পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, 88 SSRసా মত আইন ব্যবস্থাপক সভা দ্বার করাইয়া লইতে পারিবেন। তবে, কংগ্রেসওয়ালা সদস্য অনেক থাকিলে তাহারা খুব তর্কবিতর্ক করিতে এবং সংশোধক প্রস্তাব উপস্থিত করিতে পরিবেন বটে। পূর্বেই বলিয়াছি, গবন্মের্ণট ব্যবস্থাপক সভার দ্বারা কোন আইন করাইয়া লইতে অসমর্থ হইলে বড়লাট ও অন্ত লাটের নিজেদের ইচ্ছামভ স্থায়ী আইন জারী করিতে পারিবেন। অতএব, পুনৰ্ব্বার বলিতেছি, কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক ব্যবস্থাপক সভাগুলিতে কিছু কাজ করিয়া পূর্ণ বা রকম বার আমী বা তার চেয়েও কম আংশিক স্বরাজ্য লাভের আশা বৃথা । ঐ সকল সভা দ্বারা ছোটখাট দেশহিতকর কাজ–সামাজিক, কৃষিশিল্পসম্বন্ধীয়, শিক্ষাসম্বন্ধীয় কিছু কিছু ব্যবস্থা - করান সম্ভব হইতে পারে । কিন্তু সাক্ষণ২ ভাবে বা বিশেষ ভাবে জাতীয়শক্তিবদ্ধক ও জাতীয় অধিকার প্রতিষ্ঠাপক কিছু কাজ কোন সদস্য' করিতে গেলেই তাহাতে সরকার-পক্ষ হইতে তিনি বাধা পাইবেন । ব্যবস্থাপক সভায় প্রবেশ না করিয়া কংগ্রেসওয়ালার অসহযোগ নীতি যত প্রকারে প্রয়োগ করিতে পারেন, তাহার দ্বারাও ষে স্বরাজ্য লব্ধ ন হইবার সম্ভাবনা কি কি কারণে আছে, আমরা তাহ ১৯২০ সালের অক্টোবর মাসে "মডার্ণ রিভিউ মাসিক পত্রের ৪৫৭-৫৮ পৃষ্ঠায় লিখিয়াছিলাম। আমাদের ঐ মত যাহারা জানিতে চান, তাহারা ঐ মাসের মডার্ণ রিভিউ দেখিতে পারেন। ঐ মত ঐতিহাসিক মেজর বামন দাস বস্ব তাহার “ইণ্ডিয়া আণ্ডার দি ব্রিটিশ ক্রাউন” পুস্তকের ৫১৫-এ ১৬ পৃষ্ঠায় উদ্ধৃত করিয়াছেন। এই পুস্তকের ৫১৪-৫১৫ পৃষ্ঠাম লালা লাজপৎ রামের তদ্বিষয়ক কোন কোন মতও উদ্ধৃত হইয়াছে । যে-সব কারণে আমরা ১৯২০ সালে বলিয়াছিলাম অসহযোগের পথে স্বরাজ লব্ধ ন হইবার সম্ভাবনা, সেই সব কারণ এখনও বিদ্যমান আছে এবং সেগুলি এখন আগেকার চেয়ে প্রবলতর বাধা । পুনরুজ্জীবিত স্বরাজ্য-দল কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক ব্যবস্থাপক সভার অধিকাংশ “সাধারণ” আসনগুলি দখল করিতে পারিলে অন্ততঃ এই কাজটি হইবে, যে, কংগ্রেস ষে দেশের বৃহত্তম প্রতিনিধিলে, তাহার স্বম্পষ্ট প্রমাণ ইংরেজ জাতিও পাইবে । পাঠকেরা বলিতে পারেন, কিসে কি হইবে না আপনি তাহাই বলিতেছেন, স্বরাজ কি প্রকারে লব্ধ হইবে, তাহা ত বললেন না ? তাহার উত্তর, আমরা উহা বলিতে অসমর্থ। . জাপানের ও ভারতবর্ষের বজেট আগামী বৎসরে সমগ্র ব্রিটিশ ভারতের এবং এক একটি প্রদেশের সরকারী রাজস্ব ও ব্যয় কত হইবে, তাহার একটা আকুমানিক হিসাব প্রতিবৎসর বসন্ত কালে ভারতীয় ও প্রাদেশিক রাজস্বসচিবের ভারতীয় ও প্রাদেশিক ব্যবস্থাপক সভাসমূহে পেশ করেন। সদস্যেরা তাহা লইয়া তর্কবিতর্ক করেন, কাটছাটের প্রস্তাব করেন, কোন কোন বিভাগের বরাদ কমাইয়া অন্য কোন কোন বিভাগের বরাদ বাড়াইবার চেষ্টা করেন । এরূপ তর্কবিতর্কের প্রয়োজন ও উপকারিত আছে । কিন্তু এই উপকারিত সীমাবদ্ধ। প্রকৃত কথ। এই যে, সমগ্র ভারতের ও প্রদেশগুলির রাজস্ব অনেক বেশী না-বাড়িলে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, শিল্প, বাণিজ্য প্রভৃতি বিভাগে যথেষ্ট ব্যয় করা যাইতে পারে না ; কিন্তু অন্ত দিকে ইহাও সত্য যে, এই সব বিভাগে যথেষ্ট ব্যয় নHকরিলে, ব্যয় ক্রমশ: বাড়াইয়া না-গেলে, দেশের লোকদের ধন বাড়িতে পারে না ও সরকারী রাজস্বও বাড়িতে পারে না। দেশ স্বশাসক না হইলে শিক্ষা স্বাস্থ্য প্রভৃতি বিভাগের বরাদ্দ ক্রমশঃ আশানুরূপ অধিক হইবে না, দেশ স্বশাসক না-হইলে দেশের ধনবৃদ্ধি ও সরকারী রাজস্ব বৃদ্ধি দ্বারা শিক্ষাদি বিষয়ে সরকারী ব্যয় বৃদ্ধিও সম্ভবপর হইবে না। অতএব, যে-দিক দিয়াই বিষয়টি বিবেচনা করা যাক, দেশ স্বশাসক হওয়া সকলের চেয়ে অধিক আবশ্যক রাষ্ট্রীয় প্রয়োজন, ভারতবর্ষের চেয়ে ছোট এবং অল্প লোকের বাসভূমি প্রত্যেক সভ্য দেশের বজেট স্বশাসক দেশসমূহের ধনশালিতার সাক্ষ্য দেয় । ইউরোপ আমেরিকার কথা ছাড়িয়া দিয়৷ এশিয়ারই একটি দেশ জাপানের দৃষ্টাস্ত লওয়া যাক। খাস জাপানের আয়তন ১,৪৭,৫৯২ বর্গমাইল ও লোকসংখ্যা ৬,৪৪,৫০,০০৫ ; জাপান সাম্রাজ্যের আয়তন ২,৬০,৬৪৪ বর্গমাইল ও লোকসংখ্যা ব্রিটিশ ভারতের আয়তন ১৩,১৮,৩৪৬ বর্গমাইল এবং লোকসংখ্যা గి,పి , ఆ వె\ర్సిరి | - ৯,০৩,৯৬,০৪৩ ৷