পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

W、Nー8 - দেখতে পার স্বামীদের কল্পনার দৃষ্টি । এই কল্পনাবৃষ্টিতে বিশেষ ক’রে সমগ্র করে দেখায় জ্যোৎস্না-রাগ্রি মানুষের ধ্বয়ের খুব কাছাকাছি জিনিষ। তাকে নিয়ে মানুগের সেই অত্যস্ত কাছে পাওয়ার মিলে যাওরায় আনন্দ । গোলাপ কুল অসামান্ত, সে আপন সৌন্দর্য্যেই আমাদের কাছে বিশিষ্ট হয়ে ওঠে, সে স্বতই আমাদের মনের সামগ্ৰী । কিন্তু বা সামান্ত যা আমুনীর তীকে আমাদের মন কল্পনার ঐকাটিতে বিশিষ্ট করে দেখাতে পারে বাহরে থেকে তাকে আতিথ্য দিতে পারে ভিতরের মহলে । জঙ্গলে আবিষ্ট ভাঙা মেটে পাচিলের গা থেকে বাগদি বুড়ি বিকেলের পড়ও রৌদ্রে ঘুটে সংগ্রহ করে আপন ঝুড়িতে তুলচে, আর পিছনে পিছনে তার পোষা নেড়ি কুকুরটা লাফালাফি ক’রে বিরক্ত করচে, এই ব্যাপারটি যদি বিশিষ্ট স্বরূপ নিয়ে আমাদের চোথে পড়ে, একে মৃfদ তথ্যমত্রের সামষ্ঠিত থেকে পৃথক করে এর নিজের অস্তিত্ব-গৌরবে দেখি তা হলে এণ্ড জায়গা নেবে ভাবের নিত্য জগতে । - বস্তুত আর্টিষ্টরা বিশেষ আনন্দ পায় এই রকম স্বইতেই । বা সহজেই সাধায়ণের চোখ ভোলায় তাতে তার নিজের স্বাক্টর গৌরব জোর পায় না । যা আপনিই ডাক দের না তার মুখে সে আমন্ত্রণ জাগিয়ে তোলে ; বিধাতার হাতের পাসপোর্ট' নেই ধার কাছে তাঁকে সে উত্তীর্ণ করে দেয় মনোলোকে । অনেক সময় বড় আর্টিষ্ট অবজ্ঞা করে সহজ মনোহরকে আপন স্বষ্টিতে ব্যবহার করতে। মানুষ বস্তুজগতের উপর আপন বুদ্ধিকৌশল বিস্তার কয়ে নিজের জীবনযাত্রার একান্ত অনুগত একটি ব্যাবহারিক জগৎ সৰ্ব্বদাই তৈরি করতে লেগেচে । তেমনি মামুয আপন ইঞ্জিয়বোধের জগৎকে পরিব্যাপ্ত ক’রে বিচিত্র কলাকৌশলে আপন ভবিরসতোগের জগৎ স্বষ্টি করতে প্রবৃত্ত। সেই তার সাহিত্য । ব্যবহারিক বুদ্ধিনৈপুণ্যে মামুৰ কলে বলে কৌশলে বিশ্বকে আপন হাতে পায়, আর কলানপুণ্যে কল্পনাশক্তিতে বিশ্বকে সে অাপন কাছে পায় । প্রয়োজনসাধমে এর মূল্য নয়, এর মূল্য আত্মীয়তাসাধনে, সাহিতসাধনে। । একবার সেকালের দিকে তাকিয়ে দেখা যাকৃ। সাহিত্যস্বাধন সম্বন্ধে তখনকার দিনের মনোভাবের পরিচয় আছে ఏ983, একটি কাহিনীতে, সেটা আলোচনার যোগ্য ক্রৌঞ্চfমথুনের মধ্যে একটিকে ধ্যাধ বথন হত্যা করলে তখন পুণার আবেগে কবির কণ্ঠ থেকে অনুষ্টত ছন্দ সহসা উচ্চারিত হ’ল । কল্পনা করা যাক বিশ্বস্তুষ্টর পূৰ্ব্বে স্বষ্টিকৰ্ত্তার ধ্যানে সংসা জ্যোতি উঠল লেগে । এই জ্যোতির আছে অফুরান বেগ, আছে প্রকাশশক্তি। স্বতই প্রশ্ন উঠল আনন্তের মধ্যে এই ষ্ট্যোতি নিয়ে কী করা বাবে ? তারস্থ উত্তরে জ্যোতিরাত্মক অণুপরমাণুর সংঘ নিত্য অভিব্যক্ত বিচিত্র রূপ ধরে আকাশে আকাশে আবৰ্ত্তিত হয়ে চলুল, এই বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডের মহিমা সেই আদি জ্যোতিরই উপযুক্ত। কবিগুধির মনে যখন সহসা সেই বেগবান শক্তিমান ছন্দের আবির্ভাব হ’ল তখন স্থতই প্রশ্ন জাগল, এরই উপযুক্ত স্বল্প হওয়া চাই। তারই উত্তরে রচিত হ’ল রামচরিত। অর্থাৎ এমন কিছু বা নিত্যতার আসনে প্রতিষ্ঠিত হবার যোগ্য। যার সান্নিধ্য অর্থাৎ বীর সাহিত্য মানুষের কাছে আদরণীয়। মানুষের নিন্মাণশক্তি বলশালী, আশ্চৰ্য্য তার নৈপুণা। এই শক্তি এই নৈপুণ্য নিয়ে সে. বড় বড় নগৰু নিৰ্ম্মাণ করেচে। এই নগরের মূৰ্ত্তি বেন মানুষের গৌরব করবীয় যোগ্য হয় এ কথা সেই জাতির মান্য না ইচ্ছা ক'রে থাকৃতে পারে নি, বাদের শক্তি আছে বাদের আত্মসম্মান বোধ আছে, ধার্য সভা। সাধারণত সেই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও নানা রিপু এসে ব্যাঘাত বটারমুনফগ করথায় লোভ আছে, শস্তীয় কাজ সারবার কৃপণতা আছে, ধরিত্রের প্রতি ধনী কর্তৃপক্ষের ঔদাসীন্ত আছে, অশিক্ষিত বিকৃতরুচি বৰ্ব্বরতাও এসে পড়ে এর মধ্যে, তাই নিলজ নিৰ্ম্মমতায় কুৎসিত পাটকল উঠে স্বাড়ায় গঙ্গাতীরের পবিত্র শ্যামলতাকে পদদলিত ক’রে, তাই প্রাসাদশ্রেণীর অন্তরালে নানাজাতীয় ছয় বসতি পাড়া অস্বাস্থ্য ও অশোভনতাকে পালন করতে থাকে আপন কলুষ্ঠিত আশ্রয়ে, যেমন-তেমন কদৰ্য্যভাবে যেখানেসেখানে ঘরবাড়ি, তেলকল, নোংরা দোকান, গলিখু'জি চোখের ও মনের পীড়া বিস্তাৱপূৰ্ব্বক দেশে ও কালে আপন স্বত্বাধিকার পাকা করতে থাকে। কিন্তু রিপুর প্রবলতা ও