পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ বিবিধ প্রগঙ্গ-ৰদেৱ গৰশরকে বধ করিৰার চেষ্ট।

  • >>

ফলে উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হইয়াছে। সাম্প্রদায়িক ভাগবাটোঙ্গারার ফল যে এইরূপ হুইবে, সরকারী রিপোর্টে বলা হইয়াছে, যে, তাহ জাগে হইতেই বুঝা গিয়াছিল, প্রত্যাশা করা হইয়াছিল। “কে বা কাহার এই প্রত্যাশা করিয়াছিল,” এই প্রশ্ন স্বভাবতঃই উঠিতেছে। কে ইহার উত্তর দিবে ? যখন ইংলণ্ডের প্রধানমন্ত্রী এই ভাগবাটোঙ্গারা করেন, তখন তিনি কি এই প্রত্যাশা করিয়াছিলেন । তিনি ব্রিটিশ মন্ত্রিমণ্ডলের সহিত পরামর্শ না করিম কোন সরকারী কাজ করেন না । সুতরাং সাম্প্রদায়িক ভাগবাটে আর ঘোষিত হইবার পূৰ্ব্বে তিনি তাহাতে ব্রিটিশ মন্ত্রিমগুলের সম্মতি পাইয়াছিলেন ধরিয়া লওম্বা যাইতে পারে । তাহা হইলে প্রশ্ন উঠে, “ব্রিটিশ মস্ত্রিমণ্ডল কি প্রত্যাশ করিয়াছিলেন, যে, সাম্প্রদায়িক ভাগবঁটে আরার ফলে হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে অনৈক্য ক্রমশঃ বাড়িতে থাকিবে ?” ভারতবর্ষ সম্বন্ধীয় ব্যাপারসমূহে ব্রিটিশ রাজপুরুষের সাধারণতঃ ভারতীয় গবন্মেন্টের মত জিজ্ঞাসা করিম্বা থাকেন। এক্ষেত্রে তাহ করা হইয়া থাকিলে প্রশ্ন উঠে, "ভারতীয় গবন্মেণ্ট কি প্রত্যাশা করিয়াছিলেন, যে, সাম্প্রদায়িক ভাগ-বাটে আরার ফলে হিন্দু-মুসলমানে বিচ্ছেদ ক্রমবর্ধমান হইবে ?” বঙ্গের আলোচ্য শাসনবিবরণীটি হইতে এই সকল প্রশ্নের কোন উত্তর পাওয়া যায় না । বরং কোন অস্থবিধাজনক সমালোচনা হইতে আত্মরক্ষার জন্য বঙ্গীয় গবষ্মেন্ট রিপোর্টটির উপক্রমণিকায় বলিয়া রাখিয়াছেন – “The Roport is ಸ್ದ undor iho authority and with the npproval of the Government of Bongal but this approval doos not necessarily extend to evory particular oxpression of opinion.” তাৎপৰ্য্য। “এই রিপোর্টটি বাংলা-গবশ্নেণ্ট কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতা অনুসারে ও তদীয় অনুমোদন অনুসারে প্রকাশিত হইল, কিন্তু এই অমুমোদন রিপোর্টে গ্রকাশিত প্রত্যেক্ষ মত সম্বন্ধে নিশ্চয়ই প্রযোজ্য, এরূপ বুঝা চলিবে না ।” ভারতবর্ষীয় গৎক্ষ্মেন্টের এবং ভারতীয় ব্যাপার সম্বন্ধে ব্রিটিশ গবন্মেন্টের সমালোচকেরা কখন কখন বলিয়া থাকেন, যে, फेख झझे भवाञ* कथन कथम cख्ननैौङि जबणषम क८ब्रन । কিন্তু তাহারা বরাবরই উত্তর দিয়া আসিয়াছেন, ষে, তাহার তাহ করেন না--তাহাঙ্গ সকল সম্প্রদায়ের ঐক্যই চান । এই জন্ত, এখন ব্রিটিশ ও ভারতীয় প্রধান রাজপুরুষদের বলা উচিত, ষে, সাম্প্রদায়িক ভাগবাটেজোরার এইরূপ ফল হুইবে, আগে হইতেই ভাহা তাহারা বুদ্ধিতে পারিশ্নছিলেন কিনা। বঙ্গের গবর্ণরকে বধ করিবার চেষ্টা সে দিন দার্জিলিঙে ঘোড়দৌড়ের মাঠে বঙ্গের বর্তমান গবর্ণর স্তর জন এগুসনের উপর গুলি নিক্ষিপ্ত হয় । কিন্তু তিনি সৌভাগ্যক্রমে নিহত ত হনই নাই, আহতও হন নাই । আততায়ী বলিয়া কয়েক জন বালক ও যুবক ধ্রুত হইয়াছে । ইহা অত্যন্ত দুঃখের বিষয় ষে বঙ্গদেশ হইতে সজ্ঞাপন এখনও তিরোহিত হয় নাই । উচ্চ বা নিম্নপদস্থ সরকারী লোকদিগকে হত্য ও হত্যার চেষ্টার বিরুদ্ধে আমরা যাহা বলিতে পারি, তাহা বহু বৎসর ধরিয়া বার-বার বলিয়াছি । সেই কারণে পুনরুক্তি অনাবশ্যক। কিন্তু অনাবশ্যক পুনরুক্তিও করিতাম, যদি তাহাতে কোন ফল হইত। কিন্তু অন্য অনেক সম্পাদকের মত আমরা বার-বার নানা কথা বলা সত্ত্বেও দেখা যাইতেছে, যে, বিপ্লবেচ্ছু ও সস্ত্রাসনবাদীদের কোন মতিপরিবর্তন হয় নাই । তাহার কারণ হয়ত এই, ষে, আমরা মাহ লিখি তাহ তাহারা পড়ে না, কিংবা পড়িলেও তাহা তাহারা উপেক্ষারই যোগ্য মনে করে । এরূপ হইবার একটা কারণ সম্ভবতঃ এই, যে, বিপ্লবেচ্ছু ও সন্ত্রাসনবাদীরা যে যুক্তিমাৰ্গ অবলম্বন করিয়া নিজেদের কাজে প্রবৃত্ত হয়, আমরা সেই যুক্তমাৰ্গ অবগত না থাকায় তাহা খণ্ডন করিতে পারি না, খণ্ডন করিবার চেষ্টাও করিতে পারি না । শুধু তর্কযুক্তির দ্বারাই যে সন্ত্রাসনবাদীদের মতি পরিবর্তিত করিতে পারা যায় নাই, তাহা নহে, শান্তি ও উয়ের স্বারাও পারা যায় নাই। আমাদের তর্কযুক্তি তাঁহাদের নিকট না-পৌছিয়া থাকিতে পারে ; কিন্তু অনেক সন্ত্রাসকের ফার্সী বা দ্বীপান্তর বা অন্ত গুরুত্তর শাস্তির সংবাদ তাহাজের নিকট নিশ্চয়ই পৌছে ; সন্ত্রাসন স্বমনের জঙ্ক যে কঠোরতম আইন প্রণীত হইয়াছে তাহা তাহারা নিশ্চয়ই জানে ; সম্রাসক এবং সন্ত্ৰাসৰ বলিয়া লদেহভাজন লোকদের আত্মীয়স্বজন, বন্ধুৰাদ্ধৰ, পরিচিত লোক, এবং অপরিচিত প্রতিBBBBS BBB BB BBDDDBB BBD DD BB EH Sg