পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোড়জাতি শ্ৰীসত্যকিঙ্কর চট্টোপাধ্যায় ভারতবর্ষে মে-সব পাৰ্ব্বত্য জাতি আছে তাহদের মধ্যে গৌড়জাতিই বিশেষ উল্লেখযোগ্য । তাহরী সংখ্যায় নিতান্ত কম নয়, প্রায় ত্রিশ লক্ষের অধিক হইবে। বনভূমিশোভিত সাতপুর। পৰ্ব্বতশ্রেণীর সর্বত্র, ম্যালেরিয়া-প্ৰপীড়িত হুদুব চিন বার প্রদেশের জায়গীরগুলি, বেকুলের নদীসমূ হব তাঁরভূমি, সিয়েনীর মনোরম পাহাড়গুলি—এই জাতির বাসস্থান । চন্দ, ওয়ারধা, নরসিংপুর এবং অসম প্রদেশেও ঠহাঁরা বাস করিয়া থাকে । গোড়ের দ্রাবিড়ী ভাষায় কথাবার্তা বল, চলতি কথ য় তাহাদিগকে রাবণবংশ বলা সম্ভবতঃ তাহার দক্ষিণাত্য হইতে মধ্যপ্রদেশে আসিয়া বসতি স্থাপন করিয়াছে। আদি বাসস্থান সম্বন্ধে সঠিক কিছু তাহারা বলিতে পারে না । তাহদের ভযায় “ভুলে ধাওয়া’ শব্দ পাওয়া যায়, কিন্তু ‘মনে রাখা’ শব্দের উল্লেখ নাই। তাহীদের সম্বন্ধে প্রকৃত প্রবদ এবং পৌরাণিক উপাখ্য'ন খুব অল্পই পাওয়া যায়। বেতুলে তাহদের উৎপত্তি সম্বন্ধে একটি প্ৰবাদ প্রচলিত আছে : প্রাচীন সমুদ্র সিঙ্গমলী পাখীর ডিম হইতে ইহাদের আদি পিত,মতার উৎপত্তি। সগরমাতা বনভূমিকেই যেন তাহীদের বাসস্থান নির্দেশ করিয়া দিয়াছিলেন এবং তাহারা নীলকণ্ঠ পার্থীর পালক ও ময়ূরপুচ্চসং েগ তপয় বাসস্থল নিৰ্ম্মাণ করিয়া লইয়াছিল । খ্ৰীষ্টানদের আদিমত ঈভ বেরূপ নিযিদ্ধ ফলভক্ষণে পলুব্ধ হইয়ছিলেন, গোড়দের আদিমতীও সেরূপ হইয়ছিল বলিয়ই তাহীদের উদ্ভব এবং এই বিশ্বজোড়া দুঃখের হা-হুতাশ । শেষে অন্ধতমসাচ্ছন্ন পৌরাণিক উপাখ্যানের ভিতর বনের রাজা ও বীর রাইলিঙ্গের অত্যুৎকৃষ্ট কাহিনী আসিয়া পড়িল । যে-রাইলিঙ্গ রাজা আর্থার, যে-রাইলিঙ্গ ফরাসী দেশের লুই, সেই মানবদেহধারী রাণীর শিরস্ত্রাণ হইতে উদ্ভূত একটি অবতারস্বরূপ । কিন্তু তােহর জন্ম সম্বন্ধে রাণী

  • ग्र ।

সিদ্ধান্ত করিলেন যে, ইহা তাহার পক্ষে একটি মস্তবড় অভিশাপ ; তই তিনি শিশুটিকে জীবস্তে মাটিতে পুতিয়া ফেলিবর জঙ্গ দুইটি বালিকাকে আদেশ দিলেন । কিন্তু বালিকার শিশুটির দিকে তাকাইতেই সে তাহাদিগকে দেখিয়া ঈষৎ হাসিল ; ঐ প্রতিভর। হাসিতে মুগ্ধ হইয়া লিকারা তাহাকে পুতিয়া ফেলার বদলে একটা বট গাছের মূল লুকাইয় রাপিল। এমন সময় এক শকুনরণি ত{হার পর্বতস্থিত বাসা হহঁতে আহাব অন্বেষণে বাহির হইল এবং রাইলিঙ্গকে তুলিয়া লইয়া তাহার বাসা চলিয়া গেল। ললিক রাষ্ট্রলিঙ্গও সেখানে মনের সুখে যদ্বিত হইতে লাগিল । সে তীর ধনুক লই. শিকার অন্বেষণে বেড়াইতে বেড়াইতে তাহার নিজ জন্মভূমিতে তাহার মাতার কাছে আসিরা পড়িল । অঙ্গ ছয় জন বড়ভাই থকা সত্ত্বেও মাতা রাইলিঙ্গকেই রাঙ্গ সিন দিল, কিন্তু ভাইয়ের ইহাতে ঈর্ষ্যপরায়ণ হইয়া তহিকে বধ করিবার চেষ্টা করিতে লাগিল । ইহাতে ব্যর্থমনোরথ হইয়া তহরিা রাইলিঙ্গকে তাহাদিগের স্ত্রী দর নিকট রাখিয়া দিয়া বাণিজ্যগাত্রায় বহির হইল। তাহাদিগের কাছে তাহার নিষ্কলুষ চরিত্র প্রতি রাত্রে ব্যাহত হইতে লাগিল, কিন্তু সে কিছুতেই তাহদের কামনা পূর্ণ করিতে চাহিল না, অবশেষে হতাশ হইয়া তাহারা পারাবত শিকারের জল্প রাইলিঙ্গকে বনমধ্যে লইয়া গিয় তাহার বস্তু উন্মাচন করিয়া দিল, কিন্তু তাঁহাতে তাহার কিছুমাত্র লজ্জার ভাব প্রকাশ পাইল না। অনঙ্গোপায় হইয়া স্ত্রীগণ একটি বিড়ালকে ঘরের ভিতর বন্ধ করিয়া রাগাইয় দিল এবং ঐ ক্রুদ্ধ বিড়ালের আঁচড়-কামড়ে তাহারা পীড়িত হইল । তাঙ্গাদের স্বামীরা ফিরিয়া আদিলে তাহারা জানাই দিন যে, রাইলিঙ্গ তাহাদিগং উপর অতিশয় অত্যাচার করিয়াছে। তখন ভাইয়ের মিলিয়া রাইলিঙ্গকে প্রাণে মারিবার জন্ত তাঁহাকে উত্তপ্ত লোহার কড়ায় ফেলিয়