পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মলন্তম বললেন, “যা ভাল বোন কর দিদি, আমি আর অত ভাবতে পারি নে ৷” র্তার দিদি জিজ্ঞায়ভাবে ভগিনীর দিকে তাকালেন । প্রশ্ন করলেন, “কেন রে, তোর হ’ল কি ?” cशोब्रांत्रिर्नौ दिब्रख् शङ्ग उंख्द्र निtगन, “श्रु श्रावांद्र কি ? মেয়েটা চলল আমার ঘর ছেড়ে পরের ঘরে কোথায় কত দুরে তার ঠিক নেই, আমার কি যে হচ্ছে মনের মধ্যে তা ত কেউ বুঝতে পারছে না। ও-সব গয়নাগীটি কাপড়-চোপড় যখন সৰ্থ ক’রে কিনেছিলুম তখন কিনেছিলুম, এখন আর ওসব কিছুই ভাল লাগছে না। তুমি আমায় ও-সব কথা কিছু জিজ্ঞেস ক’রো না দিদি ” দিদি বললেন, “ওমা, ও কি রে? অমন ভাল জামাই হচ্ছে, কত ভাগ্যি তোর-কত আনন্দের দিন আজ, আজকে অমন মনখারাপ করতে আছে কি ? তোর ঘর ছেড়ে যে ঘরে যাচ্ছে আজ সেই ঘরে চিরকাল থাকে যেন ভাই । তোর ঐ একটি মেয়ে, বড় একলা পড়বি ওকে দুরে পাঠিয়ে, তাই কিছু কষ্ট হবে বইকি প্রথম প্রথম ; কিন্তু এর পর মেয়ের হাসিমুখ দেখলে তখন আবার নিজের কষ্ট ভুলে যাবি, তাও য’লে দিলাম ••• ওমা, দেখেছ, এই কাপড়ের রাশ থেকে আবার একখানা পূরবী শাড়ী বেরোল ! না ভাই, তোমার মেয়ের কাপড় তুমিই গোছাও এসে, আমাকে দিয়ে হবে না। আচ্ছা, এক পূরবী শাড়ীই ক’খানা কিনেছিস কি করতে বল ত ?” গৌরাঙ্গিনী শাড়ীর কথায় কান দিলেন না । বললেন, “হ্য, মেয়ের হালিমুখ ৷ কেঁদে কেঁদে ত সারা হচ্ছে আজ সাত দিন থেকে ! এই এখনই দেখে এলাম চোখের জলে ভাসছে। রোজ রাত্তিরে যা করে আমাকে আঁকড়ে ওয়ে থাকে। কখনও একদিন আমাকে ছেড়ে দূরে থাকে নি— কি ক’রে যে সেই অত দুরে ঢাকায় গিয়ে থাকবে জানি নে ৷” মেয়ের বাপ অমরেন্দ্র ঘরে ঢুকলেন । লম্বা ফরসা চেহারা, রগের কাছে চুলে সামান্ত পাক ধরেছে—চশমাপরা। স্বামি-স্ত্রী কাউকে দেখেই বোঝা যায় না যে এদেরই আজ জামাই আসছে। অমরেন্দ্র ঘরে ঢুকে বড় গুলিকার দিকে তাকিয়ে ठिङ्गखी \;இல் বললেন, “কি দিদি, তুমি যে কাপড়ের রাশির মধ্যে ডুব দিয়েছ একেবারে 1 করছ কি ওগুলো নিয়ে ?” গৌরাজিনীর দিদি হাসিমুখে বললেন, “কি করব ভাই—যা কাপড়ের রাশ কিনেছ তোমরা—না ডুবে করি কি বল ? গৌরীকে তাই ত বলছিলুম যে এ কি কাও তোমাদের r এ কাপড়ে যে পাঁচটা মেয়ের বিয়ে দেওয়া যায়, একটাকে এত দিলে সে পরে উঠবে কত দিনে ? আমি ত তাই ভাবছিলুম যে খানকতক এই থেকে বেছে নিয়ে রেখে দিলে হয়—আবার ত এই পুজো আসছে সামনে, তখন তত্ত্বয় দিলেই হবে । তা মেয়ের মা ত মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি পাঠাবার ভাবনাতেই উতলা-ও ত কোনও কথায় কান দেয় না। তুমিই বল না, রাখব নাকি ?” অমরেন্দ্র জিয কেটে বললেন, “সৰ্ব্বনাশ ! মতামত দেব আমি ? কোনও দিন ওটা অভ্যেস নেই দিদি, জানই তো। সে কাজটা এই ইনিই সব সময়ে ক’রে থাকেন । দুই-এক বার মত প্রকাশ করতে গিয়ে দেখেছি যে, ঠিক যে জায়গাটিতে মত দেওয়া আমার উচিত ছিল, সেইখানেই ঘোরতর আপত্তি জানিয়ে ফেলেছি এবং যেখানে ঘোর আপত্তি জানান উচিত ছিল, সেই জায়গাটিতেই সন্মতি দিয়ে এসেছি। অধিষ্ঠি আমার সে-সব ভুল ইনিই আমাকে পরে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, না হ’লে আমি বোকা মানুষ, অত বুঝতে পারি নে। কাজেই ও গোলমালের মধ্যে আমাকে আর কেন ?” গৌরাঙ্গিনীর দিদি হাসতে লাগলেন । বললেন, “ওমা, ও কি গো ? শ্বশুর হ’তে যাচ্ছ, একটা মত অবধি দেবার ক্ষমতা নেই নিজের বাড়িতে ? এমন পুরুষমানুষও ত কখনও দেখি নি। দেখ ত একবার গৌরী কি টাকাটাই নষ্ট করেছে। পাঁচখানা দামী দামী বেনারসী কিনেছে বাক্সে দেবার—একে নষ্ট বলে না ? বেনারসী পরে কোথা আজকালকার মেয়ের ? সে সব ছিল আমাদের কালে-- তখন ত আর এত রকম-বেরকমের শাড়ী হয় নি—ভাল শাড়ী না-হয় ঐ বেনারসী, কিন্তু এখন এত কেন ? দু-খানা কিনলেই ত ঢ়ের হত ।” গৌরাদিনী ক্লান্ত দেহে আলমারীতে ঠেস দিয়ে নিম্পূহ