পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছাপা জেলার নগণ্য মহকুমা গোপালগঞ্জ নগরীটি যেন পৃথিবীর শেষপ্রান্তে পড়িয়া আছে । বি. এমৃ ডব্লিউ. আরএঃ, যেন লাইন হইতে বহুদূরে,—যে-কোন একটা বড় শহর ইষ্ট চও বহুদূরে এই স্থায়গাটি সভ্যতার আঁচ থেকে অতি সপ্তপণে নিজকে বচোইয়া রাধিয়াছে। এক-একবার একটু অস্বস্তি বোধ হয় বটে ;–দেশপ্রিয় নষ্টীন্দ্রমোহন মারা গেলেন, চার দিনের পর খবর পাওয়া গেল ; কিন্তু আবার এও মনে হয় –মন্দ কি, ঠহাঁকে চার দিন বেশী পাওয়া গেপ, আমিরাই লাভে রহিলাম । আট-দশ বর বাঙালী, বেশ মিল—সম্ভবত: বারোয়ারির দুর্গাকালী এবং পঠাবলির অভাবেই এখন পর্যন্ত বজায় রহিয়াছে। একটি রা উঠিলেই সমস্বরে সাড়া ওঠে, ছোটবড় ভেদ নাই। সব কাজেই-কুছ পরোয় নেই, লেগে পড়— ভাবট এইরকম । *প্রথমবায় ডাক্তারবাবুর মোটরে ঘুরিয়া আসিয়া যখন কাশেয়ার মঙ্গপরিনিদাশগুপের কথা বলিলাম, একধার থেকে সব ম তিয়া উঠিলেন, নিশ্চয়ই যাইতে হইবে, আর দেরি করা নয় । সামনের রবিবারটিকে সবাই কাজকৰ্ম্ম ছটিয়া-ছুটা পরিষ্কার করিতে লাগিয়া গেলেন। টিকিট হিসাবে সাড়ে-এগার জনের একটি দল হুইল । এগার জন গোটা মন্দ, একটি অদ্ধি৷ চাকর, সে আমাদের সমিলাই:ব । চিস্তার কথা হইল খাওয়া-দাওয়ার কি করা বাইবে । নানা রকম প্রস্তাব উঠিল । কেহ বলিল—লুচি ভৈয়ার করিয়া লইয়া যাওয়া হোক, কেহ বলিল—কিছু পাউরুটি, বিস্কুট, ফলমূল । ভোলাবাবু বলিলেন—তার চেয়ে ডেকচি থস্তিষ্টস্তি নিয়ে চল, আর একটা ষ্টেভি, ছুটি চাল ফুটিয়ে নেওয়া যাবে।ধন, দুটি তাত না হ’লে বড় কষ্ট হবে – কথায় বলে—অল্পগন্ত-গ্রীণ বাঙালী । যুধাংশু তাহার গলার জোরে এবং হাত-পা লাড়ীর চোটে সব ছিন্নভন্ন করিয়া অসির দখল করে । বলিল— “ভগবান বুদ্ধ একদিন সারা রাজটা ত্যাগ করে নেংটি পরে কাশেয়ার যাত্রী । শ্ৰীবিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায় - বেরিয়ে গিয়েছিলেন । পিঠে একটা তৈরি হোটেল কি আস্ত রায়বের থেধে তার নিকাশগুপ দেখতে নেতে লঙ্কা করবে না ?” . সুধাংশুর ভয়েই হোক কিংবা বুদ্ধদেবের খাতিরেই হোক, সবার একটু লজ্জা করিল। ঠিক হইল কিছুই গওয়া হইবে না; সেপানে বা জোটে। পালি বসিবার জন্ত ধানছয়েক সতরঞ্চি লাইবে। o - উদ্যোগপৰ্ব্বট নিরুদ্বেগ হুইল কাশেয়া (পুরাতন কুশীনগর) ੋਂ গোরক্ষপুর জেলার একটি ছোট্ট মহকুমা। বি. এল. ডব্লিউ-র মেনু লাইল হইয়া গেলে তহশিল দেউড়িয়ায় নামিতে হয়, সেখান হইতে ২০ মাইল মোটরসার্ভিস আছে । আরও একটি রাস্ত আছে । মেনা লাইনের সেওয়ান ষ্টেশন হইতে একটি ব্রাঞ্চ লেপল তরাইয়ের কোল ঘে"যিয়া গিয়া শীবায় গোরক্ষপুরে মেন লাইনে গিয়া যুক্ত হইয়াছে , এই লাইনের পাড়রাওনা ষ্টেশন হইতে নামিয়াও ধাওয়া চলে । কাছে পড়ে এইদিক হইতেই, এগার-বারা মহিল পথ ; তবে মোটরের ভাড়া একই রকম । শুনিলাম, তাঙ্গীর কারণ ওদিককার পথটা বরাবরই নাকি ভাল। পাড় রওনা হইতে রোভ-বোর্ডের রাস্তাটি থানিকটা ভাল হইলেও অধিকাংশ শোচলীয়, বিশেয করিয়া বর্ষাকালে । আগাগোড়া নানারকম এক্সপেরিমেন্টের ধাক্কায় সমস্ত রাস্তাটি কাবু করিয়া ফেলিয়ছে । - আমাদের ষ্টেশন হরিপুয়া হইতে ভোর ৪॥• টার সময় গাড়ী। এদিকে প্রায় নাপাবধি বৃষ্টির নামগন্ধ ছিল না, কিন্তু দিন বুঝিা সেদিন চারিদিক অন্ধকার করিয়া উপপ্রাস্তে বৃষ্টি নামির প্রভাতের মেঘডম্বর শাস্ত্রবাকা অবহেলা করিয়া এমন ফ্যাসাদ বাঁধাইবে কেহ ভাবিতেই পারে নাই। যাদলের শৈতো স্বায়ু উৎসাহের তাপ কমিয়া আসিতে লাগিল ।