পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৪ এক মগ চাল কিনিয়াছিলাম, সেই ৫ টাকা যখন বন্ধুকে আমি ফিরাইয়া দিলাম তখন তিনি তাঁহা দ্বারা আধ মণের বেশী চাল আর খরিদ করিতে পারলেজ না । ইতিমধ্যে র্তাহার অৰ্দ্ধেক টাকা হাওয়ায় উড়িয়া গিয়া তাহার দেনদারের পকেটে আশ্রয় লইয়াছে। মামুষের টাকার প্রয়োজন টাকার জন্ত নহে, তাহার সাহায্যে তাহার অন্ত প্রয়োজন মিটাইবার জষ্ঠ । কৰ্ম্মক্ষেত্রে বা ব্যৱস্যাক্ষেত্রে মানুষের সহিত মানুষের সম্পর্ক দেনা-পাওনা লইয়া । অপরের নিকট আমার যেমন টাকা প্রাপ্য অাছে তেমনই আবার অপরেও আমার নিকট টাকা পাইবে । কিন্তু মুদ্রাসূল্যের হ্রাস-বৃদ্ধির ফলে এই দেনা-পাওনা স্থিঞ্জ থাকে না এবং নিতান্ত অকারণে একজনের পাওনা বাড়িয়া দেনা কমিয়া যায় কিংবা দেনা বাড়িয়া পাওনা কমিয়া যায়। এইরূপে অর্থ যখন অন্তায় রকমে হাত বদলায় তখন নুতন ধনী নুতন পছন্ম ও নুতন দাযি লইয়া বাজারে উপস্থিত হয় এবং দোকানদার তাহার পুরাতন অভিজ্ঞতা ও আয়োজন লইয়া একেবারে বোকা বনিয়া যায়। ইহাও ব্যবসাজগতে বর্তমান বিশৃঙ্খলার অন্ততম কারণ মনে করা যাইতে পারে । একটি দুৰ্গতি অপর দুর্গতিকে আহবান করিয়া আনে ; দেহের একটি অংশ বিকল হইলে তাহার অপর অংশও ধীরে ধীরে আক্রাস্ত হয়। এক্ষেত্রেও তাঁহাই হইয়াছে। জিনিষের কাটুতি পড়িয়া গিয়া ব্যবসা-মনার স্বষ্টি হইতেই মানুষের মনে একটা আতঙ্কের স্বষ্টি হইয়াছে। দোকানে বা গুদামে মাল পড়িয়া আছে, কিন্তু হাতে অর্থ নাই । কাজেই মহাজন ভtহার পাওনার জন্ত ব্যস্ত হইয়া উঠিয়াছে এবং ধীরে কাজ করিতে কেহই আর ভরসা পাইতেছে না। চারিদিকে কেমন একটা অবিশ্বাস বা অনাস্থা ছড়াইয়া পড়িয়াছে। র্যাহার কিছু টাকা আছে তিনি সে টাকা অার হাতছাড়া করিতে প্রস্তুত নহেম । ইহাতে নুতন ব্যবসা-বাণিজ্যের পথ রুদ্ধ হইয় বেকারসমস্কার গুরুত্ব যেমন বাড়িতেছে, কেনাবেচা আরও কমিয়া গিয়া চলতি ব্যবসা-বাণিজ্যের অবস্থাও আরও দুৰ্ব্বল হইয়। পড়িয়াছে । অন্ত সবকিছুতে আস্থা হারাইয় লোকে শুধু নগদ টাকা পুজি করিতে ব্যস্ত হইয়াছে এবং এই মনোবৃত্তি ব্যক্তিবিশেষকে ছাড়াইয়া প্রত্যেক দেশের ఫిబిరివికి গভর্ণমেণ্টের মধ্যে পৰ্য্যস্ত সংক্রামিত হইয়াছে। ফলে প্রত্যেক গভর্ণমেন্টই বিদেশে মাল চালান করিম নিজ দেশে অর্থাগমের জন্ত যেমন এক দিকে ব্যস্ত, অন্ত দিকে বিদেশ झ्हेrऊ यांज ठांभानि इहेझ (क्षtनंद्र अर्थ शांइटिङ यांश्tिद्भ চলিয়া যাইতে না-পারে তাহার জন্তও তেমনই উৎকণ্ঠিত। আপাতদৃষ্টিতে ইহা ভালই মনে হইতে পারে। কিন্তু আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যের যুগে প্রত্যেক দেশই যদি এই পথ অবলম্বন করে, তাহ হইলে আন্তর্জাতিক ব্যবসাই বা চলিবে কিরূপে ? অার যে উদ্দেশুে এই পথ অবলম্বন করা তাহাই বা সিদ্ধ হইবে কেমন করিয়া ? যেখানে সব সেয়ানে সেয়ানে কোলাকুলি, সেখানে এ-পথ যে আত্মরক্ষার পথ নহে, এ-পথে পরের যাত্রা ভঙ্গ হইলেও নিজের নকিকানও যে আস্ত থাকিবে না, ইহা বলাই तांश्णा । অপরের ব্যবসা নষ্ট করিয়া নিজের ব্যবসা প্রসারের এই ব্যর্থ চেষ্টা চলে দুই উপায়ে। প্রথমতঃ, বিদেশী জিনিষের উপর উচ্চ গুল্ক বসাইয়া উহার প্রবেশ-পথ রুদ্ধ করিবার চেষ্টা ; দ্বিতীয়তঃ, স্বদেশের কারখানাকে অর্থসাহায্য করিয়া অর্থাৎ subsidy দিয়া নিজেদের অক্ষম প্রচেষ্টাকে বিদেশী প্রতিযোগিতার বিরুদ্ধে দড়ি করাইবার চেষ্টা । ফলে অস্তির্জাতিক বাণিজ্যের স্বাভাবিক প্রগতি ব্যাহত হইতেছে । উচ্চ গুল্ক-প্রাচীরের নিযেধাজ্ঞা লঙ্কৰন করিতে ন পারিয়া ব্যবসা-বাণিজ্য যদি আজ অচল হইয়া থাকে তবে তাহার জন্ত বিধাতাপুরুষকে দোষ দিলে তিনি তাহার জবাব দিবেন না সত্য ; কিন্তু এ অবস্থা হইতে মুক্তিও আমাদের মিলিবে না । বর্তমান অবস্থার জন্ত বিশেষ ভাবে দায়ী এবং বিগত লড়াইয়ের সহিত সাক্ষাৎ ভাবে সংশ্লিষ্ট দুইটি কারণ এখনও আমাদের উল্লেখ করা হয় নাই । তাহা হইতেছে—সমরঋণ ও বিজিত দেশসমূহের উপর ক্ষতিপূরণের দাবি । এই দুই দাবি একত্র করিলে এক শত কোটি টাকার উপর প্রতি বৎসয়ে আধমর্থদের দেয় । এই টাকাটার প্রায় তিলচতুর্থাংশ আমেরিকার এবং অবশিষ্ট ফ্রাজের প্রাপ্য। বিশ্বের হাট হইতে প্রতি বৎসর এতগুলি স্বর্ণমুদ্রা অপক্ষত জুইয়া দুইটি দেশের অর্থভাণ্ডারে সঞ্চিত ছটুতে থাকিলে