চৈত্র উপরে বার আলঞ্জাল পেতেছে । বৎসরে ১.২৬ বার বাড়ে। কিন্তু বারের উনাধিক হয় না, নিয়ত ৬৬ দও । এই ৬০ দণ্ডেয় মধ্যে যে-কোন সময়ে অমাবস্ত শ্রবণ ও ব্যতীপতি শেষ হ’তে পারে। এই সব কারণে অধোদ্বয়ের চক্রনির্ণয় কঠিন হয়েছে। মূনপক্ষে ১৭ বৎসর পরে অধোদয় হ’তে পারে । ২৭ বৎসর পরে আরও বেণী সম্ভাবনা । গত ২০ মাঘ অধোদয় যোগ গেছে । দেখি, কি হয়েছিল । সেদিন রবিবার মুখ্য চান্দ্র পৌষ-অমাবস্তা ৪• দং, শ্রবণা ৫• দং । অতএব অধোদয়কালে পৌষ-অমাবস্তা ও শ্রবণা ছিল, যোগও হয়েছিল। কিন্তু অধোদয়ে ব্যতীপতি হয় নি, ৬ দং পরে, প্রায় বেলা ৯টার পরে হয়েছিল । অতএব প্রকৃত অধোদয় হয় নি, ব্যতীপাত ‘যোগ’ অগ্রাহ ক’রতে হয়েছিল। বেল ৯টা হ'তে সন্ধ্যা পর্যস্ত যোগ ধরাও চলে না। তাতে অধোদয় নামটি ব্যর্থ হয়। যে ফুলভ কালে যে-কোন জলে স্নান ক’রলে কোটি স্বর্যগ্রহণকালীন মানজন্ত ফলের সমান ফল হয়, সে কাল দীর্ঘ হ’তে পারে না । ফলে ফলা হয়েছে, ২০ মাঘ বেলা ৯টার পর যে-কোন সময় স্নান করবে। এটা আর নূতন কি ? সকলেই স্নান করে। অধোদয়ের মাহীত্ম্যের উৎপত্তি চিন্তা করলে মনে হয়, ব্যতীপাত ‘যোগটি উৎপত্তির বহুকাল পরে যোজিত। ষরুণী ও মহাবারুণী স্বীনে ‘যোগ দেখা হয় না। এ বৎসর ১৮ চৈত্র ১ এপ্রেল সোমবার মুখ্য ফাঙ্কন কৃষ্ণ-ত্রয়োদশী ৪১ দং, শতভিষা নক্ষত্র ২৪ দং । অতএব বাঙ্কণী-যোগ । কৃষ্ণ-ত্রয়োদশী ও শতভিষা নক্ষত্ৰ হ’লে শুভ নামক ‘যোগ’ হয়। এদিন শুভযোগ ১৯ দং থাকবে । সোমবার ন৷ হয়ে শনিবার হ'লে মহাবারুণী যোগ হ’ত । অধোদয়-যোগে লোকসমাগমহেতু কলিকাতা মুন্সিপালটির খরচ হয়। খরচ লিখতে হ’লে যোগের সাল ও তারিথও লিখতে হয়। মুনসিপালটির "গেজেটে” পূর্ব তিনটি যোগের সাল ও তারিখ দেওয়া হয়েছিল। (১) সন ১২৭০ । ২৬ মাঘ, ইং ১৮৬৪ ৭ ফেব (২) সন ১২৯৭। ২০ মাধ, ইং ১৮৯১ ৮ ফেব (৩) সন ১৩১৪ । ১৯ মাঘ, ইং ১৯৪৮ । ২ ফেব শার, এবার - আথেণদয় ষোগ وسيلاواسيا (৪) সন ১৩৪১ । ২০ মাঘ, ইং ১৯৩৫ । ৩ ফেব দেখা যাচ্ছে, প্রথমটির ২৭ বৎসর পরে দ্বিতীয়টি, দ্বিতীয়টির ১৭ বৎসর পরে তৃতীয়টি, এবং তৃতীয়টির ২৭ বৎসর পরে চতুর্থটি হয়েছে। এই ক্রম ধর্যে দেখছি, ১৭ যৎসর পরে, ১৩৫৬ সালে যোগটি হ’তে হ’তে হবে না । কলিকাতায় সুর্যোদয়ের সময় অমাবস্ত থাকবে না । ২৭ বৎসর পরে সন ১৩৬৮। ২১ মাঘ, ইং ১৯৬২ । ৪ ফেব হুর্যোদযুকালে পঞ্চলক্ষণ যোগটি পাওয়া যাবে। లి গত অধোদয়-যোগে কলিকাতায় নাকি চারি-পাচ লক্ষ নরনারী এসেছিল। শিয়ালদহ রেল-ষ্টেশন কলিকাতায় । কলিকাতার প্রতি আরও টান ছিল । সেখানে এলে কালীঘাট-দর্শনও হয়। রাজধানী-দর্শনের অকাজাও কম নয় । হাওড়ার দিকে তিন-চারি লক্ষ নরনারী এসে থাকবে । গঙ্গা এই থানেই নয়, হাওড়ার উত্তরে হরিদ্বার পর্যন্ত গঙ্গা । সর্বত্র লোকে যোগটি মেনে গঙ্গাস্নান করেছিল কি না, জানি না। আন্ধের গোদাবরীকে গঙ্গা বলেন। স্নাতাচার্য রঘুনন্দন ভট্টাচার্য এক পাশ্চাত্য নির্ণামৃত” হ’তে অধোদয়কাল বুঝিয়েছেন। তিনি বরাহকৃত “কৃত্যচিন্তামণি” ও স্বন্দপুরাণ হ’তেও বচন তুলেছেন। আমি “নির্ণয়ামৃত” দেখি নি। “কৃত্যচিন্তামণি" পাওয়া যায় কি না, জানি না। স্কন্দপুরাণ বৃহৎ গ্রন্থ, প’ড়তে পারি নি। বুঝছি, যোগকালে স্নান ও দান কতব্য । গঙ্গায় স্নান চাই, এমনও নয়। যে-কোন নদী কিম্বা পুষ্করিণীতে স্নান করলেও চলে। দিনটা অশুভ । ব্যতীপাত যোগ নামের অর্থ দারুণ ছুর্নিমিত্ত। অমাবস্ত তিথিটাও অশুভ । বেগক:লটা অশুভই বটে, বৎসরের অন্তিমকাল । তখন পৌষ শ্রবণায় রবির উত্তরায়ণ-প্রবৃত্তি হ’ত । অধোদয়ের পরে নববর্ষ আরম্ভ হ’ত। খ্রিষ্টপূর্ব ৪-১ অস্বের, শকপূর্ব ৪৭৯ অকের কথা । কেবল নববর্ষপ্রবেশ নয়, সে বৎসর হতে এক নূতন অন্ধ-গণনা প্রচলিত হয়েছিল। অশ্বিনীর আদি বিন্দু খুজতে ধেয়ে খি,-পু ৪-১ অন্ধটি পেয়েছি * ( খুজ অতিগ্রাম্যভাষা) মামক পুস্তিক পীড়ন্তে পারেন । পুস্তিক
- #m terrà sitas, sn: The First Point of Avini “oto ox” পাওয়া যাবে।
