পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ö区] দৃষ্টি-প্রদীপ ግግvo করতে যান-ইত্যাদি। যাকে নিয়ে এত গোলমাল,সে ভয়ে ও লজ্জায় কাঠ হয়ে দাড়িয়েই আছে ওদের বাড়ির সদর দরজায় । ওর চোথে একটা দিশেহারা ভাব, লজ্জার চেয়ে চোখের চাউনিতে তয়ের চিহ্নই বেশী। ওর সেই কথাটা মনেপ ভুল— জানেন, মাষ্টার-মশায়, আমায় সম্বাই ভয় করে, সবাই মানে এ পাড়ায়—আমার সঙ্গে লাগতে এলে দেখিয়ে দেব না মজা ? বেচারী মুখর। হিরন্ময়ী ! শেষ পর্যন্ত কৈলাস মজুমদারের স্ত্রী ওকে না নিয়েই চলে গেলেন । তার দেওর ও ছেলের একরকম জোর করেই তাকে সরিয়ে নিয়ে গেল । আমি তখন এগিয়ে গিয়ে বললুম-হিরণ, তুমি কিছু ভেব না । আমি এত ক্ষণ দেধছিলাম এরা কি করে । যে ভয়ে তোমাকে ডাকতে পারি নি, সে ভয় আমার কেটে গিয়েছে। তুমি একটু একলা থাক-আমি কাওরাপাড়া থেকে মোহিনী কাওরাণীকে ডেকে আনছি। সে তোমার ঘরের বারান্দাভে শোবে রাত্রে । ভা’হলে তোমার রাত্রে একা থাকার সমস্যা মিটে গেল। আর এক কথা—তুমি রাল্লা চড়িয়ে দাও । চাল-ডাল সব আছে ভ? কাওরপাড়া থেকে ফিরে আসতে আধ ঘণ্টার বেশী লাগল। মোহিনী-বুড়ীকে চার আনা পয়সা দিয়ে রাত্রে হিরণদের বাড়িতে শোবার জন্তে রাজী করিয়ে এলুম। ফিরে এসে দেখি দালানের চৌকাঠে বসে হিরন্ময়ী হাপুস্ নয়নে কঁদিছে। অনেক ক’রে বোঝালুম। বড় কষ্ট হ’ল ওকে এ অবস্থায় দেখে । বললে—মার আর দিদির কি श्tद भीछेद्र-भक्षङ्गि ? अनंनि कॉणहे यांयांtक ¢रुप्ले किठिं লিখে দিন । ওদের ফাগি হবে না ত? ছেলে সত্বিন দিলাম। বললাম-রাধ হিরণ । খাওয়াদাওয়া কর । কিছু ভেব না-আমি কাল রাণাঘাট যাৰ। ভাল উকীল দিয়ে জামিনে খালাস ক’রে নিয়ে আসবার ¢5छे कब्रष । छङ्ग कि ? হিরণ কিছুতেই রাখতে চায় না-শেষে বললে— আপনিও—এখানে খানে কিন্তু । ঠিক ত? ও রাখছে স্ব’লে, জামাকে স্নাঙ্গাধরেই বসে থাকতে হ’ল —ওঁ যেতে দেয় না, ছেলেমান্থব, ক্ষয় করে। কেবল জিগোল फtद्र भी ऋांद्र निर्मिघ्न कि हtव । ’, ’ রান্না হয়ে গেল, ঠাই ক’রে আমীয় ভাত বেড়ে দিলে। এদিকে হিরণ বড় অগোছালো, কুটনো-বাটনা, এটোকাটা, ভাতের ফেন, ডালের খোসাতে রান্নাঘর এমন নোংরা ক'রে তুলেছে। ভাত বাড়তে গিয়ে উনুনের পাড়ে আঁচল লুটিয়ে পড়েছে—নিতান্ত আনাড়ি । বললাম—দিনমানে কোন রকমে একা থেক । আমি সন্ধের আগেই রাণাঘাট থেকে ফিরবো। রোধে খেও কিন্তু । না হ’লে বড় রাগ করব। মোহিনী কাওরাণী এল রাত ন’টার পরে। তার পরে আমি আমার বাসায় চলে এলুম। পরদিন রাণাঘাটে গিয়ে দেখি কেস ওঠে নি আদালতে । উকীল ঠিক ক’রে তার সঙ্গে জামিনের কথাবার্তা বলে এলুম। ফিরবার সময় হিরন্ময়ীর জন্তে দু-একটা জিনিষ কিনে নিলুম ওকে একটু আনন্দ দেবার জন্তে । ফিরে দেখি ও ব’সে বসে আবার কঁদিছে কলিকার মত । সারাদিন বোধ হয় রণধে নি, কিছু খায় নি। স্নানও করে নি, দু-এক গাছ রুক্ষ চুল মুখের আশেপালু উড়ছে। মহা ৰিপদে পড়ে গেলুম ওকে নিয়ে ! কি করি এখন ? ওর বাবাকে আজ রাণাঘাটে পৌঁছেই টেলিগ্রাম করেছি, যদি আজ তা পেয়ে থাকেন, তবে কাল তিনি এসে পৌছলেও ত বঁচি । নইলে হিরন্ময়ীকে ভাবছি কালীগঞ্জে বৌদিদির কাছে কি রেখে আগব ? কারণ এসে শুনলুম মোহিনীবুড়ী বলে গিয়েছে সে রাত্রে এখানে আর গুতে আসতে পারবে ন! { ও আমার দেখেই ছুটে এসে বললে—মীকে দিদিকে দেখে এলেন, মাষ্টার-মশাই ? তারা কেমন আছে ? খালাস পেলে না ? আমি ওদের নিজে দেখতে যাই নি, উকীলের মুখে হিরন্ময়ীর সংবাদ পাঠিয়ে বলেছিলুম হিরথায়ীর জন্ত যেন তারা কিছু ন ভাবে। বললাম সে কথা। তার পর হিরন্ময়ী আমাকে বালতী ক’রে জল স্কুলে দিলে স্নানের জন্তে-ঘরে প্রদীপ জেলে উকুন ধরিয়ে চায়ের জল ১ড়ালে । রাণাঘাট থেকে ওর জন্তে কিছু খাবার এনেছিলুম, তার বেশী অৰ্দ্ধেক আমার রেকারী ক'রে চায়ের সঙ্গে জোর ক’রে খাওয়ালে-তার পর রায় চাপিয়ে দিলে । ওর মনে সুখ নেই, কেমন বেন মুসক্ষে পড়েছে ছেলেমানুষ, নইলে