পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ আণফ্রিকার নিগ্রে শিল্প 在のな উচ্চারই ফলে আধুনিক f+C3 Futurism, Cubism প্রভৃতি নূতন তন্ত্রের ও ধারার প্রবর্তন । এই ভাঙ্গনের ও নুতন গুজনের কার্যো তাহারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে সাহস ও অকুপ্রাণনা পাইলেন, আফ্রিকার নিগ্রোদের (তথা ওশেনিয়ার দ্বীপপুঞ্জের এবং আমেরিকার আদিম অধিবাসীদের ) মৌলিক ও আদিম শিল্প হইতে ; - বিশেষ করিয়| আফ্রিকার ভাস্কর্ঘ্য শিল্প হইতে— মধ্য আফ্রিকার ও পশ্চিম-আফ্রিকার কাঠের মূৰ্ত্তি ও মুখস হইতে এবং পশ্চিম-আফ্রিকার ধাতুমূৰ্ত্তি ও অন্য শিল্প হইতে । এই শিল্পে ষে জগতের বাণী ইউরোপের কাছে আসিল, যে ভাব-ধারার সন্ধান ইউরোপ পাইল, তাহ একেবারে নূতন, এবং প্রচলিত সমস্ত শিল্প-সংস্কারের মূলোচ্ছেদকারী । কতকগুলি মৌলিক বিষয়ে এই শিল্প-জগতের সহিত ইউরোপীয় শিল্প-জগতের এবং ইউরোপ কর্তৃক নবাবিষ্কৃত এশিয়ার স্বসভ্য জাতিগণের শিল্প-জগতের সাদৃশু নাই । তীব্র আঘাতে এই শিল্প ইউরোপের শ্রান্ত ও নিদ্রাতুর শিল্প-চেতনাকে যেন উজ্জীবিত করিতে চাহিতেছে । এই নবীন সঙ্ঘাতের ফলে, আধুনিক ইউরোপীয় তথা সাৰ্ব্বভৌম শিল্প কোন পথে চলিবে, কি ভাবে প্রভাবান্বিত হইবে, তাহার বিচার করার সময় এখনও আসে নাই । নিগ্রে শিল্প হইতে ইউরোপ একটা কিছু পাইয়াছে, নিশ্চয়ই , তাহ না হইলে, ইহার এতট। আলোচনা হইত না, নিগে শিল্পের চিত্র ও ইহার পরিচয় লইয়! এত বই প্রকাশিত হুইত না । এই সব বইয়ের উদ্দেশু মাত্র ethnological qi আদিম-সংস্কৃতি-তত্ত্ব লইয়া নহে — ইহাদের উদ্দেশু, সৌন্দর্য্য-তত্ত্ব বিষয়ক । এখন, নিগ্রে শিল্পে ইউরোপ কি পাইয়াছে, বা ইহা হইতে কি পাইবার প্রয়াস করিতেছে—ইং সংক্ষেপে আলোচনা করা যাইতে পারে । এই শিল্পে ইউরোপ পাইয়াছে, সভ্যতার সহস্ৰ কৃত্রিমতা হইতে মুক্ত আদিম মনের পরিচয় । আধুনিক ইউরোপ সংস্কারের দাস ;-বিশেষ করিয়া আধুনিক ইউরোপীয় শিল্প । একটা বিশেষ ধৰ্ম্ম-বিশ্বাস লইয়া নিগ্রে। প্রতিমা-নিৰ্ম্মাত অপটু হস্তে তাহার মনের মধ্যে নিহিত আদর্শ বা ভাবকে ফুটাইম তুলিবার চেষ্টা করিল। শিক্ষা বা পরম্পরাগত রীতির স্থান এখানে নাই ; মানসনেত্রে দেখা কল্পনা, এবং কতকটা নিয়ন্ত্রিত سيا نسمصد 8 