জ্যৈষ্ঠ জমালোচনা S డాలి গণনাথ সেন মহাশয় তাহার প্রত্যক্ষশারীর, সিদ্ধাস্তনিদান প্রণয়ন করিয়া কবিরাজমণ্ডলীর কৃতজ্ঞতাভাজন হইয়াছেন । প্রথম গ্রন্থে তিনি ইউরোপীয় অস্থিবিজ্ঞানের কতকগুলি তথ্য আয়ুর্বেদ-পাঠীদের জন্ত সংস্কৃত ভাষায় আহরণ করিতে চেষ্টা করিয়াছেন। দ্বিতীয় গ্রন্থে অধুনাতন কালে প্রচলিত অনেকগুলি রোগকে আয়ুৰ্বেদীয় প্রণালীতে বর্ণনা করিতে চেষ্টা করিয়াছেন। বর্তমান কবিরাজমগুলীর মধ্যে অনেকেই কিছু কিছু আয়ুৰ্ব্বেদীয় গবেষণায় লিপ্ত আছেন ও নানা আয়ুৰ্ব্বেদ পত্রিকার প্রকাশের ব্যবস্থা করিয়া নানা প্রবন্ধাদি প্রণয়ন করিয়া আয়ুৰ্ব্বেদের জ্ঞানবিস্তারের চেষ্টা করিতেছেন। ৬যামিনীভূষণকুত কুমারতন্ত্র, বিষতন্ত্র ও শ্ৰীযুক্ত বিরজাচরণ গুপ্তের বনৌষধিদর্পণ ও বিশেষভাবে উল্লেখ্য। হারাণচন্দ্র চক্রবর্তী মহাশয়ের স্বপ্রতের টীকা এবং যোগীন্দ্রনাথ সেন মহাশয়ের চরকের টীকা স্বধীসমাজে বিশেষ আদৃত হইয়াছে। এই প্রসঙ্গে ঐধুক্ত উ. সি. দত্ত মহাশয়কৃত Materia Medica of the Hindus, w; sojos. f*** “A Short History of Aryan Medical Science, উমেশচন্দ্র গুপ্তের বৈষ্ঠকশব্দসিন্ধু, বিনোদলাল সেনগুপ্তের আয়ুৰ্বেদীয় দ্রব্যাভিধান, গোড় বোলের নিঘণ্ট রত্নাকর, দভরাম চৌবের বৃহন্নিঘন্ট রত্নাকর, রঞ্জিৎ সিংহের চোৰচীনীপ্রকাশ ও বিনোদলাল সেনের আয়ুর্বেদবিজ্ঞান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আয়ুর্বেদের আর একটা বড় দিক তাহার রসশাস্ত্রের দিকৃ, তাহ আগামী প্রবন্ধে আলোচনা করিব । আলোচনা “ ‘অগ্রসর’ হিন্দু বাঙালী শিক্ষায় ভরপুর ” এই বিষয়ে গত চৈত্র মাসের ‘প্রবাসী'র বিবিধ প্রসঙ্গে সম্পাদক মহাশয় লিথিয়াছেন, “ষাঙালী হিন্দুদের মধ্যে সকলের চেয়ে শিক্ষায় অগ্রসর জাত বৈদোরা । কিন্তু তাহাদের মধ্যেও শতকরা ৩৬.৫ জন নিরক্ষর ••• বৈদ্যদের চেয়ে কম অগ্রসর ব্রাহ্মণের, তাহাদের মধ্যে নিরক্ষরের সংখ্যা শতকরা ৫৪.৮—এই নিরক্ষরদের মধ্যে শিক্ষাধীন হইবার বয়সের বিস্তর লোক আছে।” ইত্যাদি মধ্যে মধ্যে পত্রিকায় দেখিয়া থাকি বৈদ্যদের চেয়ে কম অগ্রসর ব্রাহ্মণের ; কিন্তু ব্ৰাহ্মণ বলতে যে আমরা কি বুঝি তাহা অনেকেই জানেন না । ব্রাহ্মণ অর্থে-রাঢ়ী, ৰায়েন্ত্র, বৈদিক ব্যতীত লয়াচাৰ্য্য, অগ্ৰদানী, ভাটগ্ৰাহ্মণ, বর্ণগ্রাহ্মণ, উড়িয়া, হিন্দুস্থানী, মাড়োয়ারী, গুজরাট, মারাঠী, মাঙ্গাজী প্রভৃতি ব্রাহ্মণ বোধ হয় বুঝায় । সংখ্যালথিষ্ঠ বাঙালী বৈদ্য জাতির সহিত যদি তুল্পনা করিতে হয় তাহা হইলে শুধু বাঙালী রাঢ়ী, বায়েন্দ্র ও বৈদিক ব্রাহ্মণগণের সহিত তুলনা করিলেই বোধ হয় উহা সমীচীন হইবে . কারণ সৰ্ব্বশ্রেণীর সমন্বয়ে বিরাট ব্ৰাহ্মণ জাতি গঠিত, কাজেই উহার সহিত ৰৈক্ষ্য জাতির তুলনা কোনরূপেই সম্ভব নয়। আমার মনে হয় ঐরাপ তুলনামূলক আলোচনা করিলে ব্রাহ্মণদিগের মধ্যে নিরক্ষর শতকরা ৫৪.