পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফান্তন কুমার ছিলেন।” ইহা ছাড়া গভর্ণমেণ্টের গেজেটিয়ারেও লিখিত আছে—তদেশীয় অনেক নৃপতি পালবংশোদ্ভূত এবং তাহারা এখনও উহা বলিয়াই পরিচয় দেন If পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি পাল-রাজত্বের অবসানের সঙ্গে সঙ্গে বিদেশীয়ের লঙ্গদেশ বfর-বার আক্রমণ করিতেছিল এবং সেন-রাজত্বের সময়ে ব্রাহ্মণ্য ধৰ্ম্মের পুনরুত্থানে বাংলার শিল্পে এক নূতন প্রভাব বিস্তার লাভ করে । ১৫৯২ খ্ৰীষ্টাব্দে রাজা মানসিংহ বঙ্গদেশ জয় করেন এবং প্রথম শতাব্দী হইতে দ্বাদশ শতাব্দী পর্যস্ত জৈনধৰ্ম্ম সুদূর পশ্চিম-বাংলার প্রধান ধৰ্ম্ম ছিল, এই গুলোগে মানসিংহের আক্রমণের সঙ্গে সঙ্গ জয়পুর-পদ্ধতি বাংলার শিল্পে অতি সহজেই স্থান করিয়া লইল । বোধ হয় বাংলার শিল্পে মুসলমান পদ্ধতি নাই বলিলেও অত্যুক্তি হইবে না, তবে পরবর্তী সময় বাংলা দেশ ইহা হইতে সম্পূর্ণ মুক্তি লাভ করিতে পারে নাই। তাহা হইলে আমরা চিত্রকলা বিশ্লেষণ করিলে দেখিতে পাই ঘে বাংলার সমগ্র শিল্পকে বিশেষভাবে দুই ভাগে বিভক্ত করা যায়। প্রথমটি প্রাচীন বৌদ্ধ শিল্পর ধারা, এবং দ্বিতীয় ধারাটি জয়পুর শিল্পের সংমিশ্রণ। ইহার মধ্যে আবার বাংলার শিল্প-পদ্ধতি, দুই ভাগে বিভক্ত। একটি সুদূর পশ্চিম-বাংলার শিল্প-পদ্ধতি আর একটি খাস বাংলার

  • Art of the Pala Empire, p. 91. ी बौन**ठ cमानग्न 'दृश्९ तत्र' आहेवा !

বঙ্গের পট-চিত্র تا صوابع প্রবাদগুলি শক্তিশালী ও নিভুল বলিরা পরিগণিত। কথিত আছে খে, কান্থওয়ার রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা "কাহন পাল একদল ক্ষুদ্র বাহিনী লষ্টয়া রাজ্যস্থাপনার্থ ঐ প্রদেশে আসিয়াছিলেন। তিনি বাংলার প্রাচীন রাজধানী গোঁড় হইতে অসিয়াছিলেন এবং তথাকার রাজবংশের শিল্প-পদ্ধতি এবং বাংলার সমগ্র শিল্প-বিভাগকে আমরা এক কথায় পট-চিত্র বা চিত্র-পট বলিঙ্কে পারি। কেননা, বাংলায় পাহাড়-পৰ্ব্বতের অভাবে কোন শিল্পীই স্থায়িভাবে কোন চিত্রাঙ্কন করিয়া যাইতে পারেন নাই । তার পর বাংলার মন্দিরগুলি অধিকাংশই মুন্ময় এবং এই সব মন্দিরেরও অস্তিত্ব বেশী দিন থাকে না, এইরূপ বহু অসুবিধার জন্ত বাংলার চারুচিত্র জনসাধারণের শিল্প হইয়া ষ্ট্ৰীড়াইয়াছিল । খাস বাংলায় সাধারণতঃ আচাৰ্য্য এবং পল এই