পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরেই সে নিৰ্ম্মলাকে স্নেহ করিত। §. *...* .* ৩৩২ "প্রবাসীষ্ট SSBS BB BB BB S BBBB BB BBBB BBBS BB BBBBBS BBB BB BBS gBBB আসিয়া পড়ায় একটুখানি আলোকিত হইয়াছে। খাটের উপর নিৰ্ম্মলা চুপ করিয়া বসিয়া আছে। মুরলীর মনে আঘাত লাগিল । এ-বাড়িতে চন্দ্রকাস্তের অবষ্ঠ দুই ভাই-বোনে সমস্ত দিনের মধ্যে কথাবার্তা প্রায় হইতই না । কিন্তু দূর হইতে নিঃশব্দে এই স্বল্পভাষিণী ছোট বোনটিকে মুরলী মনে মনে খুব ভালবাসিত । অন্ধকারের মধ্যে তাহাকে অমন করিয়া চুপ করিয়া বসিয়া থাকিতে দেখিয়া সে বুঝিতে পারিল নিজের মনের সঙ্গে তাহার বোঝাপড়া চলিতেছে । নিৰ্ম্মলাকে সে বুঝিতে পারিত না, তাহার জীবনকেও সে বুঝিত না । বড়লোকের বাড়িতে বিবাহ হইয়াছে, তাহাদের মন জোগাইয়া, স্বামীকে কথন-বা তোষামোদ কখনও শাসন করিয়া হাতের মুঠার মধ্যে রাখিবে। সাধারণ মেয়েদের মত এক-গা গহনা, দিব্য কাপড়-জাম পরিয়া হাসিয়া খেলিয়া বেড়াইবে । তা নয়, সব থাকিতেও কেমন উদাসীনের মত ভাব । সত্যি কথা বলিতে নিৰ্ম্মলাকে সে আদৌ বুঝিত না । তাহার সাদাসিধা সাধারণ মনের সাহায্যে মানুষের মনের গভীর, সূক্ষ্ম, বিচিত্র জটিলতাময় অনেক দুঃথই সে বুঝিত না । তাহ ছাড়া অভাবগ্ৰস্ত মধ্যবিত্ত পরিবারে দিন কাটাইতে হইলে শরীর-মনের যতটা সঙ্কোচন হয়, মুরলীরও তাহা হইয়াছিল। ন-বুঝুক, কিন্তু নিৰ্ম্মলার প্রতি তাহার এক প্রকারের মেহ ছিল। তাই আজি সন্ধ্যাবেলাকার ধটনাগুলা মনে আলোচনা করিয়া দেখিল, জামাইবাৰু হঠাৎ এত দিন পরে আসিয়াই চলিয়া গেলেন । ভিতরে ভিতরে কিছু একটা ঘটিয়াছে। বেচারার মন খারাপ। আজি থাক । টাকার কথাটা আর দু-এক দিন পরেই তাহাকে না-হয় বলিবে । বিশেধ করিয়া জামাই বাবুর কাছ হইতেই যখন টাকাটা জোগাড় করিতে হইবে তখন••• •••না এখনও সময় আছে । মুরলী ভারাক্রান্ত মনে সে ঘরে আর না-ঢুকিয়া নিজের ঘরে চলিয়া গেল । - 56 ইহারই দিন দুই তিন পরে নিখিল চন্দ্রকান্ত বাবুর খবর এখন মুরলী সবচেয়ে অধীর চিত্তে তাহার আগমন প্রতীক্ষা করিতেছিল। নিখিলের সহিত তাহকে ন-আসিতে দেখিয়া সে জামাইবাবুর সংবাদ জানিবার জন্ত নিখিলের কাছে আসিয়া বসিল, এবং মনের বাগ্রতায় এ-কথা সে-কথার পর আসল কথাটাই বলিয়া ফেলিল। সমস্ত ব্যাপারট শুনিবার পরে নিখিল কিছুকাল ভাবিয়া কহিল, এ আর শক্ত কি ? যামিনী ইচ্ছে করলে দু-মিনিটেই তোমাবে হাজার টাকা বার ক’রে দিতে পারে। আচ্ছা, এক কাণ্ড কর না, তোমার বোনকে সঙ্গে নিয়ে আজকালের মধ্যে তার বাড়ি একবার যাও।” এই কয়েক দিন টাকার ভাবনা ভাবিয়া ভাবিয়া মুরলী পাগলের মত হইয়া উঠিয়াছে। সে ভাবনা একেবা:ে তাহার একার ভাবনা । আর কাহাকেও বলিবার যো নাং যে, দিন-দশের মধ্যে টাকাটা না-পাইল তহিকে জেলে যাহতে হইবে। এমন কথা কাহার কাছে বলিবে যে, :ে তহবিল ভাণ্ডিয়াছে, চুরি করিয়াছে ! নিখিলকেও ভিতরে কথা কিছু বলে নাই। কেবল বলিয়াছিল, বিশেষ কো কারণে তাহার হাজারখানেক টাকার দরকার । এখন নিখিলের কথায়—মজ্জমান লোকে যেমন যাহা পা তাহাকেই অঁাকড়িয়া ধরে তেমনি করিয়া—অসহায় মু:ে কহিল, ‘সত্যি নিখিলবাবু? যা বলছেন তা হতে পারে ?” ‘হবে না কেন ? আপনি যাবেন অব আপনার বোনকে নিয়ে ? নিখিলের মনে ছিল এই উপলক্ষে যদি নিৰ্ম্মল তাহা নিজের বাড়িতে গিয়া সে-বাড়ির শাসনভার আপন হাংে তুলিয়া লয় এবং আর একটি মানুষকেও তাহার শাসন-পাে বাধিয়া আসে, তবে চাই কি যামিনীর জীবনের গতিটা বদলাইয়। যাইতে পারে । ধৰ্ম্মতলার ঘামিনীর বাড়ির ঠিকানাট দিয়া নিথি উঠিল । *. রাত তখন আটটা বাজে । মুরলী একটা ট্যাf আনিয়া নিৰ্ম্মলাকে কহিল, ‘আমার বন্ধু সতীশ কিছুক্ষ বাবার কাছে বলুক। তুমি একবার চল আমার সঙ্গে কাজ আছে ”