পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগ্রহায়ণ ২১৩ কৌতুকপ্রিয়, সদানন্দ, কমনীয় ভতি আর কোথাও দেখিতে পাওয়া ধীয় না 1 তাহীদের মর্য্যাদাবোধ স্মরণাতীত হইলেও রক্তের সহিত প্রতি ধমনীতে প্রবাহিত । এখনও তাঁহীদের আচরণ রজে{fচত, তাহদের বংশ অতি প্রাচীন । তাহাদের এই শক্তির মূল উৎস কেথি য়ু যে নিহিত আছে তাহ নির্ণয় করা সহজসাধ্য নহে, তবে তাহীদের নৃত্যের তালে ইহার অনেকটা আভাস 3 | | অনুপ্রেরণাহীন মানব-মনও বনভূমির নিগূঢ় তত্ত্ব কিছু কিছু অনুভব করিতে পারে বলিয়া মনে হয়। তাই শ্ৰীযুক্ত এম. ডি. পাতিয়াল গৌড়-সেবামণ্ডলে কিছু দিন কাজ করিয়া বনভূমির প্রভাব-প্রতিপত্তি সম্বন্ধে লিখিয়াছেন— “এই জাতির অন্তরাস্তু স্বাঞ্ছদ্যপ্রয়াস হষ্টয়া পৃথিবীর নগ্নবক্ষ দঘনি শ্বাসে পরিপূর্ণ করিতেছে । বনের পত্ররাজির মর্শ্বরধ্বনির সহিত ইহার দ ঘশ্বাস নিয়ত প্রতিধ্বনিত হইতেছে। দূরবত্ত পশুপক্ষীর হমধুর সঙ্গীতধ্বনিতে আস্থার এই কাতর মানের সমবেদন মুখরিত হয় ; অদৃশ পতঙ্গের বিরাম সঙ্গীতপ্রবাহ উহার আকুলতাকে প্লাবিত করে । তাহীদের অন্তর হইতে মানবপ্রকৃতির স্বাভাবিক ুদ্ধেগ অন্তৰ্হিত হয় ; তাহীদের হৃদয়ের এই ভাব একটি স্বগীয় বস্তু । বাহ প্রকৃতির এই প্রভাব কখনও কখনও অতি অল্প সময়ের জন্তও পানাহার এবং পরিচ্ছদের চিন্ত তাহাদের মন হইতে বিদূরিত করে ; তাহদের দুঃখে প্রপাড়িত আত্মা ক্ষণিকের জন্ত আত্মবিস্তুত হইয়া যেন একটা বিমল আলমের রাজ্যে প্রবেশলাভ করে এবং তাই! ৩tহীদের আনন্দদায়ক পাৰ্ব্বত্য জীবনের ক্ষণিক স্বপ্ন উপভোগ করে । তাহদের স্বাধীনতা যেন ফিরিয়া আসে, দরিদ্রা-দুঃখ যেন ত্যাগের তানন্দে পরিণত হয় । তাঁহাদের এই বস্ত জীবন মানবাত্মার একঘেয়েএকটানা ভাব হইতে তাহাদিগকে দূরে রাখে। এই বনভূমির মধো তাহদের আভিজাত্যে-ভর। হৃদয় স্পন্দিত হয় এবং মধ্যে মধ্যে শান্তিনিলয় এই বনদেবীর বক্ষে তাহারা ক্ষণিক আননো বিভোর হইয়া পড়ে। এই ইন্দ্রজালই গোড়দিগকে অবিরত বনভূমির দিকে হাতছানি দিয়া ডাকিয়া লইয়া যায়। যে-প্রকৃতিদেবী তাহার স্নেহসিক্ত মঙ্গলময় হস্ত স্বারা তাহাদিগকে লালনপালন ও সাক্ষ্মন! প্রদান করেন, তাহারই সহানুভূতি ও ভালবাসার গৌরবময় রহস্ত