পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| ভাদ্র - দৃষ্টি-প্রদীপ Sలిపి ভাইদের দেরে গিয়ে পড়লো। সে বছরের কথা । আমি দেবার ম্যাট্রিক দিই, আমার কথার উত্তরে জ্যাঠামশায় আমার অনেকগুলো কথা শুনিয়ে দিলেন । আমাদের এদিক নেই, ওদিক আছে । রাজামহারাজাদের ধরে বোনের বিয়ে দেবার হচ্ছে থাকলেই ত হয় লী, পয়সা চাই। পনের যৌল বছরের মেয়ে গ্রামে সমাজের মধ্যে বাম করতে গেলে আর ঘরে রাখা চলে না। তা ছাড়া তিনি কথা দিয়ে ফেলেচেন–র্তার কথার মূল্য আছে ইত্যাদি। জ্যাঠামশায়দের বাড়ির জীবনধাত্রায় ধারা সেই পুয়োনো fদনের भउह চলেচে । এখানে এলেই বুঝি এদের মন নানাদিক থেকে ধ্ৰুতভাবে শৃঙ্খলিত। বাড়িতে এতটা জমি রয়েছে, ঠাকুরপুজার উপযোগী ছোট্ট একখানা গাদা ও করবী ফুলের বাগান ছাড়া আর কোথাও একটা ফুলের গাছ নেই। উঠোনের কোন জায়গার এর কোথাও একটু সবুজ ঘাস রাখবে না—মেজকাকার কাজই হচ্চে এতটুকু কোথাও ধাস গজালে তখনি নিজের হাতে নিড়েন ধরে উঠিয়ে ফেলা-প্রকাও উঠেনি চাচাছোলা, সাদা সাটি বার করা, সবুজের খোশ নেই । ব’লে দেখেচি এরা তা যোঝেই না। সামূনের উঠোনটা লাউ-আচ, পুহ-মাচায় ভৱা—প্রত্যেক জায়গাটুকুতে তরকারী লাগিল্পেচে, নয়ত মান-কচুর ঝাড়। - একদিন জ্যাঠামশায়ের ছেলে হারুদাকে বললাম-আমি ঐরামপুর থেকে ভাল মরহুমী ফুলের বীজ এনে দেবে। আর এক রকম লতা আছে আমাদের কলেছে, চমৎকার নীল ফুল ফোটে। বাড়ির সামূনেটা বাগান করে আর চণ্ডীমণ্ডপের চালে সেই শত উঠিয়ে দাও— হারুদা বললে—তোমার বেমন বুদ্ধি, ফুলগাছে কি হুধ দেবে শুনি ? মিছিমিছি জায়গা জোড়া— চণ্ডীমণ্ডপের চালে কি-বছর ত্রিশ-চল্লিশখন চালকুমড়া হয় জানিস তা ? অর্থাৎ আহারের আয়োক্তন হ’লেই কিছু দরকার নেই এদের । নেষ্টকীকার ঘরে একদিন গুtয়ছিলাম, কীৰ্কীমা এখানে নেই-মেজকাকার আবায় একলা গুতে ভয় হ’ল, আয় করে, তাই আমাকে গুতে বলেছিলেন । সারাদিন গরমের পরে অনেক রাত্রে এক পগলা বৃষ্টি হ’ল—কি হুক্ষর ভিজেমাটির গন্ধ আসতে লাগল—মেজকৗক মেধি উঠে তাড়াতাড়ি জানালা বদ্ধ করচেন। আমি বললামবন্ধ করচেন কেন মেজকাক, বেশ ঞ্চিঞ্জে ছাওয়া অস্েিচ– --- মেজঞ্চাকা বললে—উছ, উহ–ষ্ঠাও লাগবে—শেষ রাতের বিষ্টর হাওয়া বড় খারাপ, কাল সঙ্গি ধরনে—জামাৱ । - ধাতই একে সন্দির । - দুপুরে সীতার সম্বন্ধে মাকে বললাম। মায়ের ইচ্ছে সন্ম ওধানে সীতাৱ বিয়ে দেওয়া, তবে মা নিরুপায়, এৰীড়িতে ঠার কোনো কথা থাটে না । আমি বললাম-aামি কোথাও চাকুরি খুজে নি সঃ সীতাৱ ৰিখে নিজে থেকে দেবো । - মা বললেন-শোন কথা ছেলের । তুই লেখা-পড়া ছেড়ে এখন করবি কি ? তোদের মুখের দিকে চেয়ে এখানে কষ্ট করেও পড়ে থাকি। নিষ্ঠুর ত কিছু হ’ল ল, তুই বি-এ টা পাস কল্প। গীতার কপালে বা থাকে হবে। তুই এখন চাকরিতে কত টাকা পাৰি ষে স্ট্রীতার বিয়ে দিবি নিজে ? মাঝে পড়ে তোঁর পড়াটা হবে না । আর শোনু, এ নিয়ে কোনো কথা বেন বলিল নে কাকদ্ৰ সঙ্গে । ভোর জ্যাঠাইমা শুনতে পেলে রক্ষে রাখবে লা । -- মা এত ভয় করেও চলেন ওপের f প্রেথম জীবনে কোন কষ্ট পান নি, তারপর চা-বাগান থেকে এসে দুঃখের মধ্যে পড়ে গিয়ে এমন উীভু হয়ে উঠেচেন ! সদাই ওঁর ভয় মাকে জ্যঠাইম ওঁদের দু-জনকে এ-বাড়িতে জায়গা দিতে ন চাইলে আমার লেখা-পড়া না হয়। দীপ্তার বিয়ে নিয়ে দাদা জড়িয়ে পড়ে এই সন্ধ। -- সীতাকে গুলে ফেলে দিতে পারব লী, মা বাই বলুন। - জ্যাঠামশায়দের বাড়িতে বেশক্ষণ থাকলে আমার *াপ লাগে । গায়ের বাইরে নির্জন মাঠে গিয়ে বলে ভাবি সীতার সম্বন্ধে কি করা যায়। কিন্তু হঠাৎ কেমন ক’রে অল্প চিন্তা এলে পড়ে । এই রোঁয়ালোকিত দুপুরে এক বলেই তার কথা আমার মনে পড়ে। মন থেকে 2