পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ পুরাণে প্রাকৃতিক বিপৰ্য্যয় BむNー বলিবে , মদ জড়পদার্থ, কিন্তু মদ খাইলে মনে স্ফৰ্ত্তি হয় এবং ন-খাইলে সে মূৰ্ত্তি হয় ন৷ অতএব অন্বয়-বাতিরক দ্যায়ানুযায়ী জড় ও চৈত ঠ বাপাশ্রিত মানিতেই হইবে । অগত্য যদি জড় ও চৈতঠের পরস্পরের প্রভাব কল্পনাতীত মন করি, তবে স্বীকার করিতে হইবে বে জড়পদার্থ মদেও চৈত্যশক্তি আছে এবং এই জড়।শ্রিত চৈত ঠশক্তিই মনকে প্রভাবিত করিতেছে। প্রত্যেক জড়পদার্থ ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য চওয়ার সমস্ত জড়ে চৈত শক্তি মানিতে হইতেছে । চৈতন্তশক্তি আছে বলিয়াই জড় চৈতন্তে প্রতিভাসিত হয় । এতএব জড়াশ্ৰিত চৈত্যই জড়কে দ্যোতনশীল করিয়াছে । যাহা দোতন করে তা হাই দেবতা । অতএব প্রত্যেক জড়পদার্থে তাহার অধিষ্ঠাতৃদেবত আছে বল| অদ্যায় নহে । ইন্দ্ৰিয়গণও দোণতনশক্তিবিশিষ্ট বfলর শাস্ত্রে তাহাfদগকেও দেবতা বল। হইয়াছে। ঘটে, পটে দেবত মানিলেও হিন্দুশাস্ত্রকারগণ এই সকল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দেবতার নামকরণ করেন নাই, কিন্তু সমস্ত প্রধান প্রধান জড়পদার্থের ও প্রাকৃতিক শক্তির দেবত কল্পিত হইয়াছে । বজ্র ও বৃষ্টির দেবতা ইন্দ্র, পবনের বায়ু, স্থৰ্যোর বিবস্বান, চন্দ্রের সোম ইত্যাদি । স্বাক্টর দেবত ব্রহ্ম, স্থিতির বিষ্ণু ও লয়ের রুদ্র । ইহার সকলেই ব্রহ্মশক্তি ; ইহাদের প্রত্যেকের প্রকারভেদ আছে । শাস্ত্রমতে এই বিশ্ব প্রথমে অতি সুক্ষ ‘আকাশ’ময় ছিল ; ক্রমে তাহ ঘনীভূত হইতে লাগিল। আকাশময় আবরণের মধ্যে স্থলতর বায়ু স্বল্প হইল, তন্মধ্যে ‘তেজ’রূপী পদার্থ জন্মিল, তাহার অভ্যন্তরে "জল’ হইল ও জলে স্থলতম ক্ষিতি পদার্থ উৎপন্ন হইল। এইরূপে এক বিরাট অণ্ড জন্মিল। এই অণ্ডের উপাদান ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ ও বোম—অর্থাৎ পঞ্চ মহাভূত আমাদের পরিচিত মৃত্তিক, জল ইত্যাদি নহে, তবে গুণতারতম্যানুসারে এই সকল পরিচিত প্রত্যক্ষ ইঞ্জিয়গ্রাহ্য পদার্থের নামাকুযায়ী পঞ্চ মহাভূতের নামকরণ হইয়াছে। পঞ্চমহাভূতজাত আগু প্রথমে স্বর্য্যের জ্যোতিঃসম্পন্ন ছিল । এই আগুের অধিষ্ঠাতৃ দেবতার নাম হিরণ্যগর্ভ। জ্যেতিক্ষয় অও হইত ক্রমে বিভিন্ন ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য স্থল পদার্থসমূহ প্রকাশ পাইতে লাগিল ও অগুমধ্যে সুর্য্য প্রভৃতি গ্রহ, তারকা ও অামাদের পৃথিবী সৃষ্ট হইল। মহাভূতগুলি যেরূপ ক্রমশঃ স্বল্প হইতে স্থল রূপ প্রাপ্ত হইয়াছিল, সেইরূপ তাদের পঞ্চীকৃত সংমিশ্রণে উৎপন্ন প্রত্যক্ষ ইন্দ্রিয়গ্রাহ আকাশ প্রভৃতি জড়দ্রব্য স্থগু হইতে স্থূলতর রূপ ধারণ করিল। ক্রমশঃ আকাশ, যায়ু, তেজ, জল ও সর্বশেষে জলমধ্যে পৃথিবী উৎপন্ন হইল। বিশাল জলরাশির মধ্য পুথিবী বহুকাল যাবৎ নিমজ্জিত ছিল। এই জলের আবিষ্ঠাতৃ দেবতার নাম নারায়ণ । মৎস্য জলের কুপরিচিত প্রাণী, এজন্য ভগবানের প্রথম অবতার মৎস-ৰূপী নারায়ণ । জলমগ্ন পুথিবী বিপুল প্রকৃতিক বিপর্যায়ের ফল জল হইতে উত্থিত হইল । বিষ্ণুপুরাণে এই বিপর্যায়ের বিবরণ আছে। বিষ্ণু ১।৪।২৫] যে-শক্তি পৃথিবীকে জল হইতে উদ্ধার করিপ্লাছিল, তাহার অৰিষ্টাতৃ দেবতার নাম বরাহ-রূপী বিষ্ণু কদমলিপ্ত জলোখিত মহাকায় বরাহের ন্যায় পুথিবী দেখিতে হইছিল বলিয়া বরাহ অবতার কল্পন । এই উত্থানের সময় জলরাশি চতুর্দিকে উৎক্ষিপ্ত হইয়াছিল, যাবায়ু প্রবাহিত হইয়াছিল, পৃথিবী ঘন ঘন কম্পিত হইয়াছিল এবং ঘোর শব্দে জলসমূহ ভূগর্ভে প্রবেশ করিয়া অদৃশ্য হইয়াছিল। তখন ভূপৃষ্ঠে পৰ্ব্বতাদি বিভাগ দৃষ্টিগোচর হইল । বরাহণবতার কর্তৃক পৃথিবীর উদ্ধারের বিবরণ পড়িলে মনে হয় প্রাচীন পুরাণকারগণ এরূপ কোন প্রাকৃতিক বিপর্যর প্রতক্ষ করিয়। তাহ ব্যাপক ভাবে আদি স্বঠকালে আরোপ করিয়াছিলেন । তদ্রুপ জলপ্লাব , আগ্নেয় উৎপাত, ভূমিকম্প, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি প্রভৃতি প্রত্যক্ষদৃষ্ট ধ্বংসকর প্রাকৃতিক বিপর্যায় হইতে র্তাহার প্ৰলয়কালীন অবস্থা অনুমান করিয়াছেন । প্রেলয়কাল ব্রহ্মার শয়নকাল । ব্রহ্মাই সৃষ্টর দেবতা । পুরাণে বলা হইয়াছে সে সত্য প্রভৃতি মহর্ষি মহলোকে অবস্থিত হইয়া যন্ত্ৰমাণ কাল্পর পূর্ববর্তী প্রলয়াবস্থা দেখিরছিলেন । প্রেলয়ে মহলে'ক নষ্ট হয় নাই ৷ মহলে'ক আদিতে ভৌম ছিল। এবং ব্রাহ্মীৰু রাত্রী হাতী হামু সহস্রশঃ । দৃষ্টবস্তস্তথা হন্তে মুগুংকালং মহৰ্ষয়: বা ৭৭৬ ৷ অর্থাৎ এইরূপ সহস্ৰ সহস্র ব্রাহ্মরাত্রি অতীত হইয়াছে। অন্য মহর্ষিগণ সেই সময় কাল ক সুপ্তাবস্থায়