পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অ্যাম্বিন o দুই দস্তযুক্ত নাৰ্ব্বালেরও পরিচয় পাওয়া গিয়াছে । স্ত্রী-পুরুষ উভয় শ্রেণীরই উপর-চোয়াল হইতে এই প্রকার দস্ত বাহির হইয় থাকে । কখন কথন এই দন্ত পৃথিবীর বৃহত্তম জন্তু b^$ఎ দন্তহীন তিমির মধ্যে গ্রীনলাণ্ডের বৃহৎ তিমি এব নীল তিমি বিশেষ উল্লেথযোগ্য । "গ্রীনলাণ্ডের তিমির দৈর্ঘ্যে হইতে ৭০ ফুট । ভিমি বলিতে مرہ a}{?، পাকান-ভাবের না হইয়া বেশ মসৃণ হইয় থাকে । সাধারণতঃ গ্রীনলাণ্ডের তিমিকেই বুঝাইয়া থাকে। আবার অনেক সময় এক্ট দস্তকে ঈষৎ বক্রাকারেও বৰ্দ্ধিত হইতে দেখা যায়। বর্ণ এবং গঠনে গজদস্তের মত হইলেও বস্তুহিসাবে ইহা গজদন্ত হইতেও শ্রেষ্ঠ । গজদন্ত সেরূপ কালক্রমে হরিদ্রাভ হইয়া যায়, নৰ্ব্বিালের দস্ত সেরূপ হয় না। পূৰ্ব্বে এই দন্ত মূল্যবান সামগ্ৰী বলিয়া বিবেচিত হইত। এই দস্ত নাৰ্ব্বালের আকৃতিকে ভীতিপ্রদ করিয়া দিলেও প্রকৃতপক্ষে ইহার অতি নিরীহ প্রাণী । দস্ত দ্বারা শক্ৰ আক্রমণ করিতে বা আত্মরক্ষায় এই দন্ত ব্যবহার করিতে ইহাদিগকে বড় দেখা যায় না । কি উদ্দেশো যে ইহীদের মুথে এই সুদীর্ঘ দন্তের উদ্ভব হইয়াছে তাহ এখনও বিশেষ বুঝিতে পারা যায় নাই। সজ্ঞাবদ্ধ অবস্থায় ইহাদের ক্রীড়া-কৌতুক লক্ষ্য করিলে এই দস্তকে ইহাদের পক্ষে নিগ্ৰহ-স্বরূপ বলিয়াই গণনা করা যাইতে পারে । তিমিজাতীয় ক্রীড়াশীল ডলফিন দত্তের সংরক্ষণে ইহাদের বিশেষ যত্ন দেখা যায় না। এই দস্তকে প্রায়ই সমুদ্র-শৈবালে জড়িত ও অপরিস্কৃত অবস্থায় থাকিতে দেখা যায় । গ্রীনলাণ্ডের বৃহৎ তিমিরা প্রায়ই ইহাদের অনুসরণ করিয়া থাকে। এই কারণে সে-দেশের লোকেরা নাৰ্ব্বালকে তিমির অগ্রদূত বলিয়া থাকে । ডেভিস-প্রণালী ও ডিস্কো-উপসাগরে বহু নাৰ্ব্বাল দেখিতে পাওয়া যায় । ররকেয়াল বা নীল তিমি মুকবধির মণীন্দ্রনাথ পাল কর্তৃক অঙ্কিত ইহাদের মুখে দন্তের পরিবর্তে পঞ্জরাস্থির মত অনেক গুলি লম্বা লম্বা হাড় থাকিতে দেখা যায় । এই হাড়গুলি উপরকার চোয়াল হইতে চিরুনীর দাতের মত নীচের চোয়ালে নামিয়া আসে । এই হাড়গুলিকে ইংরেজীতে ‘হোয়েল বোন’ বলে । পূৰ্ণবয়স্ক তিমির মুখে হোয়েল বোনের সংথ্যা প্রায় ৫০০ ঝ*াজ রির শিকের মত এই হাড়গুলি ইঞ্চি অস্তরাল করিয়া সাজান থাকে । ইহাদের মধ্যে মাঝের হাড়গুলিকে দীর্ঘাকার এবং দুই পাশের হাড়গুলিকে ক্ষুদ্র হইতে দেখা যায় । হোয়েল বোনের এই সকল হাড়ের মাঝে মাঝে আবার ঘন পুরু রোমাবলীর উৎপত্তি হইয়া ইহাকে একটি প্রকাও চাকুনির মত করিয়া দিয়াছে দস্ত না থাকায় এই তিমিরা হোয়েল বোনের সাহায্যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সামুদ্রিক শমুকাদি ধরিয়া অহার করে । গ্রীনলাণ্ডের চতুপার্শ্ববৰ্ত্তী সমুদ্র এবং স্পীটসবার্জন দ্বীপের জনহীন তুষার-সমুদ্রই ইহাঁদের প্রিয় বাসস্থান । পুথিবীর উত্তর গোলান্ধের ৭৪ এবং ৮০ ডিগ্রির মধ্যে ইহাদিগকে অধিক সংখ্যায় দেখিতে পাওয়া যায় । উষ্ণ সমুদ্র স্রোতের তাপে এই স্থানে অত্যধিক মাত্রায় ক্ষুদ্র সামুদ্রিক শমূকাদির