পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বমূৰ্ত্তিক কর্ণাভরণগুলি সুবর্ণনিৰ্ম্মিত ও তাঁহাতে মণি-মুক্ত স্বল্পভাবে খচিত ছিল । কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রেও দেখিতে পাওয়া যায় যে, প্রাচীন কালে বহুপ্রকার অলঙ্কারের প্রচলন ছিল। বহুবিধ কণ্ঠহারের মধ্যে শীর্ষক, উপশীর্ষক, প্রকাওক, অবঘাটক ও তরলপ্রতিবন্ধ প্রভৃতি বিভিন্ন প্রকার মুক্তাহারের উল্লেখ বহু গ্রন্থে পাওয়া যায় । সমান আকৃতির মুক্তামালায় হার রচনা করিয়া কেন্দ্রস্থলে একটি বড় মুক্ত দিয়া ‘শীর্ষক’ প্রস্তুত হইত। এইরূপ হারের কেন্দ্রস্থলে পাচটি বড় বড় মুক্ত থাকিলে তাহাকে উপশীর্ষক বলিত। ‘প্রকাওকে ক্রমহ্রাসমান মুক্তামালায় রচিত হারের কেন্দ্রস্থলে একটি বড় মুক্ত থাকে। অবঘাটক সমান অবয়বের মুক্তামালায় রচিত হইত। মুক্তাহারের কেন্দ্রস্থলে একটি উজ্জ্বল মুক্ত দিয়া যে হার রচিত হইত তাহার নাম-তরলপ্রতিবন্ধ । এক হাজার আট লহরে "ইন্দ্রচ্ছন্দ, ইহর অৰ্দ্ধেক লহরে ‘বিজয়চ্ছন্দ এবং চৌধটি লহরে অৰ্দ্ধহার’ নামক মুক্তাহার রচিত হইত। এতদ্ভিন্ন চুয়ান্ন গাছি মুক্তমালার লহরে “রশ্মিকলাপ, বত্রিশ লহরে 'গুচ্ছ", সাতাশ লহরে ‘নক্ষত্রমাল, চব্বিশ লহরে 'অৰ্দ্ধগুচ্ছ", বিশ লহরে ‘মানবক’ এবং দশ লহরে অৰ্দ্ধমানবক’ হার রচিত হইত। উপরোক্ত হারগুলির ঠিক মধ্যভাগে একটি বড় মুক্ত বসাইয়া দিয়া সৌন্দৰ্য বৃদ্ধি করা হইত ; এইরূপ হার ‘বিজয়চ্ছন্দ-মানবক' অৰ্দ্ধহার-মানবক’ ও ‘রশ্মিকলাপমানবক’ প্রভৃতি অখ্যা পাইত । অনেক গাছি মুক্তমালার লহরের হারগুলি আবার শীর্ষক, উপশীর্ষক, প্রকাওক, অবাটক এবং তরল প্রতিবন্ধ প্রভৃতির আদর্শেও প্রস্তুত হইত। উপরোক্ত অাদর্শে রচিত হরগুলিকে "শুপ্তহার’ বলিত ; এইরূপ ‘ইন্দ্রচ্ছন্দশীর্ষক ইচ্ছেন উপশীর্ষক প্রভৃতি হার ছিল। মুক্তমালায় রচিত অন্ত প্রকার হারের নাম ফলকহার ; এই সকল হায়ের মধ্যভাগে তিনটি, পাচটি করিয়া চ্যাপ্টা মুক্ত বসান থাকিত এইরূপ তিনটি চ্যাপ্টা মুক্তাখচিত হারকে ‘ত্রিফলক এবং পাঁচটি মুকাখচিত হরকে ‘পঞ্চফলক बनिङ । अकश्राष्ट्रि जश्ष्ब्र ब्रछि धूख्ाशङ्करक 'अकांक्नि' *qवर 'uकांबजिब्र मथाठम्भ ७कर्क भषि' बनन भांकिरण ਛੋੜ ్సరిక তাহাকে ‘যষ্টি বলিত। এইরূপে হারের মধ্যে মধ্যে স্বর্ণমলা থাকিলে তাহাকে ‘রত্নাবলী’ বলিত । পর পর এক গাছি করিয়া মুক্তাহার এবং সমান অবয়বের স্বর্ণহারে রচিত হারকে অপবৰ্ত্তক হার বলা হইত। দুইগাছি মুক্তাহারের মধ্যে একগাছি স্বর্ণলহর দিয়া ‘সোপানক’ প্রস্তুত হইত ; এইরূপ হারের মধ্যভাগে একটি ‘মণি’ খচিত থাকিলে তাহাকে ‘মণি-সোপানক' বলা হইত। স্বর্ণখচিত অপবৰ্ত্তক, সোপানক, মণি-সোপানক, যষ্টি, একবলি প্রভৃতি প্রাচীনকালে শিরোহার, কঙ্কণ, বলয় ও ঘুণ্টিক প্রভৃতি মুক্তাখচিত অলঙ্কারের পরিচয় পাওয়া যায়। 哆 অর্থশাস্ত্রে স্বর্ণকারদের কথাও আছে । সদর রাস্তার কেন্দ্রস্থলে স্বর্ণকারের দোকান থাকিত ; উচ্চবংশের সচ্চরিত্র নিপুণ কারিগর ভিন্ন অন্ত কেহ দোকান খুলিতে পারিত না । স্বর্ণ ও রৌপ্যের অলঙ্কার বিভাগ বা ব্যবসায় যাহাতে সততার সহিত চালিত হয়, সেই জন্ত রাষ্ট্রের এক জন তত্ত্বাবধায়ক থাকিতেন ; তাহার অধীনে ‘অক্ষশীলা থাকিত । এই অক্ষশালীয় স্বর্ণরৌপ্যাদি ধাতুর কারিগরী শিক্ষা দেওয়া হইত এবং স্বর্ণরৌপ্যের অলঙ্কারাদি প্রস্তুত হইত। স্বর্ণকারগণ স্বর্ণের গুণনির্ণয়ে এবং ধাতুদ্রব্যাদি সম্বন্ধে রসায়ন-বিদ্যায় বিশেব অভিজ্ঞ ছিলেন। অক্ষশীলায় চারিখানি কক্ষ এবং মাত্র একটি দ্বার থাকিত ; অক্ষশীলায় স্বর্ণকারগণ এবং যাহাদের সেখানে কাজ রহিয়াছে তাহারা ভিন্ন কেহই প্রবেশ করিতে পারিত না ; ইহার নিয়মাবলী অত্যস্ত কঠোর ছিল । স্বর্ণকারগণ বিশুদ্ধ স্বর্ণের কাঞ্চন, পৃযিত (শূন্তগর্ভ), তন্ত্রী বা মণিখচিত স্বর্ণ এবং তপনীয় প্রভৃতি বিবিধ স্বর্ণালঙ্কার প্রস্তুতে নিযুক্ত থাকিত। অক্ষশালায় যে স্থানে বসিয়া স্বর্ণকারগণ কাৰ্য্য করে, তাঁহাদের কোন কাৰ্য্য যে পৰ্য্যস্ত সমাপ্ত না হয়, সেই পৰ্য্যস্ত সেইস্থানে অসমাপ্ত দ্রব্য ও যন্ত্রপাতি থাকিত। তাহার কাৰ্য্যের জন্ত যে স্বর্ণ গ্রহণ করিত, দৈনিক কাৰ্য্য সমাপন করিয়া তাহার হিসাব তাহদের বুঝাইয়া দিতে হইত। যে-সকল অলঙ্কার সমাপ্ত হইত তাহা কারিগর ও তত্ত্বাবধায়কের শীমোহরে বন্ধ कब्रिङ्ग ब्रॉथ इंझेऊ । - -- ক্ষেপণ, গুণ এবং ক্ষুদ্ৰ—এই তিন প্রকার অলঙ্কারের