পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১৪ জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা করিবেন। একটি পাত্রের সন্ধান পাইয়াছেন, লুকাইয়া লেখানে গিয়া মেয়ের সম্বন্ধ করিতে চেষ্টা করিবেন। তাহার পর অন্ত কোথাও গিন্ধ বিবাহটী দিবার চেষ্টা করিবেন। এ-গ্রামে থাকিয় বিবাহ দিবার সাধ্য র্তাহার নাই, তা এই কয় বৎসরেই প্রমাণ হইয়া গিয়াছে। এখানে র্তাহার সহায় কেহ নাই, শত্রই সকলে । অথচ জ্ঞানে তিনি কখনও কাহারও অপকার করেন নাই, উপকারই করিয়াছেন । যতদিন শরীর স্থস্থ ছিল, আটচালাটিতে অবৈতনিক পাঠশালা খুলিয়া গ্রামের ছেলেমেয়েদের শিক্ষা দিয়াছেন, দরিদ্রকে সাহায্য করিয়াছেন, বিপক্সের জন্য যথাসাধ্য করিয়াছেন। কিন্তু এ সমস্তই গ্রামবাসীর মন হইতে নিশ্চিহ্ন হইয়া মুছিয়া গিয়াছে। তাহারা স্থদ্বপোর, মুর্থ, চরিত্রদোষ-দুষ্ট মধু ভট্টাচাৰ্য্যকে ভক্তিসহকারে প্রণাম করে, তাহার কথায় ওঠে বসে ; কিন্তু উমাগতি মরিয়া গেলেও কেহ তাহার দিকে ফিরিয়া তাকায় না। বাংলা দেশের পল্লীবাসীর মন এক বিচিত্র জিনিষ । উমাগতি নানা ভাবনা ভাবিতে ভাবিতে খাইতে দেরি করিতেছিলেন, অথ। তাড়া দিয়া বলিল, “শীগগির করে খেয়ে নাও বাবা, দুধ যে জুড়িয়ে হিম হয়ে যাচ্ছে । গরম গরম খেলে একটু ভাল বোধ করতে ” উমাগতি বলিলেন, “আজ ত একটু ভালই আছি মা,”— দুটা চুমুক দিয়া নিঃশেষ করিয়া তিনি বাটিটা নামাইম রাখিলেন। বলিলেন, “এ ক'দিন তোর বড় খাটুনি গেছে নামা ? তোর মায়েরও অস্থখ হয়ে পড়েছিল, একলা সব করতে হয়েছে।” অম্বা উপেক্ষার হাসি হাসিয়া থলিল, “ভারি ত কাজ, খাবার লোক ত নগদ আমি। একফেলা রাখলেই চলত।” উমাগতি স্নান হাসিয়া জিজ্ঞাগা করিলেন, “পড়াশুনা কিছুই করতে পারিস নি না ?” অম্বা বাটি ও কাশি উঠাইতে উঠাইতে বলিল, “না একদিন জার হ’ল কই ?” . . . পড়া আর পড়ানো ছিল উমাগতির কাছে নিঃশ্বাস-বায়ুরই মত প্রয়োজনীয়। পাঠশালাও খুলিয়াছিলেন এই জাগিদেই । ख्श अझ बाहेकब भद्र अशज्ञ भरूमाज शजो रहेझहिण , चश्च । फरिज निकदृष्टश् छिनि वन यान फ्रांशिव श्दिक्षिणन । সে বাংলা এবং সংস্কৃত উত্তমরূপেই শিখিয়াছে, অঙ্কও কিছু কিছু জানে। উমাগতি কাশীর টোলে পড়িা পণ্ডিত, ইংরেজী প্রথমে মোটেই জানিতেন না, পরে নিজের চেষ্টায় খানিকট শিখিয়াছিলেন। অস্বাকেও তাহ শিখাইবার ইচ্ছা র্তাহার আছে, তবে গ্রামবাসীদের ভয়ে হুইয় ওঠে না । পিছনের পুকুরের ঘাটে গিয়া অম্বা কাশি, বাটি ও ঘটি মাজিতে বসিল। বাব, কি শীত ! জলে যেন ছুরির মত ধার, হাত দিলে হাত কাটিয়া যায়। শহরে নাকি জলের কল আছে, ঘরের ভিতর বসিয়াই জল পাওয়া যায়, গায়ে তেমনি থাকিলে বেশ হইত। হঠাৎ ঠিক তাহার সামনেই জলের মধ্যে মস্ত একটা টিল আসিয়া পড়িল । হিমশীতল জল ছিটকাইয়া উঠিয়৷ অম্বার দেহ সিক্ত করিয়া দিল । অম্ব চকিত ভাবে চারি দিকে তাকাইম্ন দেখিল। ঐ ত বঁাশঝাড়ের আড়াল দিয়া কে একজন চলিয়া যাইতেছে। লুকাইবার বিশেষ চেষ্টা তাহার নাই, কারণ সে জানে ধরা পড়িলেও তাহাকে শাস্তি দিবার কেহ নাই। অম্বা তাড়াতাড়ি উঠিয়া পড়িল । এ-সব উৎপাত নূতন নয়, কিন্তু এখনওত তাহার সহিয়া যায় নাই ! এখনও যে বুকের রক্ত টগবগ করিয়া ফুটিয় ওঠে, ঐ কাপুরুব ভীরুর দলের কণ্ঠ নখরে ছিড়িয়া দিতে ইচ্ছা করে । কিন্তু উপায় নাই। বাংলার পঞ্জীর সহায়হীন নারী সে, অত্যাচারের বিরুদ্ধে মাথা তুলিবার ক্ষমতা তাহার কোথায় ? বাসন করখানি লইয়া দ্রুতপদে সে বাড়িতে ফিরিয়া আসিল । তাহার পর সেগুলি নিঃশব্দে রান্নাঘরের দাওয়াম নামাইয়া রাখিয়া, মাতার অজ্ঞাতেই ঘরে ঢুকিয়া আবার কাপড় ছাড়িয়া ফেলিল । শারদার এমনিতেই ছুঃখের অন্ত নাই, মড়ার উপর খাড়ার স্ব দিয়া আর লাভ কি ? বাড়ির কৰ্ত্তাই যেখানে অস্বস্থ, সেখানে রায়াবান্ধা সৰ্ব্বদাই সংক্ষেপে সারা হইয় থাকে, স্বতরাং শারদারও রান্না শেষ হইতে দেরি হইল না। খাওয়াদাওয়াও কিছুক্ষণের মধ্যেই इकिब cभण। चश बनिन, “ॐ छाउ क8ाब्र चण क्tिब ब्राथ ম। ওতেই আমার রাত্তিরে হয়ে যাবে। জাবার একটা পেটের জন্তে কে ঘটা করে স্বাধতে বস্ছে ?” শাৰদ৷ গলিলেন, “লিত্যি পাণ্ড খেয়ে তুইও শেষে একটা রোগ বাধা । একেই ত ক্ষরখের বড় ক্ষমূক্তি "