পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ôzpsijet নিষেধ আনিলেন না। তাই সেই সব সাধু ঘভির ঐ যাত্রীদের ত্যাগ করিয়া বিরক্ত হইয়া চলিয়া গেলেন। তখন সেই দলের পয়তাল্লিশ জন লোক লোস্কার কাছে নূতন করিম দীক্ষা লইলেন । এই ঘটনা ঘটিল ১৫৩১ সংবতের জ্যৈষ্ঠ শুক্লাপঞ্চমীতে, অর্থাৎ ১৪৭৪ খৃষ্টাব্দে। কেহ বলেন •এই ঘটনা ঘটে ১৪৭৬ খৃষ্টাব্দে । এই ঘটনার কিছু পূৰ্ব্ব হইতেই লোস্কার প্রচার চলিয়াছিল এবং তাহার প্রচারের পূৰ্ব্বে তিনি পুর্থী র্তাহার বিধবা কস্তাকে দিয়া প্রতিলিপি করাইতেন । তাহার বিধবা কঙ্কার বয়স যদি তখন কুড়ি বৎসরও ধরা যায় তবে সেই পুখী নকলের সময়ে লোস্কার বয়স আনুমানিক পয়তাল্লিশ বৎসর হওয়া সম্ভব । তার পরও কয়েক বৎসর প্রচারকার্য্যে ব্যতীত হইলে এই দল তাহার কাছে দীক্ষা নেয়। যাহা হউক, খুব সাবধানে খুব কম করিয়া ধরিলেও লোস্কার তখন বয়স পয়তাল্লিশ হইতে কম হইতেই পারে না। তাহ হইলেই দেখা যায়, ১৪২৯ খৃষ্টাব্দের পূর্বেই লোস্কার জন্ম। মোটকথা, ইহা বলা চলে ষে, ১৪২৫ খৃষ্টাব্দের কাছাকাছি লোক্ষার জন্মকাল। কাজেই দেখা যায় কিছুকালের জন্য অন্তত: লোঙ্ক কযীরের সমসাময়িক। প্রাচীনপন্থী সাধু ও গৃহস্থর লোস্কার বিরুদ্ধে গৰ্ব্বতোভাবে লাগিয়া গেলেন, তবু নানাবিধ বিরুদ্ধতার মধ্য দিয়াও লোক্কার প্রভাব বাড়িয়াই চলিল। লোক্ষ গৃহীই রহিলেন, সন্ন্যাসী হইতে স্বীকার করিলেন না ; অথচ তাহার শিশুরা অনেকেই মুনি হইলেন। তাহার মধ্যে মুনি সর্বাজী, মুনি ভাশাজী, মুনি মুল্লাজী, মুনি জগমলজী সমধিক প্রখ্যাত । লোস্কার ধর্মকে তখন সকলে দমাধৰ্ম্ম বলিত এবং গৃহস্থ হইলেও লোক্ষাকে সৰুলে দয়াধৰ্ম্ম মুনি বলিত। গোস্কার দল দয়াগচ্ছ নামে প্রসিদ্ধ হইলেও কেহ কেহ তাহাকে তপাগচ্ছও বলিত। এই হইল স্থানকবাসী সাধুদের সম্প্রদায়ের স্বচন। তখন মুসলমান রাজত্ব। নানাস্থানে মূৰ্ত্তি ও জৈনপ্রতিম ভাঙিয়া-চুরিয়া ফেলা হইতেছে ; কোথাও কোথাও তাহা দিয়া মসজিদ, প্রাসাদ, সেতু প্রভৃতি নিৰ্ম্মাণ করা চলিয়াছে । শুধু এইসব কারণে নয়, বিশুদ্ধ ধৰ্ম্ম বলিয়াও লোঙ্কা এই প্রতিমপূজার বিরুদ্ধে লাগিয়া গেলেন। জৈনধর্শ্ব তখন তাহার প্রাচীন বিশুদ্ধি কারাইয় প্রতিমাপূজা, উৎসব, আড়ম্বর ও জৈনধর্থের প্রাণশক্তি *> নানা ব্যর্থ অনুষ্ঠানে ও মিথ্যা রাজসিকতায় ভারাক্রাস্ত হইয়া উঠিয়াছে। লোঙ্ক সেই সব মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে বুদ্ধ ঘোষণা করিলেন । মহাবীরের জন্ম-উৎসব উপলক্ষে যে ব্যর্থ আড়ম্বর হুইত স্থানকবাসীরা তাহাও তীব্রভাবে আক্রমণ করিলেন । আমেদাবাদের পর পাটনে লোস্কার কাছে রূপচংদ শাহ প্রভৃতি ১৫২ জন দীক্ষা লইলেন। রূপচাদের নাম হইল রূপ ঋষি । লোস্কা অর্থাৎ দয়াধৰ্ম্ম মুনির পর রূপ ঋষিই বসিলেন গুরুর আসনে । র্তাহার পর বসিলেন স্বরতের জীৱ ঋষি । যতদিন পর্যস্ত ইহঁারা নানা বিরুদ্ধতার মধ্য দিয়া চলিস্থা আসিয়াছেন ততদিন জাপন বিশুদ্ধ আচার রক্ষা করিয়াই চলিমাছিলেন। তার পর যখন লোকমধ্যে ইহঁাদের রীতিমত প্রতিষ্ঠা হইল, তখন এই সম্প্রদায়ের লোকেরা এক এক জায়গায় জমাইয়া বসিয়া যাইতে লাগিলেন, সাম্প্রদায়িক বৈভব জমিয়া উঠিতে লাগিল । তখন ক্রমে ‘স্থানক দোষ’ তাহাদের স্পর্শ করিতে লাগিল বলিয়া লোকে তাহাদিগকে বলিতেন স্থানকবাণী । সাধুরী পাত্রাদির মৰ্যাদা লঙ্ঘন করিতে আরম্ভ করিলেন অর্থাৎ শাস্ত্রের অননুমোদিত নানা বস্তুর ব্যবহার ও সঞ্চয় চলিতে লাগিল । কেহ কেহ আবার জ্যোতিষাদি শাস্ত্রের দ্বারা অর্থোপার্জনেও প্রবৃত্ত হইলেন । জীৱঋষির পর তাহার স্থানে বসিলেন নানাবি, তাহার, পরে সম্প্রদায়গুরু হইলেন জীবরক্ষা ঋষি। এই পৰে ভীমন্ত্ৰী, রতনজী, উদাজী, বীজাজী, জীৱরাগঞ্জ, শ্ৰীচণ্ডী, লালদী প্রভৃতি সকলে ঋষি নামেই প্রখ্যাত হইয়া গিয়াছেন । " কিন্তু স্থানকবাসীরা চিরদিনের জন্ত প্রতিমাদি পরিহার করিয়া রাথিতে পারিলেন না। পরে তাহদের সম্প্রদায়ে জাৰ্যর প্রতিমা ফিরিয়া আসিতে লাগিল। ডেরাবাসীদের প্রতিম ক্রমে স্থানকবাগীদেরও পাইয়া বলিল। এই ভাবে । স্থানকবাসীদের পুণ্য প্রভাব গল্পে ক্রমে ক্ষীণ ও মান হইয়া আসিল । গোওলি শাখার স্থানকৰাসী সাধু প্রাণলালীর লিপি অনুসারে জামরা আরও অনেক শাখার উৎপত্তির খবর পাই। যথা, ১৫৬৪ সংবতে কতুক সাধু কতুক-মত প্রবর্তন করেন। ১৫৭• সংৰতে বীজসাধু বিজয়-মত চালান—