ينا ও কতকটা অনিয়ন্ত্রিত হাতের গতি—এই দুইয়ে মিলিয়া রূপ:স্বষ্টি করিল । কোন কোন স্থলে এই দুইক্ষে ঠিক তাল রাথিয় চলিতে পারে নাই ; যেখানে পারিয়াছে, সেখানেই যথার্থ শিল্পের স্বষ্টি হইমাছে । পারুক আর নাই পারুক, মোট কথা, এই শিল্প রচনার প্রথম বৈশিষ্ট্য হইতেছে, সারল্য ও নিষ্কপটতা । এখানে চটক দেখাইবার প্রয়াস মোটেই নাই, অথবা যাহার প্রতি সত্যকার দরদ নাই তাঁহাকে রূপ দিয়া তাহার প্রতি দরদ দেখাইবার ভাণ নাই। এই নিষ্কপটতা-গুণই বোধ হয় আধুনিক ইউরোপের শিল্পে বিশেষ ভাবে আপেক্ষিত ; এবং সেই জন্তই এই আদিম ও শিশুচিত নিষ্কপটতা ইহার একট প্রধান আকর্ষণ হুইয়। দাড়াইয়াছে । fāstus:, sè fitz èētato cą plastic quality বা রূপ দ্যোতনার ভঙ্গি পাইতেছে, তাহ সম্পূর্ণ-রূপে নূতন,— ইউরোপের শিল্প-চেতনায় তাহ অপূৰ্ব্ব । নিগ্রে শিল্প মুখ্যতঃ মূৰ্ত্তির শিল্প, ইহা চিত্রের শিল্প নহে । ছুতার ও কুমার, কামার ও র্কাসারী,—ইহারাই হইল ইহার শিল্পী, পটুয়ার স্থান ইহাতে নাই। নিগ্রে শিল্প-রীতিতে রচিত মূৰ্ত্তির পরিকল্পনার এবং গঠনের আধার বা প্রাণ হইতেছে—ইহার নিরেট বৰ্ত্ত লভা । ইউরোপীয় ভাস্কৰ্য্য-মতে রচিত মূৰ্ত্তির পরিকল্পনার আধার এই যে, ইহাকে সামনে হইতে চিত্রবৎ দেখিতে হইবে । এইরূপ একটা উদেখা মুসভ্য জাতিগণের মধ্যে স্পষ্ট মূৰ্ত্তি-শিল্পে যেন অস্তর্নিহিত আছে - ভাস্কৰ্য সমতল ক্ষেত্রের পটভূমিকার সমক্ষে চিত্রবং দণ্ডায়মান। সভ্য জাতিসমূহের মধ্যে ভাস্কর্য ষে ভাবে স্বস্ট ও পুষ্ট হয়, তাহার জন্যই এষ্ট প্রকার চিত্রণ-রীতিই হইয়াছিল ভাস্কর্য্যের আদিম আধার বা প্রেরণ। দেবমূৰ্ত্তিকে মন্দিরের দেওয়ালের দিকে পিছু ন করিয়া রাখা হইত—দেওয়াল যেন background বা পটভূমিকা, মূৰ্ত্তি চিত্ৰবৎ স্থাপিত । মিসরীয়, গ্রীক, ভারতীয়, গথিক প্রভৃতি ভাস্কর্ঘ্যে in the round মূৰ্ত্তি পরে গঠিত হইলেও, এই বিভিন্ন সভা দেশের ও কালের ভাস্কর্য-রীতির একই মূল প্রেরণা—ভিত্তি-গাত্রে স্থাপিত করিয়া রাখিবার জন্যই মূৰ্ত্তি-নিৰ্ম্মাণ । নিগ্রে শিল্প এ বিবম্বে, মুক্ত বা বস্তুর বাস্তব অবস্থান সম্বন্ধে, আরও অনেকট। বেশী সচেতন । সত্যকার মূৰ্ত্তি বা বস্তু যেমন in the round থাকে, অর্থাৎ ঘুরিয়া চারি দিক হইতে দেখিবার