পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আষাঢ় মুক্তি es: নিৰ্ম্মল উঠিয়া গেল এবং মিনিট-পাঁচেক পরে তাহার অভ্যস্ত সাদাসিধা একটি শাড়ি ও হাত-ঢাকা ব্লাউস্ পরিয়া তৈরি হইয়া আসিল । তখন অত্যন্ত অভিমানে যামিনীর বুকের ভিতরটা দুলিয়া উঠিতে লাগিল। অষ্টদিকে চাহিয়া কোনমতে বলিল, “তাহলে আজ সকালে যেগুলো কিনে আনলুম সেগুলো কি হাত দিয়ে কখনও ছোবেন না ?” চন্দ্ৰকান্ত ব্যস্ত হুইম্বা কহিলেন, “সত্যি কথা, তাই ত, সে-কথা যে আমাদের মনেই ছিল না। ওগুলো যে তোমার একবার পরে দেখা উচিত মা, গায়ে ঠিকৃ ঠিক হ’ল কি-না। পিতার আদেশমত নিৰ্ম্মল বেশ পরিবর্তন করিতে চলিয়া গেল। যামিনী মুণী-মনে গলির মোড় হইতে একটা টাঙ্গি ডাকিতে গেল। ট্যাক্সি আসিয়া সদর-দরজার কাছে ধখন হর্ণ দিতে স্বর করিল তাহার আগেই পিতাপুত্ৰী গাড়ী-বারান্দাম আসিয়া }াড়াইয়াছেন। সেখানটায় ইলেকটিক অ'লোর বন্দোবস্তু ছিল না। রাস্তার নরম গ্যাসের আলোতে যামিনী ঠিক বুঝিতে পারিল না নব বেশভূষায় নিৰ্ম্মলকে কেমন দেখাইতেছে । ট্যাক্সি আসিয়া ম্যাডান থিয়েটারের সম্মুখে দাড়াইল । উজ্জল আলোয় স্থানটা দিবালোকের মত। তখনুও ছবি দেখান শুরু হয় নাই। ব্যাও বাজিতেছে। সেই আলোয় নিৰ্ম্মলার দিকে চাহিয়া সে মুগ্ধ হইয় গেল। জাঙ্গ প্রথম তাহার মনের মধ্যে অভ্যস্ত একটা আবেগ উপস্থিত হইল । ইচ্ছা করিতে লাগিল নিৰ্ম্মলার একটা হাত চাপিম ধরিয়া বলে, "তুমি আমার ।" ধেন তাহারই বস্থ যত্ন করিয়া আহৃত বসনভূষণে সজ্জিত হইয়া নিৰ্ম্মল আজ আরও বেশী করিা তাহার নিকটে আসিয়াছে। বাস্থস্কোপের সমস্ত সময়ট তাহার মৃত্যস্ত আবেগময় স্বপে আচ্ছল্পের মত কাটিয়া গেল। ছবি শেষ হুইম্বা গেলে চন্দ্রকাস্তও নিৰ্ম্মলাকে উহাদের বাড়ির গেটের কাছে নামাইয়া দিম্বাই সে কিরিল। চন্দ্রকাস্তের অনুরোধ সত্ত্বে৪ আর নামিল না । আজ আর তাহার সে ইচ্ছা হইল না। মনে কেবল তাহার একটি কমন জাগিয়াছিল । নিজের নির্জন ঘরে যেখানে মশারি-ফেল। তাছার শুভ্র বিছানার উপরে সামনের পোলা জানাল দিয় এক টুকর চাদের আলো আসিয়া পড়িম্বাছে, সেইখানে গুইম্বা তাহার এই আবেগকে কল্পনার মধ্যে আরও ঘনাই আনিবে। লোভী বালকের মত নবলব্ধ আনন্দের অনুভূতিকে রহিয়বসিয়া একটু-একটু করিয়া আশ্বাদ করিবে। বায়ুখোপ হইতে ফিরিয়া আসিয়া কি-একটা প্রয়োজনে আলমারী খুলিতে খুলিতে নিৰ্ম্মলার পানে চাহিয়া চলাকাগু বিস্ময়ে স্তন্ধ হইয়া গেলেন । সে গ্যাসের বাতির