ዓግጬ মেয়ের বিয়ে নিয়ে তিনি বড় বিপদে পড়েছেন । তিনি গরিব, অবস্থা আমি সবই জানি, গ্রামের সমাজে একঘরেও বটে। দু-তিন জায়গা থেকে সম্বন্ধ এসেছিল, নানা কানাযুষে শুনে তারা পেছিয়ে গিয়েছে। মেয়েও বেজায় একগুঁয়ে, তাকে দেখতে আসছে শুনলেই সে বাড়ি থেকে পালায় ! অত বড় মেয়ে, এখনও জ্ঞানকাও হ’ল না, চিরকাল কি ছেলেমানুষী করলে মানায় ? মৃতরাং তিনি বড় বিপদে পড়েছেন, আমি যদি ব্রাহ্মণের এ দায় উদ্ধার না-করি তবে তিনি, কালীকান্ত গাঙ্গুলী, সম্পূর্ণ নিরুপায়। . আমার কি মত? আমি আর কিছুই ভাবলাম না, ভাষলাম কেবল হিরন্ময়ীর আশা-ভাঙা চোখের চাউনি আর তার শুকনো মুখ, সেদিন যখন জিনিষপত্র বাধfছ সেই সময়কারের । বৈশাখ মাসের প্রথমেই বিয়ে হয়ে গেল । বিয়ের পর ওকে নিয়ে প্রথম গেলাম আটঘরার বাড়িতে, বরণ করে নেবার সময় ছোট কাকমা, ( পানীর মা, এখন বিধবা ) দূরে দাড়িয়ে আছেন দেখে বললুম—সীতা, ছোট কাকীমাকে আসতে বল বরণের সময় । উনি দূরে থাকলে সে-কাজে মঙ্গল হবে না, সংস্কার থাকুক। আজ মা নেই, উনি আছেন, ওঁকে কি দূরে থাকলে চলে ? একদিন হিরন্ময়ী বললে—একটা কথা শোন | যেদিন তুমি প্রথম পাঠশালাতে পড়াতে এলে, আমি তোমার কাছে গেলাম, সেদিন থেকে তোমায় দেখে আমার কেমন লজ্জা করত । সেই জন্তে কাছে বসতে চাইতাম না । তার পর তুমি একদিন রাগ করলে, তাতে আমারও খুব রাগ হ’ল । তুমি তার পর বললে—আমাদের গা ছেড়ে চলে যাবে। সেদিন ভয়ে আমার প্রাণ উড়ে গেল। এত কান্না আসতে লাগল, কাম চাপতে পারি নে, পাছে কেউ টের পায়, ছুটে পেছনের সজ নেতলায় চলে গেলাম। সব যেন ফাঁকা হয়ে গেল মনের মধ্যে ! উঃ মাগে, সে যে কি দিন গিয়েছে ! হিরগী গুছিয়ে কথা বলতে শেথে নি এখনও । 鬱 囊 變 蔓 % ভগবান জ্ঞানেন বিয়ের সময় কেমন যেন অঙ্গনস্ক হয়ে গিয়েছিলুম। সপ্ত-সমুদ্র পারের কোন দেশে অনেক সুরে ఎని83 এই সব সন্ধ্যার অস্পষ্ট অন্ধকারে একটি হাস্তমুখী তী কিশোরী প্রদীপ-হাতে ভাঙা বিষ্ণুমন্দিরে সন্ধ্যা দেখাতে যেত কত যুগ আগে-পুকুর-পাড়ের তমল-বনের আড়ালে তার সঙ্গে সেই ষে সব কত সুখ-দুঃখের কাহিনী, কত ঠাকুর-দেবতার কথা, সে-সব সত্যি ঘটেছিল, না স্বপ্ন ? কোথায় গেল সে মেয়েটি ? আর তাকে তেমন ক'রে ত চাই না ? যেন কত দূরজন্মে তার সঙ্গে সে পরিচয়ের দিনগুলো কালের কুয়াশায় অস্পষ্ট হয়ে এসেছে—তাকে যেন চিনি, চিনি, চিনি মা ! কেন তার স্মৃতিতে মন আর নেচে ওঠে না ? কোথায় গেল সে-সব দিন, সে-সব প্রদীপ দেখানো সন্ধ্যা ? ు) বছরখানেক পরে একদিন রাণাঘাট ষ্টেশনের প্ল্যাটফৰ্ম্মে দাড়িয়ে আছি । মুর্শিদাবাদের ট্রেন থেকে অনেকগুলি বৈষ্ণব নামলে । তারা যাবে খুলনার গাড়ীতে । তাদের মধ্যে এক জনকে পরিচিত ব’লে৯মনে হ’ল । কাছে গিয়ে দেখি দ্বারবাসিনীর আখড়ার সেই নরহরি বৈরাগী—যে একবার জীব-গোস্বামীর পদাবলী গেয়েছিল । সে পয়লা নম্বরের ভবঘুরে, মাঝে মাঝে আখড়ায় আসত, আবার কোথাম চলে যেত। নরহরিও আমায় চিনলে, প্রণাম ক’রে বললে— এখানে কোথায় বাৰু? এটা কি দেশ নাকি ? আপনি ত অনেক দিন স্বরবাসিনী যান নি । আর যাবেনই বা কি, সব শুনেছেন বোধ হয়, আখড়া আর সে আখড়া নেই। দিদি-ঠাকুরুণ মারা যাওয়ার পরে— —কে ? —কেন আপনি জানেন না ? মালতী দিদি-ঠাকরুণ ত আজ বছর-চারেক মারা গিয়েছেন । चांमि ७द्र क्रिक ७क्मृरहे cव्रज ब्रश्नूम । नब्रशब्रि আপন মনেই বলে খেতে লাগল—এখন উদ্ধবদাসের এক ভাইপে তার সেবাদাসী নিয়ে কোথা থেকে এসে জুটেছে। সেই এখন কৰ্ত্ত । উদ্ধবদtল তো বুড়ো হয়েছে, সে কিছু দেখে-শোনে না । এখন অতিথ-বোষ্টম গেলেজার জায়গা हग्न मी । भांशडौ विनि-ठांपूझ* छ यांबूब झिणम भ}, স্বর্গের দেবী ছিলেন, কি ৰাপের মেয়ে তিনি শ্বৰ্গে চলে
