পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

இ. তাত্রিক আচারে যে আধুষ্টিক অর্থ পরিকল্পিত হইয়াছে তাহাও উল্লিখিত উৎকৃষ্ট সাধনপদ্ধতির প্রতিকুল 'নহে। মৎস্ত, মাংস প্রভৃতি পঞ্চ 'ম'কারেরই এইরূপ অর্থ করা হইয়াছে। তবে এক এক শব্দের নানারূপ অর্থ দেখিতে পাওয়া যায়। নিৰ্ব্বিকার, নিরঞ্জন যে পরমব্রহ্ম প্তাহার পূর্ণানন্দময় জ্ঞানকেই মস্ত বলে।’ যে কৰ্ম্ম দ্বারা সম্পূর্ণভাবে আত্মসমৰ্পণ করা হয় তাহারই নাম মাংস (২ ইড়া ও পিঙ্গল নাড়ীর মধ্যস্থিত বাক্যকে যিনি নিরুদ্ধ করিতে পারেন তিনিই মৎস্তসাধক - এই সমস্ত আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা অসাধু পদার্থকে সাধুভাবে দেখাইবার একটা বাৰ্থ চেষ্টাযাত্র মনে হইতে পারে। কিন্তু লক্ষ্য করিবার বিষয় এই যে—এই আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যার মধ্যে জ্ঞান ও যোগমার্গের যে ইঙ্গিত রহিয়াছে তাহ। তন্ত্রবিরোধী নহে। সুফী প্রভৃতি সম্প্রদায়ের মধ্যেও এইরূপ আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যার পরিচয় পাওয়া যায় । কিন্তু শাস্ত্রের নির্দেশ যাহাই হউক না কেন, অনেকেই সেই নির্দেশ অনুসারে কার্য্য করিতেন না বা করিতে পারিতেন না । তান্ত্রিক আচারের অনুষ্ঠানপ্রসঙ্গে বা এই অনুষ্ঠানের বাপদেশে অনেকে উচ্ছ,জ্বল হইতেন—মস্কমাংসাদির অযথা বহুল ব্যবহারে লিপ্ত হইতেন এবং জনসাধারণের শ্রদ্ধ আকর্ষণ না করিয়া বিরক্তির ভাজন হইতেন । তারপর, অনেক তন্ত্রগ্রন্থে নানারূপ অতিকুৎসিত অনুষ্ঠানের উচ্ছসিত প্রশংসা যে অক্ষরে অক্ষরে সত্য নহে— উহ যে অর্থবাদমাত্র ; ঐ সব অনুষ্ঠানেই যে শাস্ত্রের তাৎপৰ্য্য নহে, অনভিজ্ঞ সাধারণে তাহ বুঝিতে পারিত না । লোকে ভাবিত—মস্তাদিসেবন তান্ত্রিক উপাসনার একট ১। যছুক্তং পরমং ব্রহ্ম নির্বিকার নিরঞ্জন। তস্মিন প্রমদনং জ্ঞানং তন্মদ্যং পরিকীৰ্ত্তিতমূ। (বিজয়তঞ্জ) ২। মাংসনোতি ছি বৎ কৰ্ম্ম তয়াসং পরিকীর্ষিতম্। ন চ কারপ্রতীক্ষত্ত যোগিভিমাংসমুচ্যতে । ( বিজয়তঙ্গ) ७ । *त्रयभूनाम्नाभtथा भ५rछी एको छब्रऊ: अली ! তোঁ মৰন্তে ভক্ষয়েদ যন্ত স ভবেয়াংগু সাধক: (জাগমদার) نخكt> <ه "প্রবাসী; నార్హ অপরিহার্য্য অঙ্গ। এক দল অসাধু চরিত্রের লোক এইরূপ মতবাদ যে প্রচার করে নাই তাহাও বলা যায় না । প্রসিদ্ধ তান্ত্রিক গ্রন্থের মধ্যে এই জাতীয় কথা প্রক্ষিপ্ত করা অথবা এই সব মতবাদ তন্ত্রাকারে রচিত গ্রন্থের মধ্য দিয়া প্রচার করা খুবই সম্ভবপর বলিয়া মনে হয় এবং অনেকে এরূপ করিতেন বলিয়াও আশঙ্ক হয় । বস্তুতঃ, কোন কোন প্রাচীন গ্রন্থে এ-জাতীয় ব্যাপারের উল্লেখও যে না-পাওয়া যায় এমন নহে। কুলার্ণবে বলা হইয়াছে— সম্প্রদায়বজ্জিত ও গুরূপদেশরহিত অনেকে নিজুবুদ্ধি অনুসারে কৌলধৰ্ম্মের কল্পনা করিয়া থাকেন।” যমুনাচার্য তাহার আগমপ্রামাণ্য নামক গ্রন্থে বলিয়াছেন —আজও পর্যাস্ত দেখিতে পাওয়া যায়, কেহ কেহ তান্ত্রিকতার ভাণ করিয়া তন্ত্রবিরোধী বস্তুসমূহ প্রচার করিয়া থাকেন । এই সব কারণেই বোধ হয় তন্ত্রে উচ্চ আধ্যাত্মিক তত্বের সঙ্গে সঙ্গে অতি নীচ ও কুৎসিত বিষয়সমূহের সমাবেশ দেখিতে পাওয়া যায়। তবে, লক্ষ্মীধর, ভাস্করাচার্য্য প্রমুখ শ্রেষ্ঠ তঞ্জিকাচার্যগণকর্তৃক একবাক্যে নিনিত এই সমস্ত বিষয়ের জন্ত সমস্ত তন্ত্রশস্ত্রকে দেঘী সাব্যস্ত না করিয়৷ তন্ত্রের প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্ত তথ্রসাহিত্যের বহুল প্রচার ও জুনিয়ন্ত্রিত, সহানুভূতিপূর্ণ সমালোচনা হওয়া দরকার । এই সমালোচনার ফলে প্রতিগ্রন্থের প্রকৃত স্বরূপ ও সমগ্র সহিত্যের মধ্যে ইহার আপেক্ষিক অবস্থান নির্ণত হইবে—তন্থের নিগূঢ় তথ্য প্রকাশ হইয় পড়িবে। কিন্তু তন্ত্রসাহিত্য বিশাল— ব্যাপকভাবে সঙ্ঘবদ্ধ প্রচেষ্টা ব্যতীত এ-কাৰ্য্য সম্পন্ন হইবার সম্ভাবনা নাই। আশার বিষয়, কোন কোন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান-বিশেষের দৃষ্টি এ-দিকে আকৃষ্ট হইয়াছে এবং অপাংক্তের ত শাস্ত্রের আলোচনার সুত্রপাত হইয়ছে। ১ । যহবঃ কৌলিকং ধৰ্ম্মং মিথ্যাঙ্কমবিড়ম্বকাঃ । স্ববুদ্ধ্যা কল্পয়ন্তীৰ্থং পারঙ্গধৰিঞ্জিতা । কুলার্ণব ২১১৬ ২ । অন্তত্বেইপি খি কৃঞ্চন্তে কেচিদাগমিকচ্ছলা । অনাগমিকমেধার্থং যাচক্ষীণ বিচক্ষণাঃ ॥ (r. 8)