পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাত্র - আফ্রিকার নিগ্রে শিল্প 染8收 ঙ্কি বলতম ? এক্ষুনি চাকুরি থেকে ছাড়িয়ে দিতে পারে। বলতেই পারে, এর মাথা খারাপ, একে দিয়ে চলবে না। কিন্তু আমার বড় কৌতুহল হ’ল। সন্ধা’র সময় মোহিনী ঝি আমার বারান্দার সামূনে দিয়ে যাচ্চে, তাকে জিগোস করলুম—শোন, আচ্ছা বাড়িতে দেড়-বছর দু-বছরের খোকা করি আছে বল তো ? ঝি বলুলে— অত ছোট ধোক তে কারুর নেই ? সন্ধ্যার পর থেকে পাস-করা ধাত্রী এসে বসে আছে, এসব কথা তখন আমি শুমূলাম। কারণ সবাই বলাবলি করচে। শেবরাত্রে শুল্লাম তার একটি পুত্রসস্তান হয়েচে । মনে মনে বিস্মিত হ’লেও কারও কাছে এ নিয়ে আর কোন কথা বল্লাম না। নিজেই দেখি, অথচ নিজেই বুঝি নে এসবের মানে কি। চুপচাপ থাকাই সেইদিন রাস্ত বারোটায় খুব হৈ চৈ । মেঞ্জবাবুর আমার পক্ষে ভাল। স্ত্রীর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন, লোক টুটুল ডাক্তায় ক্রেমশঃ) আনতে। মেজবাবুর স্ত্রী বে অন্তঃসত্বা ছিলেন বা --E আফ্রিকার নি গ্রো শিপ শ্ৰীসুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় [ 8 ) ধৰ্ম্ম, সামাজিক সংস্থান, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা,-–এ সকলের সঙ্গে নিগ্রে শিল্পের যোগ বিচার করিয়া পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনার প্রয়াম করিব না। নিগ্রে শিল্প মুখ্যতঃ ধৰ্ম্ম ও সামাজিক আবঙ্গকতাকে আশ্রয় করিয়াই গড়িয়া উঠিরছে। কিন্তু তাই বলিয়া, শুদ্ধ শিল্প, বাহা কেবল আনন্দ-দানের নিমিত্ত, যাহার কোনও ধাৰ্থিক বা অন্তবিধ প্রেরণা লাই, আছে কেবল সৌন্দৰ্য্য-স্বষ্টির প্রেরণা, সেইরূপ শুদ্ধ শিল্পও নিগ্রোদের মধ্যে বে গড়িয়া উঠে নাই, তfহা নছে । দৈব বা ভৌতিক অনুষ্ঠান আদিম কালের জীবনের অঙ্গ। এই অনুষ্ঠানের জন্ত বিশেষ বিশ্যে দ্রব্যের আবশ্বক। মূৰ্ত্তি ও মুপস তাহদের মধো অন্ততম। মূৰ্ত্তি দেবতার প্রতীক, মূৰ্ত্তি পিতৃপুরুষের বা মৃতের প্রতীক ; তাই সৰ্ব্বত্র মুঞ্জি, মাটিতে গড়া বা কাঠে ( অথবা হাতীর দ্বাতে ) কাটা বা ধাতুতে চাল হইয়াছে। মুখসও দৈব বা ভৌতিক অনুষ্ঠানে আবশ্বক—কাঠের বা পোড়া মাটির অথবা ধাতুতে ঢাল মুখসও তৈয়ারী হয়। রাজার সিংহাসন-স্বরূপ অস্তি গাছের গুড়ি গুদিয়া তৈরী আসন, এই আসনে কত রকমের মূৰ্ত্তি ও নকশার বহার, এই মূঞ্জি ও নকৃশারও একটা দৈব উদ্দেশু আছে। রাঙ্গার দ্বও বানাইতে হইবে—তাহার লকৃশ বা তাহাতে খোদাই করা মুষ্ঠিও তদ্রুপ। কিন্তু এ সব ছড়ি, দৈনন্দিন ব্যবহারের তৈজসপত্রে, কাঠের বাটতে, চুবড়ী ও ঝুড়ীতে, গায়ের গহনায়, শিল্প পাওয়া যায় ; পিতলের, কাঠের ও হাতীর দ্বাতের ছোট ছোট মূৰ্ত্তিতে, ব্ৰঞ্জে ঢালা মূৰ্ত্তিতে, চালাইকরা চিত্রে যে শিল্প পাই, তাহ মুখ্যতঃ সৌন্দর্যা-বোধের পরিচায়ক, সৌন্দর্য্য-স্থষ্টির প্রেরণায় তাহার উদ্ভব। এই রূপ শুদ্ধ সৌনর্যা-বোধের দ্বারা প্রণোদন—ধর্শ্বের বা অনুরূপ অল্প উদ্দেশ্বের নিগড় হইতে মুক্ত শিল্প স্বজনের চেষ্টা,—বিশুদ্ধ নিগ্রেীদের কতকগুলি উপজাতির মধ্যেই দেখা যায়। এক্ষেত্রে ইহা সুসভ্য ইউরোপীয়দের প্রভাবেই কতকটা হইয়াছিল বলিয়া মনে করা ধাইতে পারে। উদাহরণ-স্বরূপ, বেনিন-এর দৃষ্টি বা চিত্রময় ধাতুপট্ট, এবং ডাহোমে-রাঙ্গে প্রস্তুত পিতলের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র भूखैित्व উল্লেখ করা যাটুতে পারে। মধ্য-আফ্রিকার বান্ট বা অলঙ্করণ