তলায় ট্রাড়াইম্বাছিল, আলো আলিয় তাহার সর্বাঙ্গে পড়িয়াছে । সে br-و&8 ষে দেধিতে এত স্বন্দর সে-খবরটা এমন করিয়া আহুখি কাছে কোনদিন ধরা পড়ে নাই। তিনি কিছু অনুমনক্ষ হইম্বা কহিলে, “নতুন জিনিষ পরেছ, ঐগুলো খুলে রাখবার আগে একবার তোমার মাকে প্রণাম করে . এস *ি নিৰ্ম্মল খুশী হইয় মাকে প্রণাম করিতে গেল। কিন্তু মনে মনে কিছু আশ্চর্ঘ্য হইল। মায়ের কথা তাহার বাবাকে বলিতে এই প্রথম শুনিল । মেয়েকে পাঠাষ্টয় দিয়া চন্দ্রকাঞ্চ নিজেও পিছনে-পিছনে ভিত্তরে জাসিয়াছিলেন। ঠিৰু ইচ্ছা করিয়া নস্থ। নানা চিন্তাষ মনটা ভারতুর অগ্নমনস্ক হুইঙ্গাছিল । সুশীলা রেড়ির তেলের প্রদীপের সামনে বসিয়া রুপারি কাটিতেছিলেন। নিকটে একটি ছোট তোলাউকুনে গুড়ের রস পাক হইতেছিল। তাহার নাতিটির জঙ্গ মিঠাই তৈরি করিয়া রাখিবেন । সম্মুখে সেই সকল উপকরণ সজ্জিত। নিৰ্ম্মল যাইয়া প্ৰণাম করিল। স্বশীল শশব্যস্ত হইয়া ৰ’ছিলেন, “দেখো বাছ, তোমার দামী কাপড়, তেল ঘি চারিদিকে ছড়ান আছে। কিছু লেগে নষ্ট না হুয়ে যায়।” প্রদীপের আলোট একটু উস্কাইয়া দিতেই নিশ্বলার সৰ্ব্বাঙ্গে রত্নালঙ্কার ঝলসি উঠিল। স্বপ্টলা কিছু কাল সেই দিকে তীব্র দৃষ্টিতে চাহিঙ্গ থাকিস্থা চক্ৰকাৰে উদ্বেশ কঃিস্থ কহিলেন, "বলি, স্কন্ড টাকা লাগল সবশ্বন্ধ " -- éाशद्र कॐवटद्रद्र कfटॅनडाष निईला बाथिउ झ्झेशा সেখান হইতে চলিয়া গেল । আসয় বিবাহের যেটুকু জ্ঞানৰ মনে জাগিয়াছিল তাহা যেন হঠাৎ নিবিধ গেল। চক্ৰকাণ্ড হস্তবুদ্ধির মত চাহিয়া ছিলেন । স্বশীল পুনশ্চ উত্তেজিত ইয় বলিলেন, “লবম্বন্ধ কত টাকা কাগঙ্গ কত ধার করলে ? তোমার সেই ব্যাঙ্কের পাতাখানায় আর বড় বেশী বাকী ছিলনা তো ।” “আমি কিছুই বিতে ধাইনি, ধামিনী সমস্ত কিনেছে।” চন্দ্রকান্ত মৃদুস্বরে বলিলেন, “কিন্তু তোমার ব্যবহারটা কি রকম নিজের মনেই একটু fচষ্টা করে দেখ জ্ঞ। মেমেট এন্স প্রশাম করতে, তা আশীৰ্ব্বাদ করা দূরে খাৰু টাকার খোজ নেওয়াটাই তোমার বেশী হ’ল - মুণীগ স্বপারি-কাটা বদ্ধ কfরয় কঙ্কিরেন, “আশ্চৰ্গা করেছি বইকি, মনে মনে হাজার বার ফলেছি স্বৰী হোক, মুখে থাক, ভাল থাক। মেন্থের বিয়ের ঠিক করেছ সে আমি শুনেছি। কোথায়, কার সঙ্গে, কেমন ধর সেসকল খবরও নিয়েছি। চুপ করে থাকি বলে মনে করে না আমার মনেও চিন্তা নেই। তোমার কাজে মুখ ফুটে প্রতিবাদ জীবনে কখনও করিনি, কিন্তু আজ একটি প্রশ্ন করব। মেয়েকে ছোট থেকে যেমন করে মন্থন করেছ তাতে এ ব্যবস্থাস্থ মঙ্গল হবে কি ?"