তাহার এই বনভূমিতেই উপলব্ধি করে। এস্থানে লীলাময়ের হৃদয়-কদরে তঁহারই প্রেমের গান প্রকৃতিদেবীর শত সহস্ৰ স্বরে ধ্বনিত হয়। এই বনভূমির বক্ষে তাহার দুর্ভাগ্যপীড়িত অসহায় শিশুর হ্যায় তাহাদের মৰ্ম্মোচ্ছ,সি জ্ঞাপন করে। ভগবানের এই সমস্ত লীলাবৈচিত্র্য তাঁহার সামান্ত অনুভব করে মাত্র ; অথবা ইহারই ভিতর দিয়া অসীমে পৌছিবার পথের সন্ধান পায়। ইহা কল্পনা নয়, স্বল্পও গেt৬-শিশুর মন্টেসর শিক্ষণপ্রণালীর যথাদি ব্যবহার করিতেছে নয় ইহা কেবলমাত্র ক্ষণিক দীতিতে প্রকাশিত হয় এবং মুহূৰ্বমধ্যেই বিস্মৃতি-গর্ভে লীন হইয়া যায় । মুহূর্তের এই আত্মবিস্মৃতিই গোড়জাতির জীবন-প্রবাহের উৎস । ধৰ্ম্ম, শিল্পকলা, যাদুবিদ্যা এবং সঙ্গীত-সমস্তই এই বহুজাতির নিজস্ব । অন্ত স্থানে এবং অন্য সময়েও তাহারা সতত এই সমস্ত বাস্তবের সান্নিধ্যে থাকিবার জষ্ঠ ও সেই সচ্চিদানন্দ অজ্ঞাতের রহস্ত ভেদ করিবার জন্য তাহদের ইলিয়ের উৎকর্ষ সাধন।ভিলাষে এই অনিৰ্ব্বচনীয় উচ্ছ,সি প্রকাশ করে । যে বিধাত তাহাদিগকে এই বিশ্রাম ও সুমুপ্তির গর্ভে নিমজ্জিত করিয়' রাখিয়tছন জীবনসংগ্রামে উহারই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়াই তাহাদের একমার উদঙ্গা । অতএব সমগ্র জীব-জগতের ন্তীয় তাহদের জীবন কল্পনা ও উচ্চ অদশের ভিত্ত্বিাত স্থাপিত। এই সকল কল্পনা আধার সেই পরমাত্মার হৃদয়নিঃস্তত মহৌষধের প্রতি প্রগাঢ় অসুরক্তিপ্রস্তুত ।” পতিয়াল সাহেব গোড়দের সহিত ঘনিষ্ট সংশ্রবে থাকিয়া গেড় বনিয়া গিয়াছিলেন এবং তাহীদের আচার-ব্যবহার সম্যক আয়ত্ত করিয়াছিলেন। পূৰ্ব্বে সভ্য সমাজের ধারণা ছিল যে, অসভ্য জাতির মধ্যে কেবল ভূতের ভয় ছাড়া কোন ধৰ্ম্ম নাই ; কিন্তু তাহার প্রদত্ত বিবরণী সে ধারণ দূরীভূত করিবে বলিয়। আমার বিশ্বাস । গৌড়জাতির জীবনযাপনপ্রণালী ও আচার-ব্যবহার এত অল্প পরিসরের মধ্যে বর্ণনা করা সম্ভব নহে। রাসেল সাহেবের রচিত মধ্যপ্রদেশের বর্ণ ও জাতি-সমূহ (Tribes and Castes of the Central Provinces) atro igre উহা সুন্দরস্কপে বর্ণিত আছে। এই ধরণের পুস্তকে বাহিক বর্ণনাটা যেমন বেশী থাকে ইহাতেও সেইরূপ আছে। এই সকল পুস্তকে যে যে স্থলে ভারতবাসীর আচার-ব্যবহারের