পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*ौन्दी নিশীথে ভাকিল কে t-RNE স উঠিয়া দেখিল তাহার পাশে বধু নাই ! তাহার ঘোর মোহ হইল। তখন বাহিরে গিয়া দেখে ছাদের সিড়িটির বুজ খোলা । তাহার ভিতর হইতে শুভ্ৰ জ্যোৎস্নার খানিকটা আসিয়া পড়িয়াছে। তাড়াতাড়ি সে ছাদে উঠিয়া পড়িয়া দথিল বীণা চোখ বুজিয়া ছাদে আলিসার পাশে গিয়া ড়িাইয়া আছে।--আর একদিনের ঘটনা মোক্ষদা দেবী ধনয়কে শুনাইয়াছিলেন—গভীর রাত্রে তিনি দরজা খুলিয়৷ হিরে যাইতেছিলেন, হঠাৎ দেখেন দরজার পাশে বধু ক গ্লাস জল লইয়া দাড়াইয়া আছে । —ওমা, বউমা তুমি এত রাত্তিরে দাড়িয়ে ? বীণার স্বপনের আমেজ ভাঙিয়া গেল । সে বলিল— মি যে জল চাইলে মা থানিক আগে, তাই জল নিয়ে এলুম ! তিনি অবাক হইয়া গেলেন। ঘুমাইতে ঘুমাইতে পিনের মধ্যে হয়ত তাহার মনে হইয়াছে শাশুড়ী জল হিয়াছেন, তাই জল লইয়া আসিয়া দাড়াইয়া আছে । মাশ্চর্য্য ! এই সমস্ত কথা স্মরণ করাইয়া দিয়া একদিন মোক্ষদাদবী পুত্র বিনয়কে বলিলেন—ওরে সজাগ হয়ে শুস ; বউ ধন রাত্রিরে কারু.ক সাড়া দিয়ে ফেলে না । বিনয় বলিল—কই মা, আজিকাল ত আর সে রকম করে না । সে অমুখ সেরে গেছে । তিনি বলিলেন—সেরে যাক আবার ধরতে কতক্ষণ । নিস নি বুঝি আবার কি হয়েছে। তোকে বলতে ভুলে গছি। দয়ালদের বাড়ির পুব দিকের ঐ তেমাতাটা দিয়ে মীর ইটিস নে । আজ সকালে গয়লা আসে নি, হারুকে কিতে যাচ্ছিলুম গাই হয়ে দেবার জঙ্গে—দেখি তেমাতার পর খেজুর-গাছটার গায়ে কে একটা ঘট বেঁধে রেখে 咒变山 বিনয় শুনিয়া বলিল—তাই না কি ! আমারও সেদিন জর পড়েছিল । দখলদার বাড়ির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলুম, খি রাস্তার মাঝখানে কে খানিকটা চুল থুতকুড়ি দিয়ে ফলে রেখে গেছে । তখুমি আমি গিয়ে দয়ালদাকে কিলুম। সাড়া পেলুম মা তাই, তা ম' হ'লে সেদিনই কচোট হয়ে যেত। মেয়ের অসুখ, ডাঙ্কার-বদ্যি দেখাওঁ, नब्र । कूक्ष्कूक अविीब्र कि 1 * - - মোক্ষদা ইসারা করিলেন—ীণা আসিতেছে, শুনিতে পাইবে । কাজেই বিনয় অন্ত কথা বলিয়া চলিয়া গেল। আশ্বিন মাস পড়িয়া গেল । পুজা এবার মাসের মাঝেই। বোধন বসিয়াছে। পটুয়ারা রোজ দুপুরবেল উৎসাহের সহিত ঠাকুর গড়িতেছে। নিস্তব্ধ ঠাকুর-দালানটি প্রাণপ্রাচুর্য্যে মুখর হইয়া উঠিয়াছে । ছোট ছোট বহু ছেলেমেয় আসিয়া জড়ো হইয়াছে। দালানের এক পাশে বস্থৎ কাদা ভিজান হইয়াছে ৷ এক জন কাদা ঠেলিয়া মাখিতেছে । আজ হইতে কাঠামোর গায়ে কাদা দেওয়া হইবে । - বীণার আজকাল অবকাশ কম। দুপুরবেল পটুয়াদের থাইবার সময় তাহাকে দাড়াইয়া তদ্বির করিতে হয় । সকালবেলা জনের মাঠে যাইবার পূৰ্ব্বে উঠানে আসিয়া বলে। তাহাদের সবাইকার কেঁচড়ে মুড়ি ঢালিয়া দিতে হইবে। মাঠে বসিয়া বিশ্রামের সময় তাহারা খাইবে—সে কাজের ভারও বীণার উপর । কাজেই সারা দিবসের মধ্যে বীণায় অবকাশ অত্যন্ত অল্পই । ~.ണ് সন্ধ্যার কিছুক্ষণ পর হইতেই হঠাৎ সেদিন বৃষ্টি আসিল । বীণার কােজ সারিয়া আসিয়া গুইতে, ষে রাত্রি হইল, পাড়াগার পক্ষে তাঁহাকে ভারী রাত্রিই বলিতে হইবে। ঘরে আসিয়া বীণা দেখিল বিনয় পরিশ্রাস্ত হইয়া বেঘোরে ঘুমাইতেছে । চারি দিক নিস্তব্ধ। শুধু যা জলপড়ার ছড় ছড় শব্দ হইতেছে । এলোমেলো বাতাস বহিতেছে। জানালাগুলো তাহীর ধাকায় মাঝে মাঝে স্থমজুম করিয়া উঠিতেছে । ঠাণ্ড হাওয়ায় গোয়াল হইতে গরুগুলো ডাকিয়া উঠিতেছে। বীণ বেশ শুনিতে পাইল । তাহার পর সে কুলঙ্গীতে প্রদীপটির সলিভ টানিয়া দিয়া শুইয়া পড়িল । গভীর রাত্রে তাহার মনে হইল কে যেন তাহার দরজা ঠেলিয়া ডাকিতেছে । আস্তে আস্তে উঠিয়া সে দরজা খুলিয়া ফেলিল। কিন্তু কাহাকেও ত দেখিতে পাইল না ! দরজা বন্ধ করিয়া দিতেছিল এমন সময় আবার সেই ‘রাঙদিদি খোকার মা আমি না এলে ধেয়ে। মা-* বীণা অবাক হইয়া গেল । আবার সেই হাঙ্গময়ী बिभणी यांगिण कि भद्भिइ ! छांज्र ७ फॉज़ tन ब्रां★ माँ३ ।।