পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

W8 কারণ পাশ্বনাথের শিষ্য কেশী ছিলেন সেই পরম্পরাতে বহু পরে উৎপন্ন । - মহাবীরের পরবর্তী আচাৰ্য্য ও স্থবিরাবলীর সন্ধান পাওয়া যায় জৈন কল্পসূত্রে। মহাবীরের শিষ্য স্বধৰ্ম্ম হইতে শাণ্ডিল্য পৰ্য্যন্ত তেত্রিশ জন স্থবির। দিগম্বর-মতেও বহু স্থবির আছেন । র্তাহাদের প্রথম ও ষষ্ঠ স্থবিরের নাম শ্বেতাম্বরমতের সঙ্গে মেলে, আর সব নাম ভিন্ন । ষষ্ঠ স্থবির ভদ্রবাহ হইতে চতুর্দশ স্থবির বজ্ৰসেন পৰ্য্যন্ত স্থবিরগণের শিষ্য, নাম, গণ, কুল ও শাখা জৈনশাস্ত্রে লিখিত আছে । বুলর তাহার এপিগ্রাফিক ইণ্ডিকায় (১৮৯২ ) যে মথুরাম প্রাপ্ত এক খোদিত লিপি প্রকাশ করিয়াছেন তাহাতে লিখিত সব নামের সঙ্গে জৈনশাস্ত্রোক্ত নামের মিল আছে । " এই সব গণ-কুল-শাখা প্রভৃতি অনুসরণ করিয়া জৈন সাধনার ধারা অনেকটা দূর পর্য্যস্ত লক্ষ্য করা যায়। তাহার পর আবার বন্থ সন্ধান মেলে হেমচন্দ্রের গুৰ্ব্বাবলী ও পট্রাবলীতে। তাহাতে বহু “গচ্ছ” বা পরম্পরার কথা আছে । গুজরাতে শ্বেতাম্বর জৈনদের মধ্যে স্থানকবাসীরা মুক্তিপূজা স্বীকার করেন না ; ডেরাবাসীরা করেন । ডেরাবাসীদের প্রধানতঃ চারিটি গচ্ছ— ১ । অপাগচ্ছ । ইহঁাদের ভিক্ষণপাত্র লাল । ২। খরতর গচ্ছ । ইহঁাদের ভিক্ষাপাত্র কাল । ৩ । অচঞ্চল গচ্ছ । ৪ । পয় চন্দন গচ্ছ । গুজরাতে ইহা ছাড়া আরও চারিটি গচ্ছ দেখা যায়। শ্বেতাশ্বরদের মতে মহাবীর ছিলেন বিবাহিত । পিতার মৃত্যুর পরে বড় ভাইয়ের অনুমতি লইয়া কস্তা প্রিয়দর্শনাকে ঘরে রাথিশ্ন ক্লিশ বৎসর বয়সে তিনি সন্ন্যাসী হন । সংসার ত্যাগ করিয়া গেলে মহাবীরের দৌহিত্রী যশোবর্তী জন্মগ্রহণ করেন । দিগম্বর-মতে মহাবীর ছিলেন বাল-সল্লালী । অষ্টম বৎসরে তিনি সংসার ত্যাগ করেন । r * শ্বেতাম্বৱন্ধের মতে মহাবীরের জামাত জমালি হইতেই “নিকুৰ’ বা ভেদের স্বরু । অষ্টম “নিকুম্বই হইল, দিগম্বর মত এই জে ঘন্টু ৮৩ খৃষ্টাৰে । *.

്കൂ, لاتيجي بييه

ఏ38S দিগম্বররা আবার কেহ কেহ বলেন ষষ্ঠ স্থবির ভদ্রবাহুর সময়ে অৰ্দ্ধফলক সম্প্রদায়ের উৎপত্তি,তাহা হইতেই (৮০ খৃষ্টাব্দে) হয় শ্বেতাম্বরদের উদ্ভব। ইহার পূর্বে আর কোনো নিচুব ব। বিভাগ ঘটে নাই। মূল সঙ্ঘ আবার পরে (১। নন্দী, (২) সেন, (৩) সিংহ, (৪) দেব-এই চারি ভাগে বিভক্ত হইয়া যায় । শ্বেতাম্বর সাধুরা কৌপান ও উত্তরীয় এই দুইখানি বস্ত্র ব্যবহার করেন। কেীপীনকে তাহারা বলেন “চোল পটু” আর উত্তরীয়কে বলেন “পছেড়া”। তাহা ছাড়া তাহারা কম্বল বা কাথাও ব্যবহার করিতে পারেন। স্থানকবাসী সাধুরা মুখের উপর একটি বস্ত্রাচ্ছাদন বাধেন, তাহাকে বলে “মুখ-পত্নী,” সাধারণ লোকে বলে “মোমতী” । ধূল কীটাদি সরাইবার জন্য সাধুরা যে ঝাট রাখেন তাহার নাম “পিছী” । তাহ ছাড়া কাষ্ঠ পাত্র প্রভৃতি লইয়া চৌদ্দটি জিনিষ পর্য্যস্ত তাহারা রাথিতে পারেন । দিগম্বর সাধুরা বস্ত্র ব্যবহার করেন না কাজেই তাহাৰ। বনবাসী। তাহারা ময়ূরপুচ্ছের “পিছী” রাখেন কীটাদি জীব সরাইতে। শ্বেতাম্বর সাধুদের মত তাদের “উপাশ্রয়” বা থাকিবার নির্দিষ্ট বাড়ি নাই । শ্বেতাম্বর ধনী গৃহস্থের নিজেদের জন্য আপন বাড়িতে গৃহ-মন্দির রাখিতে পারেন ; দিগম্বররা পারেন না । উভয় সম্প্রদায়ের প্রতিমার মধ্যেও পার্থক্য আছে । শ্বেতাস্বরদের প্রতিমাতে বস্ত্ৰ অলঙ্কার মণিমাণিক্যাদি বহু আড়ম্বর থাকে, দিগম্বরদের সেরূপ থাকে না । শ্বেভাস্কর প্রতিমার চক্ষু স্ফটিকনিৰ্ম্মিত, দিগম্বর প্রতিমার চক্ষুতে এমন কোনো বিলাসবৈভব নাই এবং তাহার দৃষ্টি ভূতলবিন্যস্ত । ইহা ছাড়া পুজার উপচার বা উপকরণাদিতেও পার্থক্য আছে । শ্বেতাম্বর দিগম্বর উভন্ন মতই আপন আপন মতকেই বলেন প্রাচীন। মহাবীরের সমক্ষেও মনে হয় এইরূপ কোনো একটা ভাগ ছিল । তিনি স্থবিরকল্প ৪ জিনকয় এই দুই দলকে একত্র করেন । প্রথমোক্ত দল বস্ত্র ব্যবহার করতেন, দ্বিতীয় দল করিতেন না । তাই কেশী ছিলেন লঙ্ক জার গৌতম ছিলেন বিবস্ত্র। তৈর্থিকদের অনেক গুরু তো নাই থাকিতেন । কাজেই অতি প্রাচীনকাল হইতেই নগ্ন হইজ সাধনা করার ব্যবস্থা চলিয়া আসিতেছে । و۔ ,! '• •