পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ס צר ১৯১০ সালে ইণ্ডিয়া সোসাইট প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল, এবং অনেকে সীর জর্জ ব’ৰ্ডউডের প্রকাশ প্রতিবাদও করিয়াছিলেন । তদবধি পাশ্চাত্য রসজ্ঞ পণ্ডিতগণ ভারতের প্রাচীন মুৰ্বির আধাত্মিক সৌন্দর্য্য মুক্ত কণ্ঠে স্বীকার করিয়া অffসতেছেন । - ধ্যান-ধায়ণ-সমধিতে অধ্যাত্মিক ভাবের চরম বিকশি লক্ষিত হয় । আমাদের দেশের ভাস্কর দেবদেবীর এবং বুদ্ধ ও জিনের মূৰ্ত্তিতে ধান-ধারণা-সমাধিকে মূৰ্ত্তিমন্ত করিয়া তুলিয়াছেন । সার উইলিয়ম রোটেনষ্টাইন বলছেন, ভারতীয় শিল্পী তিনটি মহাভবিকে রূপদান করিতে সমর্থ হইয়াছে । ( , ) The plastic interpretation of samadhi সমাধির রূপের স্বাক্ট । ( ২ ) জগতস্বল্পকারিণী মহাশক্তির প্রচণ্ড লীলা যে ঐকতান বাদ্যের তলে তালে চলিতেছে তাহার প্রকাশ । নটরাজের মুৰ্ত্তি । ( o ) The intepretation in material form of a moment between movement and tranquillity গতিশীলতার এবং শাস্ত অবস্থার সন্ধিক্ষণের রূপ । ইহার পূর্ণ বিকাশ দেথা যায় দক্ষিণাতোর শিল্পে । প্রাচীন ভারতের মূৰ্ত্তিশিল্পের কি ইহা ছাড়া আর কোন গুণ নাই ? রোটেনষ্টাইন ভারতীয় মূৰ্ত্তিশিল্পের যে-সকল sto è go of Eston &to symbolic meaning বা সাঙ্কেতিক অর্থের সামিল। ভারতীয় মুক্তিশিল্প কি কেবল সঙ্কেত মাত্র ? ইহার রূপের কি কোন স্বতন্ত্ৰ মহিমা বা Hists (formal meaning ) atè ? fếfazez এই সকল গুণ রূপকে সার্থকতা দান করে—সজীবত', নিরেট বস্তুর দর্শন এবং স্পর্শ মুখের অনুভূতি, এবং গুরুত্বের অনুভূতি । দৃষ্টান্তস্বরূপ আড়িয়ল চিত্রশালার কৰিমুৰ্বির উল্লেখ করিব। মুষ্ঠির মুখ ভাঙ্গিয়া গিয়ছে । অবশিষ্ট মুৰ্ত্তির প্রতি দৃষ্টিপাত করিলে মনে হয়, পাষাণ যেন স্বতঃস্ফীত হইয়া অশ্বে এবং অশ্বারোহীতে পরিণত হইয়াছে । অশ্বের সুগোল পৃষ্ঠ এবং গ্রীব দর্শকের স্পৰ্শ-সুখ - দেয় । আরোহীর এবং অশ্বের গুরুত্ব সজেই । হয়। আরোহীর বক্ষস্থল, যাহ এবং জমির গড়ন নী 踪 ఎని8S তৃপ্তিকর । চারিটি বাহুর বিষ্ঠাসে স্বসঙ্গতি রহিয়াছে। আড়িয়ল চিত্রশালায় যে কয়থানি মূৰ্ত্তি আছে তাহার কোন পানিই নির্জীব নহে, এবং কোনখানিরই আকার একেবারে অর্থহীন নহে। এই সকল মুৰ্ত্তি দেখিলেই বুঝিতে পারা যায় বিক্রমপুরবাসী সেকালে আধ্যাত্মিক হিসাবে কত উন্নতি লাভ করিয়াছিল, তঁহাদের রুচি কত মার্জিত ছিল, এবং তাহাঁদের অনুভূতি কত স্বক্ষ ছিল । খৃষ্টীয় অষ্টম হইতে দ্বাদশ শতাদের প্রথম ভাগ পর্যন্ত গেী ভূমণ্ডলের সাৰ্ব্বভৌম পালমরপালগণের কোন লিপি এ-পর্যন্ত বিক্রমপুরে পাওয়া যায় নাই ; পক্ষাস্তরে চন্দ্র, বৰ্ম্মা এবং সেন রাজগণের তাম্রশাসনে বিক্রমপুর স্কন্দাবারে বাসের উল্লেখ আছে । ইহা হইতে মনে হয়, পালযুগে বিক্রমপুর একটি থওরাজ্য ছিল । এই খণ্ডুরাজ্যের অধিপতিগণ গেীড়াধিপের প্রাধান্ত স্বীকার করিতেন । আমার অনুমান হয়, যোড়শ শতাব্দীর শেষভাগ পর্যন্ত এই থওরাজ্য কখনও করদ, কখনও স্বাধীনরপে বর্তমান ছিল, এবং সপ্তদশ শতাব্দীর আরস্তে আকবরের সেনাপতি মানসিংহ কর্তৃক কেদার রায়ের পরাজয়ের এবং নিধনের সঙ্গে সঙ্গে ইহার অবসান হয় । কেদার রাষ্ট্রের পরাজয়ের দিন বিক্রমপুরের জীবনসঙ্গা । তার পর হইতে ংসলীলা , চলিতেছে। কীৰ্ত্তিনাশা পদ্মার দক্ষিণ তীরে বিক্রমপুরের ভগ্নাবশেষ এখনও বর্তমান আছে ; এখনও প্রবাদ আছে, এচ কীৰ্ত্তিনাশা এক সময় একটি সরু খাল মাত্র ছিল । বিক্রমপুরের জীবনসন্ধ্যায় বিক্রমপুর যে কত বড় ছিল খৃষ্টীয় সপ্তদশ শতাদের অঙ্কিত বাঙ্গালার দুইখানি মানচিত্রে তাহার পরিচয় পাওয়া যায়। (১) মেথুজ ভেন ডার ব্রুকের ম্যাপ । ভেন্‌ডার ব্রুক ( Matheus van der Broncke ) হইতে ১৬৬৪ সাল পর্য্যন্ত বাঙ্গালীয় ওলন্দাজ ( Dutch ) বণিকগণের অধিনায়ক ছিলেন। ভেন্‌ ডার ব্রুকের ম্যাপের প্রথম সংস্করণ পাওয়া যায় নাই । ১৭২৬ খ্ৰীষ্টাব্দে প্রকাশিত cztrỆtną (Valentyn’s ) Ez Efent ( East India ) নমিক পুস্তকের পঞ্চম খণ্ডে ব্রুকের ম্যাপের যে সংস্করণ আছে ব্রিটিশ মিউজিয়ম হইতে আনীত তাহার ফটোগ্রাফ প্রদশিত হইল। ভেন ডার ক্রকের সময় কলিকাতা একটি ᎼᎽᏱ☾br