পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পেীষণ মুক্তি Nご a.es) ‘ছা, আজ ওই কথাটাই মনে বেশী বাজছে । আসলে ‘বেশী কথা কম কখয় আমার আর কি ক্ষতিবৃদ্ধি z DYY BB BBBS BBB BB BBBB BBB BBSBBB S BB BSB BB BBBS BB BBS BBB BBB BBB BBBB BB BBB BB BB BBS BBB BB BBB থেকে নানা আঘাত পেয়েছি । সে আঘাতে সবারই দিক থেকে মনকে গুটিয়ে নিয়ে এসে নিজের নিঃসঙ্গতার মাঝে আপন মনে ছিলুম। তাঁর পরে পেলুম তোমাকে । বঞ্চিত, ক্ষুধিত চিত্তের সমস্ত ব্যগ্রতা নিয়ে তোমাকে জড়িয়ে ধরপুম। তুমি যে কেবল আমার বাৎসলোর ক্ষুধা মিটিয়েছ তা ত নয়, তুমি আমার ব্যর্থ জীবনকে আশ্রয় দিয়েছ । আমি আমার সমস্ত অসাফল্য এবং একাকীত্ব নিয়ে তোমাকে আবেষ্টন করেছিলুম।” তাতে কি হয়েছে বাবা ? তুমি যদি আমার কাছে কিছু পেয়ে থাক, আমি কি তোমার কাছে তার চেয়েও কিছু বেশী পাই নি ?” "তার উত্তর ত আমি দিতে পারব না মা ! কিন্তু আমি আমার সৰ্ব্বস্ব দিয়ে তোমাকে এমন করে না জড়ালে হয়ত তোমার মনের বিকাশ এত অসম্পূর্ণ হয়ে থাকত না । তুমি সংসারকে, সবাইকে চিনতে শিখতে। আমি তোমাকে সতই ভালবাসি, এ-কথাটা কিছুতেই অস্বীকার করতে পারব না নিৰ্ম্মলা, যে, জীবনের পথে একটা বাকের কাছে গিয়ে তোমাতে আমাতে ছাড়াছাড়ি করতেই হবে । শুধু বাইরের ছাড়াছাড়ি নয়, জীবন-মরণের যেখানে যত গ্রস্থিতে গ্রস্থিতে বাধন পড়েছে সে সমস্তই আলগা করতে হবে । তা নইলে ষে তুমি তোমার জীবনের পরম কল্যাণকে খুঁজে পাবে না । আর তোমাকে তোমার অনিন্দিত সংসারের শিখরদেশে প্রতিষ্ঠিত না-দেখতে পেয়ে আমিও মনে মনে শাস্তি পাব না । শকুন্তলাকে তার নবজীবনের পথে ঋষি কশ্ব খানিকট দূর অবধি আগিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু তার পরে আর ত তার অগ্রসর হওয়া চলে নি। তারপর থেকে সেই তাপসকস্তার জীবনের বিচিত্র জটিলতা, অপমান, বেদনা, সাধনার পালা—সে সমস্তই যে র্তার একলার সামগ্রী ছিল । এই কথাটাই কতদিন থেকে আমি ভাবছি মা ।” ‘তুমি যা বলতে চাইছ তা আমি বুঝতে পারছি। কিন্তু তোমার এই দুৰ্ব্বল অবস্থায় বেশী কথা বলে না বাবা।” 8Հա:) মুক্তি দিয়ে যাব । কিন্তু সে মুক্তি বেন নিষ্ফল না হয় । এবারে যেন তুমি নিজের মাঝে নিজেকে খুজে পাও ’ ‘অমন করে ব’লে না বাবা । আমার বড় কষ্ট হয় ।” মুরলী ঘরে ঢুকিয়া কহিল, ‘নিখিলবাবুর সঙ্গে জামাইবাবু এসেছেন ।” ‘কে ? ঘামিনী এসেছে P হইয়া উঠিলেন । এস না ? ডাক্তার বলিয়া গিয়াছিলেন রোগীর ঘরে যথাসম্ভব কম লোক যেন আসে, আর তাহাকে কোন কারণেই যেন উত্তেজিত না-করা হয় । তাই মুৱলী একটু ইতস্ততঃ করিতেছিল। এমন সময়ে গেটের কাছে একটা মোটরের হৰ্ণ শোনা গেল নিৰ্ম্মলা জানালার কাছে মুখ বাড়াইয়। কহিল, ‘ছোটদা, ডাক্তারবাবু এসেছেন, সঙ্গে ক’রে নিয়ে এস।” ‘ডাক্তার চলে গেলেই ওদের এখরে নিয়ে আসছি ।” বলিয়া মুরলী বাইরে চলিয়া গেল । চন্দ্রকান্ত অত্যন্ত অস্থির হইয়া কহিলেন, “নিৰ্ম্মলা ম', তুমি একবার ওঘরে যাও ’ - ‘এখনই যাব বাবা । ডাক্তার বাবুকে একবার কেবল তোমার টেম্পারেচারের চার্টটা বুঝিয়ে দিয়ে যাব । আর কয়েকটা কথা জিজ্ঞেস করব ।” না না, তুমি এখনই যাও ’ নিৰ্ম্মলা শাস্ত চরণে বাহিরে চলিয়া গেল । দুয়ারের কাছে নিৰ্ম্মলার শাড়ীর চওড়া পাড়টা দেখিয়া নিখিল তাড়াতাড়ি একটা অছিলা করিয়া ছাদে চলিয়া গেল। নিৰ্ম্মলা আসিয়া স্বামীর পায়ের কাছে নত হইয়া প্রণাম করিল। বলিল, “তুমি একটু বসে । ওঘরে ডাক্তার এসেছে । আমি এখনই আসছি । চায়ের জল চড়িয়েছে, কিছু ন-খেয়ে যেও না যেন ’ . তাহার মুখে মান সজল শাস্তি । তাহাৰ কথায়, তাহার ভাবভঙ্গীতে মনে হইতেছে এতদিন যে যামিনীর সঙ্গে তাহার চন্দ্রকস্তি অত্যন্ত চঞ্চল ‘তাকে এই ঘরেই একেবারে সোজা নিয়ে