পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{5á ඌශ්ෂ

  • の敬

কাজ কর ত, বাসায় গিয়েই মীরাকে পাঠিয়ে দিও। খোকনকে যেন কোলে ক’রে নিয়ে আসে । বাসায় পৌছতেই মীরা বলেছে তার দুটো পুতুল ভেঙে গেছে, থোকনমণির ঝুমঝুমি নাই, আর কত ফরমায়েস ! বাজারের পাশেই ত কবরেজের বাসা, বাজার থেকে মীরাকে সব কিনে দেবখন, আর ওদের সঙ্গে করেই কবরেজের বাড়ি থেকে ঘুরে আসবখনৃ । কাদু পা বাড়াইল । দিবাকর বলিল-ই্যা, ওর মা ঘদি আবার বারণ করে, তুমি শুধু চুপি চুপি মীরাকে ডেকে খোকনকে কোলে দিয়ে আমার কথা বলে পাঠিয়ে দিও, বুঝেছ ? কাছ একবার পা বাড়াইয়া আবার ফিরিয়া হাসিতে হাসিতে বলিল,—মাঘ মাসের একুশে তারিখে খোকনমণির মুখ ভাত, শুনেছ ত ? অামায় কিন্তু বখশিশ, দিতে হবে দাদাবাবু একজোড়া কাপড়ের কমে ছাড়ছি না । দিবাকরও হাসিতে চেষ্টা করিল। বলিল—দেব বইকি কাজু, নিশ্চয় দেব। —-হ্যা, মনে থাকৈ যেন• • • কাঢ় চলিয়া গেল । দিবাকর রাস্তার দিকে তাকাইয়া চুপ করিয়া দাড়াইয়া থাকিল। পাঁচ-সাত মিনিট কাটিয়া যায়, কিন্তু কেহই আসিল না । দিবাকর তেমনই দাড়াইয়া রহিল। আধ ঘণ্টা থানেকের ভিতরেও যখন কেহ আসিল না, দিবাকর এক পা দুই পা করিয়া রাস্তা দিয়া একটু আগাইয়া আপিল । বাসা দেখা যায়, কিন্তু আর কাহাকেও দেখা যায় না । দিবাকর আরও কিছু ক্ষণ দাড়াইয়া থাকিল। কপালে বিন্দু বিন্দু ঘামের রেখা ফুটিয়া উঠিল । কিন্তু বহু ক্ষণ অপেক্ষা করিয়াও যখন মীরা আসিল না, দিবাকর একটা দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলিয়া আস্তে আস্তে সেখান হইতে সরিয়া গেল ; হয়ত বা চক্ষু দুইটি একটু সিক্ত হুইয়া উঠিল । বরিাজের বাড়িতে আর দিবাকর গেল না। দশ টাকা করিম সপ্তাহ, চালাইবারও উপায় নাই—জার এই কবিৰাজের উপর বিশ্বাসও তার কিছু করি গিছে। بسسهه ۵ আগুবাবু নামজাদা হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার। শহরের কোনো য়্যালোপ্যাথও তাহার মত যশ অর্জন করিতে পারেন নাই । দিবাকর আশুবাবুর বাড়ির দিক যাইতে লাগিল । ডাক্তারও ভাল, আর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় খরচও কম । সমস্ত শুনিয়া আগুবাবু ঔষধের ব্যবস্থা করিলেন । আগুবাবুর ডিসপেন্সারী হইতেই দিবাকর ঔষধ কিনিয়া লইল। বাহির হইয়া আসিবার আগে অল্প একটু হাসিয়া জিজ্ঞাসা করিল—কেমন দেখলেন ডাক্তারবাবু ? ভাল . হব ত ? আশুবাবু, ঘাড় কাৎ করিয়া বলিলেন—অৰিতি । ভয় কিছু নেই, তবে হ্যা, একটু সাবধান । আগুবাবুর বাড়ি হইতে দিবাকর সোজা ইন্থলে আসিল । হেডমাষ্টার মহাশয় একটু গম্ভীর ভাবে বলিলেন – কিছু মনে করবেন না দিবাকর বাবু, কাজ থেকে আপনার জবাব দিতে হবে। আপনার যে ব্যাধির কথা শুনলাম, এতে আপনাকে আর রাখতে পারি ભ এবং এই কথা জানাবার জন্তে সেক্রেটারীও আমায় সেদিন থষর পাঠিয়েছিলেন । দিবাকরের মুখ শুকাইয়া গেল। বলিল—যদি আমাকে আর কিছু দিনের ছুটি দিতেন স্তর, অন্ততঃ চেষ্টা ক’রে দেখতাম । এই অবস্থায় এখন যদি আমীয়-- —ত। আমি আর কি করুত পারি দিবাকর বাৰু ? আমার কোনো হাত নেই। আপনাকে তিন মাসের ছুটি পুরো মাইনেয় দিয়েছি। আর ছুটি দেওয়া অসম্ভব । এতে ইস্কুলের কাজে বিশৃঙ্খলাও হয়, আর ইস্কুলের আর্থিক অবস্থাও— কাতর ভাবে দিবাকর কহিল-পুরো মাইনে আমি চাই নে, দয়া ক’রে যদি অৰ্দ্ধেক মাইনেতেও— হেডমাষ্টার একটু অসহিষ্ণু ভাবে বলিলেন—আপনি বুঝতে পারছেন না দিবাকর বাবু । আপনার ওই ব্যাধিটাই যে সব গোলমাল কর্ছে । আপনার যা শরীরের অবস্থা দেখছি, এতে আপনি নিজেই যে কাজ করতে পারবেন না। আর আপনাকে আমরা র্যালাউই বা কৰি কি कप्न ? गर्न वित्र क्नि क७क मानव इङि अिभमात्र •