পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

جون سوا

  • ৫ প্রবাসী;

S98S २ গঙ্গার অশেষ মহিমা । গঙ্গাতীরে বাস, গঙ্গাজলে স্নান, গঙ্গাজল পান,—এ সকলের মহিমা আমরা বুঝতে পরিব না। র্যর প্রথমে গঙ্গাতীরে বাস কর্যেfছলেন, তারা বুঝতেন । যাদের সে ভাগ্য ছিল না, যারা গঙ্গা হ’তে দূরে বাস করতেন, তারা গঙ্গাকে তীর্থঞ্জন করতেন । তীর্থদর্শনের বহু ফল । গঙ্গা-স্নানেরও বহু ফল । কিন্তু টেগ-টো করে ঘুরতে ঘুরতে তীর্থদর্শনে ফল নাই। রেলে মোটরে অীরাম করতে ক’রতে গেলে তীর্থ অদৃশ্য হন । বিনা ংকল্পে গঙ্গীমানেও ফল নাই । সহজে মনঃ স্থির করবার উদ্দেশে কয়েকটা জ্যোতিধিক যোগে গঙ্গামীন প্রশস্ত করা হয়েছে । যেমন, জ্যৈষ্ঠ-শুক্ল-দশমীতে দশহরা-স্নান । দশহরা, গঙ্গা। লোকে দশবিধ পাপ করে থfuক, সেদিন গঙ্গাস্নানের পূর্বে সে সব পাপ স্মরণ করতে হয়, তার পর শ্রদ্ধাভক্তিসম্পন্ন হয়ে ব’লতে হয়, "জ{হবি, আমার পাপ ছরণ কর।” পাপ-খ্যাপন দ্বারা পাপের প্রায়শ্চিত্ত হয় । মনুস্মৃতিতেও আছে । কিন্তু পাপ-খ্যাপন কি সোজা কথা ? গঙ্গা মাতৃস্বরূপা ; মায়ের কাছে ছেলের গুণাগুণ অজানা থাকে না । মাকে ব’লতেও তেমন সঙ্কোচ হয় না । অীর, যে ব’লতে পারে সে এই দুষ্কম করেছে, সে সে পাপ হ’তে মুক্ত হবার পথে এসে: গঙ্গাস্নানের আর একটি বিশেষ দিন বারুণী । শতভিযানক্ষত্রযুক্ত মুখ্য ফাঙ্কন কৃষ্ণ-ত্রয়াদশী । সেদিন শনিবার হ’লে মহাবারুণী । বরুণীতে গঙ্গাস্নান করলে বহু ফল, মহবিরুণীতে করলে বহু বহু ফল । স্মৃতিতে লিখিত আছে, বহু শত সূর্যগ্রহণকালীন গঙ্গাস্নানজন্ত ফলের সমান ফল । মহ’ব কুণী:ও স্নান ক’রলে কোটি স্বর্যগ্রহণকালীন স্নানফলের সমান ফল । চন্দ্রস্বর্যগ্রহণ এক একটা উপলক্ষ, এক একটা নৈসৰ্গিক নিমিত্ত। ভক্তিশ্রদ্ধাসম্পন্ন হয়ে ঘন করলে দেহ-মন শুদ্ধ হয় । যে বর্মের দিন স্থির নষ্ট, সে কর্ম হয় না । স্নানের পর দান, এটি মুখ্য উদ্বেগু । ধে যোগ যত দুলভ, মানুষ সেটি তত আদর করে। ধাক্কণী ভুলভ নয়, মহাবারুণী মহলন্তি । ধার-যোগ এর কারণ। শতভিষা নক্ষত্রের অধিপতি বক্ষণ। বক্ষণ বৈদিক দেবতা । অগস্ত্য, বেদের এক ঋযি । তার নামে এক তারার মাম অগস্ত্য হয়েছে। অগস্ত্য তারা, বরুণের সন্তান, বারুণি । এই কয়েকটি স্বত্র ধর্যে বারুণী-যোগের ইতবৃত্ত অনুমান অসাধা নয়। সপ্তবার গণনা-প্রচলনের পরে, কোনও জ্যোতিষী বারটি পেয়েছিলেন, শনিবার জুড়ে দিয়েছেন। পরে দেখা যাবে, বারুণী-স্নানে বহু পুরাকালের নিদর্শন আছে । অধোদয়-যোগও স্বল্লভ । পৌষ মাঘ মাসে রবিবারে অমাবস্তা হবে, শ্রবণা-নক্ষত্র-যুক্ত হবে, ব্যতীপতি'যোগ হবে, অর্ধদয়ের এই লক্ষণ । কিন্তু এই বর্ণনা পরবর্তী কালের । কারণ, "অধোদয়’ এই নামের সার্থকতা নাই। অধোদয়, রবিবিশ্বের অধোদয়, অরুণোদয়, ঠিক যে ক্ষণে দিবা আরম্ভ হয় । সেই ক্ষণে অমাবস্তা ও শ্রবণা চাই। পৌষ মাঘ মাসে, অবগু চান্দ্র, মুখ্য চান্দ্র পৌষ, গৌণ চান্দ্র মাঘ । দুই এক তিথি । কেহ কেহ সৌর পৌষ কিম্বা সৌর মঘ বুঝেছেন। সেটা ভুল । কারণ, অমাবস্তা একট তিথি, চান্দ্রমাসের একটা দিন। চান্দ্রমাসের নাম ম; ক’রলে কোন মাসের তিথি, তা বুঝতে পরিা যায় না । অীজ মাসের ১৫ই ব’ললে দিনটি নির্দিষ্ট হয় না। তিথি দ্বারা বুঝি হুর্য হ’তে চন্দ্র কত দূরে ৷ নক্ষত্র দ্বারা বুঝি, চন্দ্র নক্ষত্ৰচক্রের আদি হ’তে কত দূরে । আর, "যোগ’ দ্বারা বুঝি সে আদি হ’তে চন্দ্রের দূরত্ব ও স্বর্যের দূরত্বের যোগফল কত । অতএব চান্দ্রমাসের নাম না করলে তিথি ও নক্ষত্র স্বারা চন্দ্র ও স্বর্যের স্থিতি জানতে পারা যায় না । আরও দেখা যাচ্ছে, তিথি ও নক্ষত্র পেলে চন্দ্র ও সূর্যের স্থিতি পাই । ‘যোগ’টা একটা অঙ্কমাত্র, এর নৈসর্গিক অর্থ নাই, দিনপ্রাপনে একেবারে অনাবষ্ঠক । জোবীরা ( ফল জ্যোতিষীরা) "যোগটি জুড়ে দিয়েছিলেন। অধোদয় মুখ্য চাক্স পৌষ-অমাবস্তায়। আমরা বঙ্গদেশে মুখ্য চান্ত্রমা গণি । এই প্রষন্ধে সে রীতি ধরেছি। অমাবস্তা, অতএব চন্দ্র স্বর্য এক স্থানে আছে । চক্রের নক্ষত্র শ্রবণ, অতএব হুর্যের নক্ষত্রও শ্রবণা । এই হেতু ব্যতীপাত ‘যোগ श्रवह श्य । किढ डिथि ७०, नन्नब २१, 'cषांश' २१# বর্ষে বর্ষে অগ্রপশ্চাৎ হয়ে পড়ে। ভোগও সমান থাকে না। চাজমসেরও অগ্র-পশ্চাৎ হয় । কোন বৎসরে ১২টা, কোন বৎসরে ১৩টা চজিনাল।