পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- পারিনে, এইজন্য আমি যেতাম না। ওঁরা ডেকেও কোনো খাবার জিনিষ আমাদের কোনো দিন দিলেন না-কিন্তু মনে মনে আমি হতাশ হলাম-আমি একেবারে যে আশা করিনি তা নয়, ভেবেছিলাম গুরুদেব এলে আমরা সবাই ভাল খাওয়ার ভাগ পাব কিছু কিছু । সঙ্গাবেলা। যেশ শীত পড়েচে । গুরুদেব আমলক্ষীতলায় কাঠের জলচৌকীতে কম্বল পেতে বসে আছেন। গায়ে } সবুজ পাড় বসানে। বালপোষ—ছেলেমেয়েরা সবাই ঘিরে আছে, যেমন সৰ্ব্বদাই থাকে ; একটু পরে জ্যাঠাইমা মেজকাকীম, সন্ধর মা, হিরণ দিদি এলেন। গুরুদেবের খুব কাছে আমি কোনো দিন ধাই নি—আমি গোয়ালঘরের কাছে দাড়িয়ে আছি, ছেলেমেঘেরা গল্প শুনচে গুরুদেবের কাছে, আমার কিন্তু গল্পের দিকে মন নেই, আমার জানূবার জন্তে ভগ্নানক কৌতুহল যে গুরুদেব কি ধরণের লোক, তাকে অত খাতির, যত্ন, আদর এরা কেন করে, তার পামে জ্যাঠাইম ও জ্যাঠামশায় পুষ্পাঞ্জলি দেনই বা কেন, তার ফটো বাধিয়েই বা ধরে রাখা আছে কেন? এ সবের দরুণ গুরুদেব গদ্ধে আমার মনে এমন একটা অদ্ভূত জাগ্রহ ও কৌতুহল জন্মে গিয়েছে, ধে, তিনি যেখানেই থাকুন, আমি কাছে কাছে গাছি সৰ্ব্বদাই—অথচ খুব নিকটে বাই নে। গুরুদেব মুখে মুখে ধর্থের কথা বলতে লাগলেন। আমি আর একটু এগিয়ে গেলাম ভাল করে শোনার জন্যে। এসব কথা শুনতে আমার বড় ভাল লাগে । একবার কি একটা যোগ উপস্থিত—গঙ্গাস্বানে মহাপুণ্য, সকল পাপক্ষ হয়ে যাবে, স্নান করলেই মুক্তি। পাৰ্ব্বতী শিবকে বললেন–আচ্ছা প্রভু, আজ এই যে লক্ষ লক্ষ লোক কাশীতে স্নান করবে, সকলেই মুক্তি পাৰে ? শিব বললেন, তা নয় পাৰ্ব্বতী। চলে তোমায় দেখাব। দু-জনে কাশীতে এলেন মণিকণিকার, ঘাটে। শিব বৃদ্ধ ত্ৰাক্ষণের শব সেঞ্জে ঘাটের ধারে পড়ে রইলেন। পাৰ্ব্বতী র্তার স্ত্রী লেজে পাশে বলে কাতে লাগলেন। ধারা এল, তাদের বললেন—আমার বৃদ্ধ স্বামী মারা গিয়েচেন, এর লংকার করার ব্যবস্থা আপনার করুন। কিন্তু একটা মুস্থিল আছে, শৰ বিনিম্পর্শ করবেন, তার সম্পূর্ণ নিষ্পাপ হওয়া চাই, নইলে শব-স্পর্শেই মৃত্যু ঘটবে। - ! দৃষ্টি-প্রদীপ "צbא এবং শুনে নাহস করে কেউ এগোয় না। সবাই । ভাবে, পাপ তো কতই করেচি। প্রাণ দিতে যাবে কে ? - সারাদিন কাটুলো। সদ্ধা নামে-নামে। একজন চণ্ডাল ঘাটের ধারে আশ্রমুখী ব্রাহ্মণপত্নীকে দেখে কি হয়েছে জিজ্ঞাসা । করলে। পাৰ্ব্বতী সকলকে স্ব বলে এচেন, তাকেও তাই বললেন। চণ্ডাল শুনজেৰ বঙ্গল-স্থার জন্থেতাকা । ৰুি মা আৰ গান্ধন করলে তো নিষ্পাপ হই এত বড় যোগ খন, এজয় তোরের কথা শত জন্মের পাপ ক্ষ হয়ে বাবে পাজিতে লিখেচে। ত ধাড়ান, আমি ভুটা দিয়ে আলি এবং একটু পরেই ডুৰ দিয়ে উঠে এসে বললে—ম ধরুন ওদিক, আমি পারে দিকটা ধরচি–লুন নিয়ে নাই। : - শিব নিজমূৰ্ত্তি ধারণ করে চণ্ডালকে বর দিলেন। পাৰ্ব্বতীকে বললেন-পাৰ্ব্বতী, দেখলে এই লক্ষ লক্ষ লোকের • মধ্যে এই লোকটি মাত্র আঞ্জকার যোগের ফল লাভ করবে। - মুক্তি যদি কেউ পায় এই চণ্ডালই পাবে। -- , - গল্পটা আমার ভারি ভাল লাগলো। যে নিষ্কার চৈতন্নচরিতামৃতে পড়ালেই কথাটা মন পড়ল-পাঠাইবাৰে ক্ষে ছিলাম, জ্যাঠামা বিশ্বাস করেন নি। ওঁদের শাস্ত্রের কথাতেই ওঁর বিশ্বাস নেই। অথচ মুখে দ্বিগ্ননি তো খুব দেখান ? আর আমাকে, মাৰে, গীতাৰে,বাদাকে বলেন খিৱিষ্ঠান। - আজকার গুরুদেবের এই গল্পটা কি জ্যাঠইম কানীয়রা বুঝতে পারলেন । চণ্ডালের ওপর আমার ভক্তি হ’ল। আমি ক্ষে মনে মনে কাশ্ম চলে গিয়েছি, আম্বিনে মণিকণিকার ঘাটে বৃদ্ধ ব্রাহ্মণবেশী শিব ও ক্ৰন্দনরতা পাৰ্ব্বতীকে প্রত্যক্ষ করেচি। - ও বছর বড়দিনের সময় মিশনী মেমের আমাদের রীন কার্ড দিয়েছিল, ছোট একখানা ছবিওয়ালা বই দিয়েছিল। . তাতে একটি কথা সোনার জলে বড় বড় করে লেখা আছে । भन १फ़्ग-७शब्रः शत्र पशिबा भन्नैौकब्र फेडौ* श्रेशरझ । । কারণ তাহারা জীবনমুকুট প্রাপ্ত হইবে। - ভার পরদিন লভ্যাবেলাতেও গুরুদেব আমলকীতলায় আসন পেতে বসে গল্প বলছিলেন ছেলেমেয়েদেয় । একবার উঠে আহ্নিক করতে গেলেন আবার এসে কালেন। মেয়েরাও 呜可R1 - কথা বলতে বলতে গুরুৰে হঠাৎ আমার দিকে আঙুল _-_