পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঐভূপেন্দ্রনাথ ঘোষ, এম-এসসি পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্ঘ্যের কথা আমরা বরাবরই শুনে আসছি। বিরাট হুষ্টির দিক থেকে অথবা অদ্ভুত শিল্পনৈপুণ ও কীর্টির দিক থেকে দেখতে গেলে এগুলি দেশে সবাইকে আশ্চর্ঘ্য হতেই হবে, কিন্তু মানবজাতির উপকারে এরা কতটুকুই বা লেগেছে ? চীনের প্রাচীরই হোক আর ব্যাবিলনের শূন্তোধ্যানই হোক, রোডস দ্বীপের পিতলের মূৰ্ত্তিই হোক আর আফ্রিকার পিরামিডই হৌক এর মামুধের বিশেষ কোন বড় উপঞ্চারেই গেনি। কিন্তু বৈজ্ঞানিক জগতের দিকে একবার তাকালেই আমরা বেশ বুঝতে পারব মাহবের পরম উপকার করছে, এমন নিত্য ঘূডন কত অদ্ভুত ঘটনাই না ঘটছে। মাত্র কয়েক শতাব্দী আগে কে কবে ভাবতে পেরেছিল যে লীলাকাশের উপর দিয়ে এমন নিশ্চিন্তু নিৰ্ব্বিঘ্নে ভেসে যেতে পারবে কিংবা একই স্থানে বলে পৃথিবীর জন্তু দেশের লোকের সঙ্গে কথা বলতে পারবে । মাহব আজ ভগবানের দেওয়. কান ও চোপ ছাড়া বৈদ্যুতিক কান ও চোখ তৈরি করে, তার দেওর নির্দিষ্ট সীমার বাইরেও দেখতে বা শুনতে পাচ্ছে। শুধু তাই নয়, মান্বষ আজ অন্ধকে চক্ষু দিয়েছে, প্রাণহীনে প্রাণসঞ্চার করে তার মুখে ভাষা জুগিয়েছে। এ ত স্বপ্ন নয়—এ ত মিথ্যা নয়-- এ ধে সতী ! বেডারে যেমন খবর পাঠানো যায় এবং সেই খবর জন্য লোকে জানতে পারে তেমনি আপনারা হয়ত জানেন যে ত দিয়ে আবার ছবিও পাঠানো যায় । আজ পর্যন্ত দু-বৃকম ভাবে ছবি পাঠানে হয়ে আসছে—হয় কোন জিনিব বা প্রাণীর ছবি থেকে, না-হয় কোন সচেতন প্রাণীর বা জিনিষের থেকে। মনে করুন, কলকাতার বাস্থস্কোপ, থিয়েটার দেখে আপনাদের ফারুরই আর ভাল লাগছে না। ইচ্ছা হ’ল লওনের বামুস্কোপ, থিয়েটার দেখার—আর আমনি আপনি দেখতে পাবেন এইখানে বসেই। কিংবা মনে করুন, ইউরোপে তুমুল যুদ্ধ বেধেছে, আপনি চান দেখতে –বেশ পাবেন দেখতে এইখানে বসেই। কারুর বা ইচ্ছা হ’ল স্বইডেনের পাৰ্ব্বত্য gచి-3 শোভা দেখবার— কোন কষ্ট নেই, এইখানে বসেই সব দেখতে পাবেন । কোন জিনিধের বা প্রাণীর ফটো বা ড্রয়িং থেকে ষে-উপায়ে দেশান্তরে তাদের ছবি পাঠানো হয় তারু নাম c'est-à-fash;F (Photo-telegraphy). «ra ŝto প্রাণীর চলাফের বা গতির ছবি কিংবা কোন দৃশ্বের সঙ্গীর ছবি পাঠানোকে ইংরেজীতে টেলিভিসন বলে। ফোটে-টেলিগ্ৰাফী এবং টেলিভিশনের দুটো ছবি দিলুম, দেখুন পাঠানো ও পাওয়া ছবির ভিতর কোন প্রভেদই বুঝতে পারবেন না । এই টেলিভিসন নিয়ে আঞ্জ সারা জগতে এক চাঞ্চলের স্বষ্টি হয়েছে। টেলিস্কোপ, টেলিফোন ও এরোপ্লেন প্রভৃতির কেমন করে স্বষ্টি হ'ল অর্থাৎ এদের ভিতরকার আসল কথাটা কি, এই বিষয়ে একটু ভাবলেই বুঝতে পারবেন বে প্রজেক আবিষ্কারটিই কোন-ল-কোন প্রাকৃতিক জিনিষের অনুকরণে হয়েছে। টেলিস্কোপ হ’ল মামুষের চোখের পল্পকলার - -