ভাদ্র বিবিধ প্রসঙ্গ-বঙ্গে প্রাথমিক ও ম - - - - - মক শিক্ষার অষথেষ্ট ৰিক্তার ৭৫৩ শিক্ষা বাড়ানই শিক্ষা-বিভাগের এবং সমুদয় দেশহিতৈষী ব্যক্তির কৰ্ত্তব্য যাহাঁতে ছাত্রছাত্রীদের মন জ্ঞানীগুজুল হয়, এবং অধিকন্তু, তাহারা শাস্তির পথে স্বাধীনতা লাভের উপর খুজিয়া পার। এমন কিছু করা শিক্ষা-দিভাগের সম্পূর্ণ অকৰ্ত্তব্য বাহা পরোক্ষভাবেও ভারতীয়দিগের মনে ইলেণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিকূল ভাব জন্মাইতে পারে। কোন জাতির প্রতিই কোন জাতির শত্রুভাব থাকা উচিত নয়। ইংলণ্ডের কথা দিশেষ করিয়া বলিলাব এই জন্ত, ষে, ইংলও এখন ভারতের প্রভু, এবং ভারতবর্য স্বাধীন হউক, এরূপ ইচ্ছা অধিক ইংরেজ না-করিতে পারেন। | বঙ্গে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার অযথেষ্ট বিস্তার গত ৩১শে জুলাইয়ের তারিখযুক্ত বঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষার বিস্তার সম্বন্ধীয় একটি সরকারী জ্ঞাপন-পত্ৰ আমাদের হস্তগত হইয়াছে। তাহাতে এক জায়গায় লিথিত আছে— “Taking thc" figuros of the total population of Bengal, about bulf the number of boys and onc-soventh of tho numbor of girls of soloo!-going ago aro already at school.” (Italics ours. Ed. Pr.) তাৎপর্ঘ্য ."বাঙ্গর মোট লোকসংখ্য গ্রহণ করিলে স্কুলে যাইবার বয়সের বালকদের প্রায় অর্ধেক এবং ঐ বয়সের বালিকাদের প্রায় সম্মোংশ ইতিমধ্যেই বিদ্যালয়ে পড়িতেছে।” ইহাতে সরকারী-সুস্তোষ প্রকাশিত হইয়াছে। যদি স্কুলে ধাইবার বয়সের বালক-খালিকাদের সত্য লতাই যথাক্রমে অৰ্দ্ধেক ও সপ্তমাংশ এখন বিদ্যালরে যায়, তাহ হইলেও তাঁহা সস্তোঘের বিষয় না হইয়া অসস্তোব এবং ক্ষোভের বিষয়ই হওয়া উচিত। “ইতিমধ্যেই” (“already’) বলীত মনে হইতে পারে, যে, বঙ্গদেশে বিদ্যালয়ে শিক্ষা দিবর রীতি সবে মাত্র দু-চার বৎসর হইল প্রবর্তিত হইয়াছে, এবং ইতিমধ্যেই এত বেশ ছেলেমেয়ে স্থলে বাইতেছে। বাস্তবিক কিন্তু এদেশে শিক্ষা প্রাচীন কাল হইতে চলিয়া আসিতেছে, এবং কোম্পানীর আমলের আরম্ভের সময় পর্যন্ত এদেশে প্রতি গ্রামে শিক্ষালয় ছিল। - - a. এডাম সাহেবের রিপোটে দেখা যায়, বে, প্রতি চারি পত % ہ-qچ অধিবাসীর জন্ত বঙ্গে একটি করিয়া শিঙ্গল ছিল। এখন (১৯৩৩ সালে) বঙ্গের ৫,৪১,১৪,০৩২ জন অধিবাসীর জন্ত বিশ্ববিদ্যালয়, সব রকম কলেঙ্গ ও সব রক্স দে । সংখ্যা ৭৯,৩২৭। অর্থাৎ প্রত্যেক ৭১২ জনের জন্ত । একটি করিয়া শিক্ষালয় আছে । - -- অতীতের কথা ছাড়িরা দিয়া সরকারী জ্ঞাপন-পত্রের - মস্তব্যের আলোচনা করি । স্কুলে যাইবার বয়স কোন বৎসর হইতে কোনূ বৎসর এবং মোট অধিবাসীর শতকরা কত জ্বল স্কুলে বাইবার নাসের, তাহা ঐ জ্ঞাপন-পত্রে লেখা নাই। এই জন্ত ঠিক বিচার করা বায় না। আমরা ‘প্রবাসীর । গত একটি সংখ্যার জাপান ম্যাগাজিন হইতে खेझ्ठ । করিয়া দেখাইয়াছি, যে, জাপানে মোট অধিবাসী-সংখ্যার শতকরা কুড়ি জন অর্থাৎ এক-পঞ্চমাংশ স্কুলে বায়। বঙ্গে পুরুষদের সংখ্যা ২,৬০,৪১,৫৯৮ । তাহার ఫ్రోপঞ্চমাংশ ৫২,০৮,৩৩৯ । অতএব বঙ্গে ৫২,৫৮,৩৩৯ জন বালকের ইস্কুলে যাওয়া উচিত। কিন্তু সরকারের চেল - , (recognized) HR H*n RX:n tą মোট RR,94,8సెఆ ER বালক । ইহা ৪২,০৮,৩৩৯-এর অর্ধেকের অনেক কম । of oxico assal (unrecognized) efitসমুহের ৫৪,৩২৭ জন ছাত্রও ধরা যায়, তাহ হইলেও মোট । সংখ্যা যে ২৩,২৯,৮২৩ হয়, তাহাও હર જગ્ય-વર স্বৰ্দ্ধেকের অনেক কম থাকে । - বঙ্গে নারীর মোট সংখ্যা ২,৪৭,৭২,৩৮৪ । ইহার পঞ্চমাংশ ৪৮,১৪,৪৪০ । অতএব বঙ্গে - বালিকার ইস্কুলে যাওয়া উচিত। কিন্তু সরকারের লে সব বিদ্যালয়ে পড়ে ৪,৯৪,০৭৬টি বালিকা। ইহা ৪৮,১৪,৪৬eএর সপ্তমাংশের চেয়ে ঢের কম । সরকারের অ-চেনা প্রতিষ্ঠান-সকলের ১১,৩৭৭ জন বালিক যোগ দিলে সমষ্টি হয় ৫,৭৫,৪৫১ । তাহাও શ થઇન્કઃ এক-পঞ্চমাংশের অনেক কম । আমরা আগেই বলিয়াছি, সরকারী জ্ঞাপন-পত্রের মস্তব সত্য হইলেও, তাহ সন্তোষের বিষয় হইত না, আগৌরবের বিষয়ই হইত। কিন্তু উহাতে যাহা ના হইয়াছে তাহ ঠিক নহে। স্থলে যাইবার বলের ২ লক্ষ ছেলের মধ্যে ২৮ লক্ষের উপর ছেলে স্থলে বা না, এবং