৮ হইবে না, উহার অনেক কম হুইৰে সঙ্গেহ নাই । এখানে লিখিলে বোধ হয় অপ্রাসঙ্গিক হইবে না যে, ব্ৰাক্ষণেতয় জাতির মধ্যে কেহ কেহ ব্ৰাহ্মণ পরিচয়জ্ঞাপক ভট্টাচাৰ্য্য, চক্রৰী প্রভূতি উপাধি গ্রহণ করিতে দ্বিধা বোধ করিতেছেন না । এই জাতীয় উন্নতির যুগে বাধা দিবার কেহ নাই । হিন্দুস্থানী বা উড়ির প্রভৃতি ব্রাহ্মণগণের অধিকাংশই অশিক্ষিত এবং বাংলায় তাহাজের সংখ্যা নেহাৎ কম হুইবে না, মনে হয় । আমার বিশেষ পরিচিত বর্ণগ্ৰাহ্মণ অর্থাৎ জেলে, ভূইমালী ও মাহিষ্যদিগের জাগণগণের জনেকেই মোটেই লেখাপড়া জানেন না । গুটব্রাহ্মণ, কামরূপী প্রভৃতি ব্রাহ্মণগণও শিক্ষায় বহু নীচে। কাজেই এক পধ্যায়ে সকল ব্রাহ্মণকে ফেলিলে ভুল হইবে। - গত সেন্সসে অনেক ক্রটিও হইয়াছে। নেত্রকোণায় হিন্দুদিগের চেয়ে মুসলমানগণ শিক্ষায় উন্নত, গণনায় এইরূপ প্রমাণিত হইয়াছে । *প্রবাসীতে জনৈক ভদ্রলোক উহ। লিখিয়াছেন । গণনার সময় অনুন্নত ব্ৰাগণগণের অনেকেই ভয়ে স্ত্র লোকগণ লিখিতে পড়িতে জানিলেও, অশিক্ষিতা বলিয়া লেথাইয়াছেন । গণনাকারীদের মধ্যে অনেকেই তথাকথিত শিক্ষিত । কাজেই তাহার নিজেদের ইচ্ছামত ঘর পুরণ করিয়াছেন এবং মফস্বলের অধিকাংশ বাড়ির স্ত্রীলোকগণকে অশিক্ষিত পৰ্যায়ভুক্ত করেছেন। এরূপ প্রায়ই ঘটিয়াছে। বৈদ্য জাতির সংখ্যা কম, কাজেই শিক্ষায় তাহার উন্নত সন্দেহ নাই, আর তাহাদিগের মধ্যে জাতীয় সহানুভূতি বাংলার যে-কোন জাতির চেয়ে যে বেশী, তাহ! স্বীকার করিতে বাধ্য হুইব । সারা বাংলার ব্রাহ্মণগণের কোন সভা থাকিলেও শিক্ষার জন্য ঠাহার কোন চেষ্টা করিয়াছেন ক্ষি-ম! DB B AgSBBB BBBB BBBB BBBB BBBS BBDDD S DBBB সনিৰ্ব্বন্ধ অমুরোধ, শুধু রাঢ়ী, বারেত্র ও বৈ.দক ব্রাহ্মণদিগের লোকসংখ্যা কত বা তাহা:দর মধ্যে শিক্ষিতের সংখ্যা কত, সঠিক HDDB BDD SBBBB BBBB BBBS BBSBD DBB gBBB নিৰায়ণ করিবেম | স্ক্রপ্রফুল্লচন্দ্র মজুমদার সম্পাদকীয় মন্তব্য— পত্ৰলেখক যে-যে তথ্য জমিতে চাহিয়াছেন সেন্সস রিপোর্টে ত\ছ। নাই। হিন্দুদের মধ্যে কোন কোন জাত শিক্ষার অগ্রসর এবং কত অগ্রসর, সেন্সস রিপোটে ও শিক্ষাবিষয়ক রিপোর্টে এইরূপ তথ্য ও আলোচনা DBBB BBBS BDD DBBD DBBBBB DBBS BBB জাতকেই অগ্রসর দেখিতে চাই । ‘অগ্রসর”দিগকে অহঙ্কত ও “জনগ্রসর দিগকে কুষ্ঠিত করিবার ইচ্ছা জামাদর নাই –প্রবাসীর मृष्कृ(फ्रक !
