পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१२ - &প্রবাসী; తివి8ు এই মত্ত আগমসন্মত। ১৫৭২ সংবতে পাশচন্দ্র নিরুক্তি, ভাষ্য, চূর্ণ, ছেদগ্রন্থ প্রভৃতির গ্রামাণ্যতা অস্বীকার করেন। ১৭৬২ সংবতে কড়া বাণিয় কডব্ৰ-মত চালান। ১৭২২ সংবতে যশোবিজয়জী আনন্দঘনজীর সময়। ১৮১৮ সংবতে ভীষ্মজী তের জন সাধু লইয়া স্বতন্ত্র হইয়া তেরপন্থ নামে এক মজ্ঞ চালান। ইত্যাদি ইত্যাদি এই-সব খবরে সকলের কৌতুহল হইবে না মনে করিয়া আর উদ্ধৃত করিলাম না । ১৬৪০ খ্ৰীষ্টাব্দের কাছাকাছি মহাপণ্ডিত যুশোবিজমজী ও বিখ্যাত মরমী কবি আনন্দঘনজীর কাল। আনন্দ ঘনজীর কিছু পরিচয় আমি পূৰ্ব্বে আর একটি লেখায় দিয়াছি। চিদানন্দ প্রভৃতির কথা আর উল্লেখ করিলাম না। পূৰ্ব্বেই বলিয়ছি ১৭৮৪ খ্ৰীষ্টাৰে কাঠিয়াওয়াড়ে স্থানকবাণীরা পাচটি শাখায় বিভক্ত হইয়া যান। তার পর ১৭৯২ খ্ৰীষ্টাবে লিমড়ী শাখা হইতে “সাম্বল” শাখার উদ্ভব হয়। এই সায়লা শাখার গ্রন্থালয়ে বাংলা অক্ষরে লেখা বাঙালী সাধুর সংগৃহীত তত্ত্ব ও চিকিৎসার পুখী দেখিয়াছি। ১৮১৯ খ্ৰীষ্টাব্দে গোগুলি শাখা হইতে সংঘাণী শাখা এবং ১৮৪৭ খ্ৰীষ্টাব্দে এাংগঞ্জ শাখা হইতে রোটা শাখার উৎপত্তি হয়। এই ত গেল শ্বেতাম্বর সম্প্রদায়ের মধ্যে যে প্রাণশক্তির পরিচয় পাওয়া যায় তাহার একটু বিবরণ। দিগম্বর সম্প্রদায়ের মধ্যে সপ্তদশ শতাব্দীতে ভারণস্থার বিশেষ প্রভাব হয়। তার মুনি তার প্রবর্তৰ। তুিমিও মূৰ্ত্তিপূজা, কাচার ও মিথ্যা ধর্মের বিরুদ্ধে ঘোর যুদ্ধ কাজেই ধেৰ্ম্মে যুগে যুগে এই ভাবের নব নব প্রাণশক্তির পরিচয় পাওয়া গিয়াছে তাহার সম্বন্ধে হতাশ হইবার কোনোই হেতু নাই। শুধু তর্ক ক্ষরিয়া বিপক্ষকে নিরুত্তর করিবার চেষ্টা করিয়া কোনো লাভ নাই, সাধনার জীবনে বিশুদ্ধ তপস্যার অগ্নি জালাইয়াই প্রাণশক্তির সাক্ষ্য দিতে ठूइँद । সত্য ও জীবন্ত মহৎ আদর্শকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত করার সরল পথ গ্রহণ না করিয়া যদি শুধু নিপুণ বাক্য, তর্ক ও প্রমাণ-চাতুৰ্যের পথেই এই সম্প্রদায় চলিতে চাহেন তবে বিশ্বের শাশ্বত ধর্মের মহাকালের বিধানে ইহঁাদের কোনোই ভরসা নাই । এখন এই জিনভাষিত ধৰ্ম্ম যদি আপনার নানা মিথ্যা আড়ম্বর, অর্থহীন সব আচার, আত্মঘাতী ব্যর্থ সব আত্মকলহু পরিহার করিয়া দয়া, মৈত্রী ও উদারতাম আপনাকে বিশুদ্ধ করিতে পারে তবে সে নিজেও ধন্য হুইবে এবং সমগ্র মানবসভ্যতাকেও ধন্ত করিবে । অস্তরে-বাহিরে নব আলোকের নব প্রেমের উদার তপস্যার দ্বারা যদি এই জিন-প্রবর্তিত মহাধৰ্ম্ম আজও আপনার অন্তর্নিহিত মৃত্যুহীন অধাত্মজীবনের পরিচয় দিতে পারে, তবে বাহিরের নানা প্রকারের অভিযোগ আপনিই শাস্ত হইয়া স্তব্ধ হইয়া যাইবে । মহাবীর প্রভৃতি মহাসাধকগণের মৃত্যুহীন তপস্যার অনন্ত সাধনার বেদীর কাছে সেই মহতী আশা ও আকাঙ্ক্ষা আজও আমরা উপস্থিত করিতে চাই। আজ সমস্ত জগৎ হিংসায় স্বন্থে কুটিলতায় ভরিস্কা উঠিয়াছে। কে আজ ইহার মধ্যে মৈত্রী ও প্রেমের নবপ্রাণ সঞ্চার করিবে ? তাই হিংসায় কুটিলতায় মিথ্যাচারে ব্যথিত মুমুধু মানবসভ্যতা এই সব মহাপুরুষের সাধনার স্বারে অনেক ভরসা লইয়৷ আজ দাড়াইয়াছে। তাদের মহাসাধনার স্বাহার উত্তরাধিকারী তাহার ক্ষুদ্র চালাকী ও সম্প্রদাস্থগত কোনো চাতুরীর দ্বারা আমাদের কখনও ফাৰি দিবেন না, এই चांश्] बध्वनिग्नं चखानि न ब्रांक्षिविा श्रीनि नः ।। ७्रं क्षश। বিশ্বাসে এই সাধনার ভবিষ্যৎ মহাসাধকদের উদ্দেশে ভক্তি ও শ্রদ্ধয় নম্র আমাদের প্রণতি রাখিয়া যাইতেছি । ।