পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

wo প্তপ্রবাসীস্টং ఏSD8S l বিবরণ শেষ হইত না। এই বন্দুকটির ইতিবৃত্ত না শুনিয়া কাহারও উপায় ছিল না। কত খৃষ্টাস্কে কোণ লাটসাহেব কিনেন, তিনি কি-কি শিকার করিয়া একজন চা-বাগানের ম্যানেজার সাহেবকে ইহা বিক্র করেন, সেই সাহেবটি কটি "রমেল বেঙ্গল" (সৰ্ব্বদাই ডাক্তার ‘আকু’ ‘বি’ বলিত ), কয়টি চিত, কটি গণ্ডার ( ডাক্তারের ভাষায় রাইনো ) এমনকি একটি হাতী শিকার করেন। তখন ডাক্তার বেলগার্ড সে বাগানের ডাক্তার। ম্যানেজারের একমাত্র মেয়েকে শক্ত ব্যারাম হইতে ভাল করে। একদিন ন্যানেজার বলিল, “ডাক্তার বেলগার্ড, তুৰি কি হিংস্ৰজন্তু শিকার ভালবাস ।" “निकरे।” ম্যানেজার কৃতজ্ঞতার চিহ্নস্বরূপ বন্দুকটি তাহাকে উপহার দেন। অবশেষে শিকারের খোজ লইয়। আলাপ শেষ হইত। এগন্ধে তার মতামত তাহার ডাক্তার মতামত হইতেও हारेि । - “এদেশে কখনও বাঘ আদিবাছে f সকলে অবশুই বলিত যে তাহার এ-অঞ্চলে কোন দিন বাঘ দেখে নাই। ডাক্তার উত্তেজিত হুইয়া বলিত, “নিশ্চয় আসে। এমন জঙ্গল-এর মধ্যে বাঘ আসেন, তবে আসে কি ? এ-জঙ্গলভরা বাখ, বাংল্ম দেশের সর্বত্রই বাঘ, বাংলাদেশে বাঘ ছাড়া আর কিছুই নাই ।” - + 莺 + মাঘ মাস, জায়গাটা উত্তর বলিয়াই হউক কিবা বৃক্ষসমকুল বলিয়াই হউক শীত তখন বেশ জমিয়া আছে। উীরের কাশবন অত্যন্ত শুদ্ধ, শোক-নীর ক্ষীণ জলধারা কিতাম তলদেশ আশ্রয় করিম কিম-বাকিয় চলিয়ছে। চতুর্দিকের গাছপালাকে আশ্রয় করিয়া সমস্ত দিনই একটা অস্পষ্ট হুয়াশার আবরণ লাগিয়া বাবে ওপরে বহু ফুলগাছে चचव স্কুল পাকিম উঠিয়াছে। উমেশ কম্পাউণ্ডার কুলিমজুর দিয়া প্রত্যহুই বস্ত্য-বস্ত কুল তাহার দেশস্থিত চতুর্থপক্ষের জন্য সংগ্ৰহ করিয়া আনিতেছিল। । এমন সময় এক দিন ঘুরের সাওতালপঞ্জীর একজন খবর লইয়া আলিৰে বাঘে তাহদের একটা গঙ্ক লইয়া গিয়াছে। উত্তেজনা ডাক্তার বেলগাঙের কথা বাহির হইল না। মুহূৰ্ত্তমধ্যে সে তাহার ‘ম্যাগনাম এক্সপ্লোরা’ বাহির করিয়া আনিল এবং এইরূপ ভাব দেখাইতে লাগিল ষে এখনই অদৃষ্ট ব্যাস্ত্রপুঞ্জবকে গুলি করিয়া মারিবে। ক্টোরবাৰু গোপীনাথের শিকারে একটু হাত ছিল। সে বলিল, “সাহেব, ওদের কথায় বিশ্বাস নাই। গরু হশ্বত জঙ্গলে কোথায় চলিয়া গিয়াছে।" ডাক্তার তাহাতে দমিবার পাত্র নহে। দু-চার জন কুলী লইয়া গোপীনাথ ও বেলগাড" সাওতাল-পল্লীর দিকে চলিয়া গেল । চতুর্দিকের জঙ্গল তেমনি সীমাহীন । মাঝে মাঝে একপ্রকার কােশ কিংবা বেণার ঝোপে সমস্ত তলদেশটা ছাইয়া ফেলিয়াছে। ঘন-সন্নিবিষ্ট জঙ্গলে দৃষ্টি বেশী দূর প্রসারিত হয় না ; আলোক প্রবেশ করে না ; বন্য স্বত্তর ভয় সেখানে বেশী ; তবু কিছুক্ষণ চলিতে চলিতে দৃষ্টি অভ্যস্ত হইয় পড়ে। দৃগুমান স্বল্পপরিসর জায়গাতে কোন ভয়ের কারণ নাই বলিখা মন যেন একটি মিথ্যা আশ্বাস পায়। কিন্তু এই জঙ্গলের মধ্য দিয়া যাইতে সৰ্ব্বদাই ভয় করে। দৃষ্টি বহুদূর যাম ; কোন জনমানব নাই। কেক চীৎকার করিলেও শুনিবে না । জঙ্গলট। ধে এত বড়, এত নির্জন, এত নিষ্ঠুর তাহা মুহূৰ্ত্ত মধ্যে যুগপৎ হৃদয়ঙ্গম হয়। যাইবার সময় উমেশ কম্পাউণ্ডার বলিল, “সাহেব, সাবধান !” কি জানি হঠাৎ কেন তাহার চতুর্থ পক্ষের স্ত্রীর কথা মনে হইল । একবার অভালমত হাই তুলিয়া তুড়ি দিয়া বলিল, ‘যা করেন মধুসুদন।" ডাক্তার ও গোপীনাথ যাইম দেখিল, ব্যাপারটা মিখা নহে। রক্তের দ্বাগ বহুদূর পর্যন্ত দেখা যায়। মাটি শক্ত বলিয়া পায়ের কোন দাগ নাই । ইহার পরে চারিদিকে একটা ভীতির সঞ্চার হইল। আজ কাহারও গরু গিয়াছে, কাল কাহারও বহিষ ; এক দিন কাহারওঁ ছেলেকে তাড়া করিয়াছে, আর এক দিন কেহ স্বচক্ষে দেখিয়াছে যে আশু মহিষের মত একটা বাঘ, মাথাট। তাহার দশ সের চাল ধরে এমন ইাড়ির মত। ডাক্তার দিনের পর দিন অস্থির হইয় উঠতে লাগিল এবং গোপীনাথকে উত্তেজিত করিতে লাগিল । গোপীনাথ স্থানিত, উত্তেজিত হইম লাভ নাই। এখানে এমন কোন জঙ্গল নাই যে, দিনের বেলায় বাঘ লুকাই থাকিতে পারে ; ঝাড়ু দিলে কাজ হুইতে পারে। যেরূপ সব ধধর পাণ্ডস্থ ধাইতেছে তাহাতে ঠিক বুঝা যাইতেছিল না ষে কোন দিকে ছাগল