পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডাল - উৰ্ম্মিল। ኴግግ এখাত্রা গোপীনাথের ফর্ম একটু খারাপ। কিন্তু তাই বলিয়া কি এমন মড়ার উপর থ"ীড়ার ৭া বসাইতে হয় ? অঙ্গহীন কস্তাই কি যথেষ্ট নয়—তার উপর মৃত স্ত্রী ? একি ঠিক সীমূনা-সীমূমি খেলা ? এ কেমন রীতি পেছন হইতে টুপ করা গৰ্ত্তে কেলিয়া পদাঘাত করা । জানুঞ্চাকে সে কোল হইতে নামাইয়া বসাইয়া দিল । দুই হাতে শক্ত করিয়া যরিয়া কোমরবন্ধ হইত রিভলভারট খুলিল। মেয়ের বুকে লীগাইয় অত্যন্ত বীভৎস দৃষ্টিতে তাহার দিকে তাকাইল । জানকী কাদিয়া উঠিল, “বাবুজি, আমার ডর লাগছে, আমাকে তুমি ওলি মারবে ?" গোপীনাথ লজ্জিত হইয়া জানুকীকে কোলে তুলিয়া চুমা থাইল। হাসিয়া বলিল, “দূর পাগলী, তামাশা কম্বুছিলাম।” গোপীনাথ স্থির হইয়া ভাবিতে চেষ্টা কঠিল। যেপ্রতিপক্ষ হারিয়া গেলেও রেহাই দেয় না তাহার সঙ্গে sكبيسيسيسيبيسيء থেলিতেই হইবে এমন কি কথা ? ষে কাপুরুত্ব, যে পরাজিত শত্রুর উপরও অত্যাচার করে, তার গঙ্গে কেন সে খেলিবে? সমস্ত জীবন অঙ্গহীন কল্পীর জঠ করুণা ভিক্ষণ করিয়৷ পত্নীহীন মিজর জন্ত সহানুভূতি বান্ধা করিয়া সে কি অদৃশ্য প্রতিপক্ষের মুখে হাসি জোগাইবে ? নিশ্চয়ই না। হঠাৎ জানকীক মাটিত ফেলিয়া গোপীনাথ ক্ষুধাওঁ হিংস্র পশুর মত রিভলভারের নল শিশুকল্পীর মস্তকে লাগাইয়া উপনুপিরি দুইবার টুিগার টানিল । তারপর সেই রিভলভারই নিজের বামবঙ্গের ইঞ্চি-দেড়েক নীচে ও খাম লাগাইয়া আবীর পটু গার’ টানিল । তিন-চার বীর বন্দুকের শব্ব শুনিয়া শ্মশানঘাষ্ট্ৰীয়া ছুটিয়া আসিল । গোপীনাথ ও তাঁহার একপদহীন কল্লাৱ মৃতদেহ কাঞ্চনর বাবুশধ্যার উপর পাশাপাশি পড়িয়া ছিল। ডাক্তার বেলগার্ড বলিল, এক জন প্রথম শ্রেণীর স্পোঞ্জি ম্যান ছিল ব ট। উৰ্ম্মিলা শ্ৰীঅরুণচন্দ্র চক্রবর্তী বাল্মীকির অনাত্নতা সর্তীত্বের খনি, শয়নে স্বপন হেরি উঠতে কি জাগি ? চতুর্দশ বর্ষ ಶ್ಗ গণি গণি ভিজাতে কি উপাধান নিতি তার লাগি ? কটিাইলে । প্রভাত-তারকাসমা না মেলিতে আঁধি, যৌবনের প্রথম প্রভাত, সরম-সমিত তনু দিয়ে গেল ঢাকি বসন্তের পার্থী-ডাকা, মুকুলিত-রতি, বিরহ বেদন আসি । নিঃসঙ্গ বহিয়া গেল । ধোঁর বাবধান, স্বপ্নময় অাশা, রচিল দোহার মাথো, ও-কোমল প্রাণ সলজ অন্তর দেৱা—কামনার ভাষা রেখেছিলে সস্তপণে, হে মহিমময়ি ! বহিরিতে চাহিত কি কভু রহি রহি, সে সকল ? কিম্বা দেবী নয়নশ্রি রয়ে ঋরিত বেদনমান ও-কপোল বরে ? যৌবন-আবেশ সোলা তরঙ্গের দল অবিত হানিত প্রাণে : করিত চঞ্চল তোমীর অস্তর দেবী । অৰ্শময়-বাণী দঘ্নিত হৃদয়মাঝে পোছিত কি রাণী ? অযোধীর রাজপুরে কোন কক্ষতলে, বৃন্তচু্যত পুপপ্রায় পড়েছিল চলে বেদনরি দোলা লাগি । হে দেবি উৰ্ম্মিলf t হৰ্ম্ম্যমাঝে লুটাইয়া কত না কঁদিল । তবুও জনক-কন্তী সীতাঁর কল্যাণে, মৰ্ম্ম হ’তে ছিড়ে দিলে সাধনীর ধনে, বাল্মীকির অলীকৃত, তুমি অহরহ, নিঃশব্দে সহিয়া গেলে বেদনা বিরহ, অমনি বদনে, দেবি ! কেহ জানিল না, দুঃখে কেহ চলিল না আশ্ৰ এক কণা।