পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তিমি-জাতীয় এক প্রকার জীব আছে । ইহারা মাত্র ১০ ফুট অবধি দীর্থ হইয়া থাকে । গ্রীনলীণ্ডের তিমির ইহাদের নিকটে দেখিতে পাইলেই একেবারে ভয়ে সন্ত্রস্ত হইয়া পলায়ন করে । ১০ ফুট দীর্ঘ ডলফিনকে দেখিয়া ৬০।৭৩ বা ৮০ ফুট দীর্থ তিমির পলায়ন অবগুই হস্তিকর । স্থলের বৃহত্তম জন্তু হস্তীর নির্ভয়ে ব্যাভ্রাদির সম্মুখীন হইলেও সামান্ত মুষিক ও শশককে বিশেষ ভয় করে এবং ইহীদের দর্শনে একেবারে অধীর হইয়া পড়ে । এ-বিষয়ে হস্তী-চরিত্রের সহিত তিমি-প্রকৃতির श्रुश्चैिौद्धं इङ्खभ ऊख শ্রেণীর স্ত্রী-তিমির সঙ্গাম্বেষণ করিয়া থাকে। শ্রেণী, ব্যতীত ভিন্ন শ্রেণীর স্ত্রী-তিমির সহিত ইজারা সজ্জিঞ্জি হইতে চাহে না । শবিক প্রসব করে । নয়-দশ মাস গর্ভধারণের পর স্ত্রী-তিক্ৰি গর্ভধারণকালে, বিশেষতঃ শাবক কতক সামঞ্জস্ত দেখিতে পাওয়া যায় । \ বিপদের কোনও আশঙ্কণ না থাকিলে - তিমির সমুদ্রের উপর অনেক সময় T: স্থির ভাবে ভাসিয়া থাকে বা লম্ফ চিংড়ি শপুক ১ । চিংড়ি মাছ s দান করিয়া এবং নাসারন্ধু,দ্বারা ২ । শুশুক २ ! डिभि ऎकून উৎসাকারে উর্ধে জলোৎক্ষেপণ করিয়া ক্রীড়াশীলতার পরিচয় দিয়া থাকে। কখন কথন আবার বৃদ্ধকে ঘিরিয়া ছেলেদের লাফালাফি করার মত তিমিকে ঘিরিয়া সীলদের সমুদ্রে লাফালাফি করিতে দেখা যায়। ইহীদের গতি সাধারণ অবস্থায় ঘণ্টায় চারি মাইলের অধিক নহে । কিন্তু শিকারীর বল্লমে বিদ্ধ হইলে ইহার এরূপ বিদ্যুৎ-বেগে সমুদ্রগর্ভে নামিতে থাকে যে, সে-সময়ে নৌকার গায়ে বল্লমের দড়ির ঘর্যগ লাগিয়া নৌকার কাঠে আগুন লাগিয়া স্নায় । এই কারণে বল্লম বিদ্ধ করিয়াই শিকারীরা বল্লমের দড়ির উপর জল চালিতে থাকে । বৰ্ত্তমানকালে নুতন পদ্ধতিতে তিমি শিকার করা হয় । তিমির যখন সমুদ্রের উপর স্থিরভাবে ভাসিয়া থাকে তখন কামানের মুখ হইতে তিমি-শিকারের বর্শাসকল বারুদের সাহায্যে নিক্ষেপ করিয়া ইহাদিগকে নিহত করা হয় । তিমিদের আচরণে সাম্পত্য প্রেমের কিঞ্চিৎ আভাস পাওয়া যায়। তিমি দম্পতীর মধ্যে একটিকে আহত করিলে অপরটি আহত তিমির সঙ্গ ত্যাগ করিয়া পলায়ন করে না । তাহার সহিত শেষ পর্যন্ত ঘুরিয়া ফিরিয়া প্রণয়সুক্তির পরিচয় দিয়া থাকে পুরুষ-তিমিৱা, নিজ নিজ

প্রসবের কিঞ্চিৎ পূৰ্ব্বে, ইহাদিগকে অন্ত সময় অপেক্ষণ স্থলতর দেখা যায়। গর্ভের মধ্যে ভণের বর্ণ প্রথমে সাদা থাকে। প্রসবকালে শাবকের বর্ণ কিন্তু কাল দেখাইয়া থাকে। জরায়ুর মধ্যে ভ্রণকে প্রথমে মাত্র ১৭ ইঞ্চি দীর্ঘ দেখা যায় । এই ভ্রণ জরায়ুর মধ্যে পরিপুষ্ট হইয় প্রসবকালে ১০ ফুট দীর্ঘ আকার ধারণ করে । স্ত্রী-তিমি সাধারণতঃ এককালে একটির অধিক শাবক প্রসব করে না । এই শাবকের পালন ও সংরক্ষণে স্ত্রী-তিমি অপত্যস্নেহের বিশেষ পরিচয় দিয়া থাকে। শাবক আহত হইলে স্ত্রী-তিমি তাহাকে পরিত্যাগ করিয়া পলায়ন করে না । ইহারা সৰ্ব্বদা শাবককে সঙ্গে লইয়া ভ্রমণ করে । শিকারীর স্বারা তাড়িত হইলে পাথনার মধ্যে শাবককে ধরিয়া পলায়ন করে । শাবক সঙ্গে থাকিলে অন্ত সময় অপেক্ষ শীঘ্ৰ শস্ত্র ইহার সমুদ্রের উপর শ্বাস গ্রহণের জন্ত উঠিৰ আসে । ইহাদের দুইটিমাত্র গুন থাকে এবং স্তনের আকার গবাদি পশুর মতই হই থাকে। সাধারণতঃ স্তন দুইটি উদরের মধ্যে গুটান থাকে। স্তম্ভদানকালে এই স্তনকে ইহার দেড় ফুট হইতে দুই ফুট অৰধি বাহির করির