পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ويقوم سيا কিছুই হবে না। আপনার জন্তে আমি বড়ই দুঃখিত হচ্ছি দিবাকর বাবু, কিন্তু কোন উপায় নেই। আমি আপনাকে বলি, এখানকার প্রভিডেন্ট ফণ্ডের টাকাটা আপনি তুলে নিয়ে যান—তা সে যা-ই হোক না কোন, নিয়ে গিয়ে ওরই ভেতর নিজের যথাসম্ভব চিকিৎসার বন্দোবস্ত করুন । দিবাকর আর কোনো কখাই বলিতে পারিল না । চক্ষুর সম্মুথে অন্ধকার ঘনাইয়া আসিল । 制 拳 & স্বর্ণময়ী বলিতেছেন, তা ভালই করেছিল দেবা, ফিরে এসে । একেবারে মড়ার হাল হয়েছে, এই শরীর নিয়ে কেউ খাটুনীর কাজ করতে পারে ? চাকরিতে জবাব দিয়ে এসেছিল, তাতে কি হ’য়েছে ? মা-ভবতারিণীর দয়ায় সেরে উঠলে, অমন চাকরি আবার পাবি। তুই মন খারাপ করিস নি বাছ । দিবাকর বলিল—না সন্নোদিদি, মন আর কি খারাপ ক’রব, তবে আবার চলা8 তো চাই! তবুও যাহোক কটা টাক পাচ্ছিলাম, কিন্তু এখন যে অfর উপায় নেই । কে আমtয় সাহায্য করবে ? —ত বাবা এই অবস্থায় শ্বশুর কি আর কিছু নাই করবেন ? অবিশুিই ক’রবেন। এত দিন তার কাছেই ত থাকৃলি ! স্বর্ণদিদি অবগু সরল মনেই বলিলেন, কিন্তু সেখীন হইতে কোন সাহায্য প্রার্থনা করিবার কথা ভাবিতেও দিবাকর মনের ভিতরে কেমন একটা গ্লানি অনুভব করে । কিন্তু তাই বলিয়া সে মাথাটাকে প্রথমেই খারাপ করিয়া বসে না । আপ্তবাবুর দেওয়া হোমিওপ্যাথিক ঔষধ বিশ্বাসের সহিত খাইতে থাকে । কখনও কখনও কলিকাতায় গিয়া এক জন বড় ডাক্তার বা কবিরাজকে দিয়া দেখাইবার ইচ্ছা মনে জাগে ; কিন্তু পরক্ষণেই সে-চিস্তা সে মন হইতে মুছিয়া ফেলিয়া দেয়। কলিকাতা যাওয়া এবং থাকার খরচ, ডাক্তারের ফি, ঔষধপত্র, বড় ডাক্তারের বড় ফর্মায়েশ •••অসম্ভব ! তা আগু ডাক্তারই বা কম কিলে ? বঙ্কিম মোক্তারের মতবড় অসুখ, তা শেষে আগুবাবুর হাতেই ত সারিল সে .ত কলিকাতাও গিয়াছিল, পয়সাও ঢালিয়াছিল দুই হাতে ; ৷ SS8S কিন্তু কই, কলিকাতার ডাক্তাররা ত কিছুই করিতে পারিলেন না, শেষকালটায় ত এক রকম জবাবই দিয়া দিলেন । আশুবাবুর দেওয়া হোমিওপ্যাথিক ঔষধের গু"ড়া শিশি হইতে কাগজের উপর মাত্রা ঠিক করিয়া দিবাকর ঢালিয়া লইল ; মুখের ভিতর ফেলিয়া জিহ্বা দ্বারা চাটিতে চাটিতে মনকে প্রবোধ দিতে থাকিল । কিন্তু কিছুই হইল না ! দিবাকরের শরীর যেন ক্রমেই ভাঙিয়া পড়িতে চায় । কাশিতে কাশিতে বুক পিঠ বাক হইয়া আসে, পেটের নাড়িগুলি ছিড়িয়া আসিবার উপক্রম করে। গায়ে জর সৰ্ব্বক্ষণ লাগিয়া আছে। সন্ধ্যার দিকে দিবাকর বেহু'সের মত বিছানার উপর পড়িয়া থাকে । পাড়ার ভিতরে নরেশই সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রাচীন লোক, ঠাহার বিজ্ঞতার উপরেও সকলের আস্থা । স্বর্ণ-ঠাকুরাণী জিজ্ঞাসা করিলেন—হ্যা নরেশ, দেবা যে বড় ভাবনার ভিতরে ফেলল। কি করা যায় বল দেথি ! নরেশ প্রথমটা কিছুক্ষণ চুপ করিয়া রহিলেন । তার পরে মাথা নাড়িয়া উত্তর দিলেন—আসল কথা বলতে কি সন্ত্রো ? এ-সব শিবের অসাধ্য ব্যাধি । তবে ভাগ্যের জোর থাকলে সেরেও যায়, একেবারে যে নী-সারে এমন না । এই ত ধর না কেন, আমার খুড়ো-মশায়েরই ত এই ব্যাধি ছিল । তা তিনি সম্পূর্ণ সারেন নি বটে কোনোদিন, তবে একেবারে ভেঙেও পড়েন নি। একটু-আদৰ্টু উপসর্গ থাকৃতই, মাঝে মাঝে আবার ভালও থাকতেন ! ওই নিয়েই ত পচাশী বছর তিনি বেঁচেও গেলেন—ছেলে, মেয়ে, বউ নিয়ে ঘরগেরুস্তালী ক’রেই ! –কিন্তু দেবী যে ক্রমেই শব্যে-ধরা হ’তে চ’লল । –তাই ত সন্নো, কি করা যায় । —তুমি না-হয় যেয়ে বাবা একবার বাড়ির ওদিকে । দেবীকে একটু দেখে এস । * —যাব’খন ; তবে আজকে ত আর পারব न । ন'বেকগীতে একটু যেতে হবে লাটের কিস্তির তারিখ আবার । কাল সকালের দিকে যাব ... وعي و একদিন কাহার নিকট হইতে নরেশ ধশোরের কোন