেন । ড্যালটনের মতে প্রত্যেক মূল পদার্থের অবিভাজ্য চরম অংশ যাহা পরমাণু বলিয়া অভিহিত হয় অন্য সকল পরমাণু হইতে ভার ও অন্যান্য ধৰ্ম্ম দ্বারা বিশিষ্ট হয় । বস্তুর নিত্যতা-নিয়ম (প্রিনসিপ্যুল অভৃ কনসারভেশন অভ মাস) অনুসারে পরমাণুর বিনাশ নাই। রাসায়নিক সংমিশ্রণে ইহার ভার বা অন্ত কোন বস্তুধৰ্ম্মের বিকার হয় না এবং পূর্ণসংখ্যক পরমাণু একটি যৌগিক অণুনিৰ্ম্মাণে প্রয়োজন হয় ইহাই হইল ড্যালুটনের আণবিক মতবাদের মূল কথা। ইহার সাহায্যে ড্যালটন , তৎকালে প্রচলিত রাসাধনিক সংমিশ্রণের কতকগুলি,